আ.লীগ ও ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা লাগানোর আশঙ্কা গয়েশ্বরের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আওয়ামী লীগ ও ভারতের রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা লাগানো হতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটি দাঙ্গা প্রয়োজন। তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরাতে পারে। নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সেজন্যই সবার সজাগ থাকতে হবে, আমাদের জাতীয় স্বার্থে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত সনাতনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন। এই অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর পেছনে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দেবে।
তিনি বলেন, কোনো মানুষই সাম্প্রদায়িক নয়, কোনো ধর্মই নয়। কিন্তু কখনো কোনো কিছু মোকাবিলা করার জন্য দাঙ্গা ফ্যাসাদ করাতে হয়, যাতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আরেক দিকে চলে যায়। এরশাদও ৮৮ সালে এ কাজটা করেছিল।
হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু। হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে। এক ভাই যায়, তিন ভাইয়ের জায়গা লিখে দিয়ে যায়। অনেক পুরোনো জমিদার বাড়িতে মন্দির আছে। কিন্তু মন্দির দেবোত্তর নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কলকাতায় আওয়ামী লীগের একটি অফিস নেওয়া হয়েছে। ওই অফিসে সব বড় বড় নেতার যাতায়াত শুরু হয়েছে। কারণটা কী? আমাদের দেশের মানুষ ভাবছে কোনো কিছু সেখান থেকে করা হচ্ছে কিনা। একটি অত্যন্ত বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনা করা হচ্ছে কিনা। একজন মেজর ধরা পড়ছে। সে আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এরকম দেখি আরও আছে। এই ঘটনাগুলো কিসের? কলকাতায় কার্যালয় আর বাংলাদেশের ভেতরে এসব ঘটনার যে যোগসূত্র নেই তা বলা যাবে না। মাস্টারমাইন্ড হয়ে শেখ হাসিনা সেখান থেকে বাংলাদেশবিরোধী কার্যকলাপ শুরু করেছে।
পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চেৌধুরী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদষ্টো মাহাদী আমিন, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক প্রমুখ।

