Logo
Logo
×

রাজনীতি

শরিয়াহ আইন কায়েম হলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর বর্তাবে কি, যা বললেন শিশির মনির

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

শরিয়াহ আইন কায়েম হলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর বর্তাবে কি, যা বললেন শিশির মনির

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ফাইল ছবি

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে শরীয়াহ আইন কায়েম করবে কিনা, করলেও সেই আইন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর প্রয়োগ হবে কিনা, এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াতে ইসলামীর এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। 

 শরীয়া আইন কায়েম হলে সেই আইনটা হিন্দুদের উপরও বর্তাবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে শিশির মনির বলেন, ‘ইসলামের আইনটা কি? ইসলামের আইনটা হল যদি কার সুনির্দিষ্টভাবে চুরি প্রমাণিত হয় তাহলে তার হাত কাটা যাবে। এখন প্রশ্ন হল এটা দেখতে হবে যে অতীতে এই বিধানটাকে কিভাবে ইন্টারপ্রেট (ব্যাখ্যা) করা হয়েছে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন শিশির মনির।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ইসলামের যুগ ছিল, পৃথিবীতে খোলাফায়ে রাশেদের যুগ ছিল না? প্রায় ৮০০ বছর তো সেই সময় তো দুনিয়া চালিয়েছে। আইনকে ইন্টারপ্রেট করতে গেলে আপনাকে নজির টানতে হবে। আপনি দেখেন তো কয়জন মানুষের হাত কেটেছেন! আর কোন জায়গায় গিয়ে চুরির বিধানটাকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে স্টে করে দিয়েছেন। আমরা যখন খুব ঢিলাঢালাভাবে সরলীকরণ করে ফেলি যে এটা মানেই হল হাত কাটা।

এটা মানেই হল এই করা। ওটা দিস ইজ মিস ইন্টারপ্রেটেশন।’

 ইসলামিক আইনের কোনো পরিবর্তন করবে কিনা প্রশ্ন করা হলে শিশির মনির বলেন, ‘এই আনাটানার প্রশ্ন তো বাইনারি প্রশ্ন। বাইনারি না তো ব্যাপারটা।

সোশ্যাল এবং আইনের স্ট্যাটাসকে বাইনারি দিয়ে বোঝা যাবে না। বুঝতে হবে পার্টিকুলার ফ্যাক্টের আলোকে। আপনি যখন এটাকে ইন্টারপ্রেট করবেন তখন শাস্তির বিধান ঠিক হবে। যেমন ধরুন, আমি পরিকল্পনা করে একজন মানুষকে চারদিন ধরে বন্দি রেখে হত্যা করে মারলাম এটা একটা মার্ডার। আবার পারস্পরিক উত্তেজনার বশবর্তী ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে কাউকে মার্ডার করা হলো। সেটা একটি। এই জায়গায় পরিবর্তন মানে বিধানকে আমরা বাইনারি সিস্টেমে দেখলে কাজ হবে না। দেখতে হবে বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে যা আছে এর মধ্যে যে পরিবর্তন যদি আসে, এই পরিবর্তনগুলো আসার সঙ্গে ধর্মীয় বিধান ইমপ্লিমেন্ট করে ভয়ভীতি হওয়ার এখানে কিছু নাই।’

অন্যান্য ধর্মাবলমীদের ক্ষেত্রে কী হবে— এই প্রশ্নে শিশির মনির বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে আপনি দেখবেন সব ধর্মের জন্যই পেনাল কোড প্রযোজ্য হবে। সিমিলারলি একই রকম। এখানে বাড়তি কোন হার্সনেসও নাই। বাড়তি কোনো এক্সেপশনাল ক্যাটাগরিও নাই।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম