‘১৪৪ ধারা আর কোথাও দিয়ে লাভ হবে না’
যুগান্তর প্রতিবেদন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
০৮ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৪৮:০১ | অনলাইন সংস্করণ
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি যে আলোচনা শুরু করছেন, সেটি আগামী নির্বাচনে ভোট চুরির একটি প্রক্রিয়ার অংশ- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলি বাজারে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে ১৪৪ ধারা জারির পর কার্যত এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় নেতাকর্মীরা। তবে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৪৪ ধারা আর কোথাও দিয়ে লাভ হবে না। ধারার সময় শেষ হয়ে গেছে। অন্যান্য জায়গার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও ধারা কাজ হয়নি। জোয়ার শুরু হলে বাধা দিয়ে রাখা যায় না।
তিনি বলেন, এখন নাকি আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা শুরু করেছেন। কীসের আলোচনা? যারা ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট চুরি করেছে- সেই চক্র আগামী নির্বাচনে ভোট কীভাবে চুরি করবে, সেই আলোচনা চলছে। এই আলোচনাটা মূলত আগামী নির্বাচনের ভোট চুরির প্রক্রিয়ার অংশ। দেশের মানুষ নিবিড়ভাবে ভোট চোরদের পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি বলেন, চোরদের বলতে চাই- সেই পথ থেকে সরে আসুন। বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। ভোট চোর ধরতে হবে। যেখানেই এই চোরদের দেখবেন, জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। এদের বলবেন তুই চোর, ভোট চোর। এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে হেঁটে গেছেন। এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- অর্থবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও সাবেক প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক একে একরামুজ্জামান সুখন প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘১৪৪ ধারা আর কোথাও দিয়ে লাভ হবে না’
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি যে আলোচনা শুরু করছেন, সেটি আগামী নির্বাচনে ভোট চুরির একটি প্রক্রিয়ার অংশ- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলি বাজারে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে ১৪৪ ধারা জারির পর কার্যত এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় নেতাকর্মীরা। তবে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৪৪ ধারা আর কোথাও দিয়ে লাভ হবে না। ধারার সময় শেষ হয়ে গেছে। অন্যান্য জায়গার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও ধারা কাজ হয়নি। জোয়ার শুরু হলে বাধা দিয়ে রাখা যায় না।
তিনি বলেন, এখন নাকি আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা শুরু করেছেন। কীসের আলোচনা? যারা ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট চুরি করেছে- সেই চক্র আগামী নির্বাচনে ভোট কীভাবে চুরি করবে, সেই আলোচনা চলছে। এই আলোচনাটা মূলত আগামী নির্বাচনের ভোট চুরির প্রক্রিয়ার অংশ। দেশের মানুষ নিবিড়ভাবে ভোট চোরদের পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি বলেন, চোরদের বলতে চাই- সেই পথ থেকে সরে আসুন। বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। ভোট চোর ধরতে হবে। যেখানেই এই চোরদের দেখবেন, জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। এদের বলবেন তুই চোর, ভোট চোর। এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে হেঁটে গেছেন। এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- অর্থবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও সাবেক প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক একে একরামুজ্জামান সুখন প্রমুখ।