Logo
Logo
×

মধ্যপ্রাচ্য

ইয়েমেনে সৌদি আরবের বিমান হামলা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম

ইয়েমেনে সৌদি আরবের বিমান হামলা

ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাদরামাউতে বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি আরব। ইয়েমেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই হামলার দায় সৌদি আরবের ওপর চাপিয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দিন আগে সৌদি আরব ইয়েমেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তাদের সাম্প্রতিক দখলকৃত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়। সেই আহ্বানের পরদিন সৌদি আরবের বিমান এসব এলাকায় হামলা চালায়। বর্তমানে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রধান সমর্থক দেশ হলো সৌদি আরব।

তাত্ক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত কয়েক বছর শান্ত থাকা ইয়েমেনে এই হামলার কারণে নতুন উত্তেজনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতে ইরান, সৌদি আরবসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন শক্তি জড়িত।

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অগ্রযাত্রা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর ওপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। ইয়েমেনের সরকার বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত, যার মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও আছে। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরোধিতা এই সরকারের একতা বজায় রেখেছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংবাদমাধ্যম অ্যাডেন ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, হাদরামাউতের ওয়াদি নাহবে হাদরামি এলিট ফোর্সেসের অবস্থানে সৌদি বিমান হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, আমিরাত সমর্থিত সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি) জানিয়েছে, ওই এলাকায় দুটি বিমান হামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হাদরামাউতের এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর স্থানীয় উপজাতীয় নেতা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।

চলতি মাসের শুরুর দিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হাদরামাউত ও মাহরা প্রদেশ দখল করে। এর পর সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদারের চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করেছেন, এসটিসির অগ্রযাত্রা আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং বিভাজনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। পুরো যুদ্ধ পুনরায় শুরু হলে তা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।

২০১৪ সালে হুথিরা রাজধানী সানা থেকে সরকার উৎখাতের পর থেকে ইয়েমেন বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। সংঘাতে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে এবং ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে ২০২২ সালের পর জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় সংঘর্ষ কিছুটা কমেছে।

সূত্র: এএফপি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম