Logo
Logo
×

জাতীয়

টেলিভিশনে মায়ের বিয়ের খবর দেখে শিশু তুবা

Icon

আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:০০ পিএম

টেলিভিশনে মায়ের বিয়ের খবর দেখে শিশু তুবা

টেলিভিশনে মা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিয়ের খবর দেখে শিশুকন্যা রাফিয়া হাসান তুবা। মায়ের বিয়ে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। সেদিন খুব কষ্ট পায় ৮ বছরের তুবা।

বুধবার ঢাকায় ক্রিকেটার নাসির হোসেনের নববিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি সংবাদ সম্মেলনে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে রাকিবের ঘরে জন্ম নেয়া তাম্মির শিশুকন্যা ৮ বছরের রাফিয়া হাসান তুবাকে জোর করে তাম্মির বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।

তবে সেই অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছে শিশু তুবা। বাসায় তাম্মির মা তাকে মারধর করতো বলে অভিযোগ তুবার। রেকর্ডকৃত বক্তব্যে তুবা জানায়, তার বাবা রাকিবকে দেখতে পারত না তাম্মির মা। তাকেও কারণে-অকারণে চড়-থাপ্পড় দিত। বাসায় সারাক্ষণ ধমকের ওপর রাখত তাকে নানি। একটু এদিক-সেদিক হলেই রাগারাগি আর গালাগালি করত। এ কারণে সে নিজের ইচ্ছায় বাবার সাথে দাদির কাছে চলে আসে।

আরও পড়ুন: তামিমার তালাকের নোটিশ পায়নি ইউনিয়ন পরিষদ

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তুবা বলে- মা এখন আর আমায় ফোন দেয় না। আমার সাথে কথাও বলে না। মা অনেক পচা হয়ে গেছে। সে আরেকজনকে বিয়ে করেছে। আপনারা আমার মাকে এনে দিন। আমি মা আর বাবাকে নিয়ে সবাই একসঙ্গে থাকব।

রাকিবের মা সালমা সুলতানা যুগান্তরকে বলেন, ১০-১২ বছর আগে রাকিবের সঙ্গে বিয়ে হয় তাম্মির। প্রেম করে বিয়ে করায় প্রথমে আমরা মেনে নেইনি। পরে তুবার জন্ম হলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। শুরু থেকেই তাম্মির আচরণ কিংবা স্বভাব কোনোটাই ভালো ছিল না। তবুও আমরা ছেলে আর নাতির মুখ চেয়ে কখনো কিছু বলিনি।

তিনি বলেন, রাকিবের বউ থাকা অবস্থায় তাম্মি যে আবার বিয়ে বসবে সেটা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। তুবাই প্রথম টেলিভিশনে দেখে আমার কাছে এসে গলা জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে আর বলে যে মা আবার বিয়ে করেছে।

আরও পড়ুন: মেয়ের খোঁজ নিতেন না তামিমা

তুবার দাদি বলেন, গত ২৬ আগস্ট ছিল তুবার জন্মদিন। সেদিন আমরা কেক কেটেছি, তুবা অনুষ্ঠানে নাচ করেছে। ভিডিও কলে তাম্মিকে সব দেখিয়েছি আমরা। সেও আনন্দ পাওয়ার অনেক ভান করেছে সেদিন। কিন্তু তখনও ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি যে সে এরকম একটা কিছু করবে। তাম্মি নিজে থেকে ফোন করে কখনই তুবার কোনো খোঁজখবর নিত না। তুবা মাকে ফোন করে কথা বলতে চাইলেও নানা ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে লাইন কেটে দিত তাম্মি।

তিনি বলেন, মায়ের বিয়ের খবর টিভিতে দেখে মেয়েটা যে কত কষ্ট পেয়েছে তা বলে বোঝাতে পারব না। সারাদিন মনমরা হয়ে বসে থাকে। কারও সঙ্গে তেমন একটা কথাও বলে না। বাড়ির একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে তুবা। বন্ধুদের সঙ্গেও সে এখন আর খেলতে যায় না।

বরিশাল

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম