জেল ও আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের জন্য নির্দেশিকা জারি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
কোনো জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের ভোটদানের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করেছে।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের ভোটদানের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্দেশিকা জারি করেছে।
নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ (সংশোধন ২০২৫)-এর বিধি ১০ক অনুযায়ী, ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং’ (আইসিপিভি) পদ্ধতির মাধ্যমে জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে আটক থাকা ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এই নির্দেশিকা কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে আটক ভোটারের তালিকাভুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন হবে। এ ধরনের ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (https://prisoner.ocv.gov.bd/login) ব্যবহার হবে।
জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ আটক থাকা ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দুই জন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবে, যারা নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করবেন। আগ্রহী ভোটারদের নিবন্ধন শেষে জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ মুদ্রিত তালিকা সিল ও স্বাক্ষর-সহ নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। একই সঙ্গে মনোনীত প্রতিনিধিরা নির্ধারিত পোর্টালে ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য (.xls/.csv ফরম্যাট) আপলোড করবেন।
জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে থাকা নিবন্ধিত ভোটাররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের খাম পাবেন। নির্বাচন কমিশন হতে পাওয়া এই খামে থাকব: জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার; ভোট প্রদানের নির্দেশাবলি ও একটি ঘোষণাপত্র এবং রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা-সংবলিত একটি ফেরত খাম।
নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ আটক ভোটারদের ভোটদানের জন্য ভোটকক্ষ বা গোপন কক্ষ প্রস্তুত করে ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবে। পোস্টাল ব্যালট পেপারে কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না; শুধু বরাদ্দকৃত প্রতীক ও প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর থাকবে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ ভোটারদের কাছে নিজ নিজ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক-সংবলিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সরবরাহ করবে।
সংসদ নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোটাররা মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। একইভাবে গণভোটের পোস্টাল ব্যালট পেপারে হ্যাঁ/না-এর পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। ভোট দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্রে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। যদি কোনো ভোটার স্বাক্ষর করতে অক্ষম হন, তবে অন্য একজন ভোটার তা সত্যায়ন করবেন।
ভোটার পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার পর ব্যালট পেপার দুটি ছোট খামে রেখে খামটি বন্ধ করবেন। ব্যালট পেপার-সংবলিত খাম এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত হলুদ খামে প্রবেশ করার পর খামটি বন্ধ করে তা সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত স্থানে বা বাক্সে জমা দিতে হবে।
ভোট প্রদান প্রক্রিয়া সমাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ পোস্টাল ব্যালটের সকল খাম সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করবেন এবং যতদ্রুত সম্ভব পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত সকল খাম নিকটস্থ ডাক বিভাগের কাছে পাঠাবে। ডাক বিভাগের প্রতিনিধি পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত খামসমূহ দ্রুততার সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।
উল্লেখ্য, এ খাম পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল দিতে হবে না। তা বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করবে।

-694cd337ec51f.jpg)