রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০০:০০:০০ |
রামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্র“পে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগ নেতা ফজল করিম ও মোঃ রিপন গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতরা হচ্ছেন- ছাত্রলীগ নেতা মাহামুদুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, মানিক, ফয়সাল, পান্না, রুবেল হোসেন, সৌরভ হোসেন, ইমরান হোসেন, মানিক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সবুজ হোসেন, সাহিদ, মাহাবুব, ফজলুল করিম, রুবেল, তৌহিদুল ইসলাম, রবিন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ। তাদের রামগঞ্জ, চাটখিল, মাইজদী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরেিদক সংঘর্ষের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক আবু তাহের গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ কেন্দ্র করে রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা সব প্রকার যানচলাচল বন্ধ ছিল।
জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টায় বাণিজ্য বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম রামগঞ্জ সরকারি কলেজে প্রবেশ করলে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আলাউদ্দিন তাকে কলেজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির খবর পার্শ্ববর্তী সোনাপুর বাজার নন্দনপুরে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের মাহামুদুর রহমান ও ইমরান হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সংবাদে ছাত্রলীগ নেতারা সাঁতারপাড়া-নন্দনপুর এবং সোনাপুর-কলচমা গ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর মধ্যে দুই গ্র“পে সোনাপুর-রামগঞ্জ সড়কে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে থানার ওসি তদন্ত মাহাবুবুর রেজা আলফু ও এসআই শামছুল আরেফিনের নেতৃত্বে পুলিশ ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। অপর দিকে সংঘর্ষ চলাকালে সোনাপুর বাজার ও চৌরাস্তা মৌড়ে সোহাগ স্টোর, সৈকত স্টোর, তালুকদার স্টোর, মেসার্স বাবুল স্টোর, জহির স্টোর, করিম স্টোর, ভাই ভাই স্টোর, আঃ করিম ভ্যারাইটিজ স্টোর, বেলায়েত স্টোর, হোসেনের চা স্টোর, জাহাঙ্গীর স্টোরসহ ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রামগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলেজে ক্লাস চলাকালীন সময় বহিরাগত চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন জিয়া ও রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গুরুতর আহত ফয়সাল ও মানিককে জরুরি চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রামগঞ্জে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ গুলি : আহত ২০
রামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্র“পে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগ নেতা ফজল করিম ও মোঃ রিপন গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতরা হচ্ছেন- ছাত্রলীগ নেতা মাহামুদুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, মানিক, ফয়সাল, পান্না, রুবেল হোসেন, সৌরভ হোসেন, ইমরান হোসেন, মানিক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সবুজ হোসেন, সাহিদ, মাহাবুব, ফজলুল করিম, রুবেল, তৌহিদুল ইসলাম, রবিন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ। তাদের রামগঞ্জ, চাটখিল, মাইজদী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরেিদক সংঘর্ষের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক আবু তাহের গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ কেন্দ্র করে রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা সব প্রকার যানচলাচল বন্ধ ছিল।
জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টায় বাণিজ্য বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম রামগঞ্জ সরকারি কলেজে প্রবেশ করলে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আলাউদ্দিন তাকে কলেজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির খবর পার্শ্ববর্তী সোনাপুর বাজার নন্দনপুরে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের মাহামুদুর রহমান ও ইমরান হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সংবাদে ছাত্রলীগ নেতারা সাঁতারপাড়া-নন্দনপুর এবং সোনাপুর-কলচমা গ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর মধ্যে দুই গ্র“পে সোনাপুর-রামগঞ্জ সড়কে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে থানার ওসি তদন্ত মাহাবুবুর রেজা আলফু ও এসআই শামছুল আরেফিনের নেতৃত্বে পুলিশ ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। অপর দিকে সংঘর্ষ চলাকালে সোনাপুর বাজার ও চৌরাস্তা মৌড়ে সোহাগ স্টোর, সৈকত স্টোর, তালুকদার স্টোর, মেসার্স বাবুল স্টোর, জহির স্টোর, করিম স্টোর, ভাই ভাই স্টোর, আঃ করিম ভ্যারাইটিজ স্টোর, বেলায়েত স্টোর, হোসেনের চা স্টোর, জাহাঙ্গীর স্টোরসহ ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রামগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলেজে ক্লাস চলাকালীন সময় বহিরাগত চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন জিয়া ও রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গুরুতর আহত ফয়সাল ও মানিককে জরুরি চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।