ফ্লাইওভার ও এক্সপ্রেসওয়ের পার্থক্য কী?
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩৭ পিএম
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভারের পার্থক্য। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সড়ক পরিবহণে ভোগান্তি কমাতে দীর্ঘমেয়াদি যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম থেকেই আলোচনায় ছিল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। পাশাপাশি বেশ কিছু ফ্লাইওভারও নির্মাণ।
এদিকে এলিভেটেড প্রকল্প হাতে নেওয়ার এক যুগেরও বেশি সময় পর ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এক্সপ্রেসওয়েটি। উদ্বোধনের পর বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের জন্য চালু করা হবে।
আরও পড়ুন এক্সপ্রেসওয়ের প্রতি কিমির নির্মাণ ব্যয় ১৯১ কোটি
ঢাকার ভেতরে কয়েকটি ফ্লাইওভার থাকলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এটাই প্রথম। দুটো ক্ষেত্রেই দ্বিতল সড়কের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করলেও এর মূল পার্থক্য কী?
গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, মোটা দাগে এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে ফ্লাইওভারের তুলনায় এক্সপ্রেসওয়েতে র্যাম্পের সংখ্যা কম থাকে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এক্সপ্রেসওয়ে অনেকটা ছিদ্রহীন পাইপের মতো। একদিক থেকে উঠলে স্বম্প সময়ে অন্যপ্রান্তে পৌঁছে যাবে। এক্সপ্রেসওয়েতে মোটামুটি ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো র্যাম্প থাকে না। অর্থাৎ এ ধরনের সড়কে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই উচ্চগতিতে উল্লেখযোগ্য অংশ পার হয়ে যাওয়া যায়।
এক্সপ্রেসওয়েকে ফ্রিওয়ে বা সুপার হাইওয়ে নামেও ডাকা হয়। সড়কে কোনো মোড় থাকে না, ক্রস মুভমেন্ট, পার্কিং একটিভিটি বা পথচারী চলাচল না করার অর্থ হচ্ছে ভালো মানের রাস্তা।
অধ্যাপক শামসুল হক জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে অনেক র্যাম্প থাকার কারণে বাধাও বেশি পড়বে। ফলে এটি ফুল এক্সপ্রেস কন্ট্রোল এক্সপ্রেসওয়ে হবে না।
