|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মিসরীয় রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক বুট্রোস বুট্রোস ঘালি ১৯২২ সালের ১৪ নভেম্বর কায়রোয় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের ষষ্ঠ মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মহাসচিব হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার আগে বুট্রোস ঘালি ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত মিসরের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। সেসময় একজন দক্ষ কূটনীতিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি একজন শিক্ষাবিদও ছিলেন এবং ১৯৪৯ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যাপনা করেন।
তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের সময়ে, যিনি তাকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন। এই পদে তিনি সাদাত এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিনের মধ্যে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি এবং মিসর-ইসরাইল শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনায় সহায়তা করেছিলেন।
বুট্রোস ঘালি ছিলেন ওই অঞ্চলের প্রথম ব্যক্তি, যিনি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি বেশ কয়েকটি বিশ্ব সংকটের সময়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান করেছেন। ১৯৯২ সালে সোমালিয়া, রুয়ান্ডা, মধ্যপ্রাচ্য ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার এবং উপসাগরীয় যুদ্ধ পরিস্থিতির সময় তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘ রুয়ান্ডার গণহত্যা থামাতে না পারায় বুট্রোস ঘালি সমালোচিত হন। এছাড়া বসনিয়ায় ন্যাটো বাহিনীকে বোমা হামলা করতে সম্মতি না দেওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর নাখোশ ছিল।
জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব শেষে বুট্রোস ঘালি ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা লা ফ্রাঙ্কোফোনির প্রথম মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আন্তঃসরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সাউথ সেন্টারের চেয়ারম্যান হন। তিনি ২০১৬ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি ৯৩ বছর বয়সে কায়রোয় মারা যান।
