বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক নয় মন্ত্রী ও চার সংসদ-সদস্যসহ ২৪ আসামির ভার্চুয়ালি হাজিরা গ্রহণ করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত ভার্চুয়ালি কারাগার থেকে তাদের হাজিরা নেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য জানান।

আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সংসদ-সদস্য সাদেক খান, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহিদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক ডিসি তানভীর সালেহীন ইমন, সাবেক ডিসি মশিউর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল রানা, সাবেক এসি তানজিল আহমেদ, সাবেক এসআই শাহাদাত আলী ও সাবেক ওসি আবুল হাসান।

আরও পড়ুন

আরও পড়ুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

এদিন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, আদাবর, নিউমার্কেট, বাড্ডা, উত্তরা পশ্চিম ও কাফরুল থানার বিভিন্ন মামলায় আসামিদের হাজিরার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিদের আদালতে আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়শই নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেয়। তাছাড়া আসামিদের অনেকের প্রতি জনগণের প্রচণ্ড ক্ষোভ থাকায় জনগণ আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর চেষ্টা করে। 

এ পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। তাই আসামিদের কারাগারে রেখেই জুম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে হাজিরা নেওয়া হয়েছে।