|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশে আবারো ফ্যাসিবাদের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, কিছুটা স্বস্তির মধ্যে চললেও ক্রান্তিকাল পার করছে দেশ। কখনো কখনো আবারো ফ্যাসিবাদের কণ্ঠের আওয়াজ শুনতে পাই, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বিপজ্জনক।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের ক্যানসার আক্রান্ত ছোট ভাই মাহমুদুল্লাহ বিন জিসানের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আমাদের ক্রন্তিকাল এখনো শেষ হয়নি। একটা স্বস্তির মধ্যে থাকলেও এখনো ৬০ লাখ বিএনপির নেতাকর্মী মামলা থেকে অব্যাহতি পায়নি। এখনো কেন প্রত্যাহার হচ্ছে না? শেখ হাসিনার দোসরদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ করছেন না, সেখানে প্রশাসন নিয়োগ দেন। চালু রাখেন বা টেকওভার করেন। যাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা ছাঁটাই না হয়।
তিনি বলেন, আজও কেন বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতার করা হয়নি? উনি গণতন্ত্রের ধারা বন্ধ করে দিয়ে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদ হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়ে গেছেন। দেশি ও বিদেশি গণতন্ত্রবিরোধী চক্রান্তে সুপরিকল্পিতভাবে খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের আইন থাকলেও গণতন্ত্র একটা স্পেস পেত। শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদ কায়েম করার জন্য তারা সুযোগ করে দিয়ে গেছেন।
রিজভী বলেন, বিচারপতি আসাদুজ্জামান মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সাজা দিলেন। এরপর হাইকোর্টের আরেকজন বিচারপতি ইনায়েত ৫ বছর সাজা বাড়িয়ে দিলেন। এরা কেন আজও ধরাছোয়ার বাইরে। এরাই গণতন্ত্র হত্যাকারী, শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদ কায়েমের হাতকে শক্তিশালী করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কেএম নুরুল হুদা- কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না? এরাই তো হচ্ছে নির্বাচন ধ্বংসকারী। পৃথিবীর যে প্রান্তে থাকুক না কেন এই সমস্ত গণতন্ত্রবিনাসী দানবদের গ্রেফতার করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের।
তিনি আরও বলেন, এখনো তো আদালত, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর কারো কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তাহলে মূল অপরাধীরা কেন আজও বাইরে?
অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
