Logo
Logo
×

স্মরণীয়-বরণীয়

শেখ হবিবর রহমান

Icon

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাহিত্যিক, সাংবাদিক শেখ হবিবর রহমান সাহিত্যরত্ন ১৮৯১ সালের এপ্রিল মাসে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার ঘোষগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শেখ দেরাজতুল্লাহ এবং দাদার নাম শেখ হেরাজতুল্লাহ। শেখ হবিবর রহমান ১৯১০ সালে যশোর জিলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং ১৯১২ সালে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। তিনি ১৯২৩ সালে ডেভিড হেয়ার কলেজ থেকে এলটি পাশ করেন।

হবিবর রহমান ১৯১৪ সালে যশোর জিলা স্কুলের শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত বারাসাত সরকারি হাইস্কুল, হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুল ও বারাকপুর গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি খুলনায় মক্তব সাব-ইনস্পেক্টর হন এবং ১৯৪৪ সালে অবসর গ্রহণের পর ১৯৫১ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত খুলনা করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

সাংবাদিকতা পেশায় হবিবর রহমান সাপ্তাহিক মোহাম্মদী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক (১৯১৪) এবং মাসিক বঙ্গনূর (১৯১৯) ও ঊষা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। সাহিত্যিক ও লেখক হিসাবে কবিতা, কিশোর রচনা, ইতিহাস, অনুবাদ, ধর্ম, ব্যঙ্গাত্মক রচনা, আত্মজীবনী ইত্যাদি শাখায় তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলো : পারিজাত (১৯১২), আবে হায়াত (১৯১৪), চেতনা (১৯১৫), পরীর কাহিনী (১৯১৬), হাসির গল্প (১৯১৭), নিয়ামত (১৯১৭), কোহিনূর (১৯১৯), মালাবারে ইসলাম প্রচার (১৯১৯), সুন্দরবনের কাহিনী (১৯২৭), আমার সাহিত্যজীবন (১৯২৭), মহাকবি শেখ সাদীর গুলিস্তাঁর বঙ্গানুবাদ (১৯৩৩), বুস্তার বঙ্গানুবাদ (১৯৩৪), ছোটদের গল্প (১৯৩৫), ভারত সম্রাট বাবর (১৯৩৬), মরণের পরে (১৯৫০) ইত্যাদি।

প্রকৃতি ও মানবপ্রেম, ইতিহাস ও সমাজবোধ এবং মুক্তচিন্তা তার রচনার প্রধান গুণ। ‘নদীয়া সাহিত্য সভা’ তাকে ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করে। সাহিত্যক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। শেখ হবিবর রহমান ১৯৬২ সালের ৭ মে খুলনায় মৃত্যুবরণ করেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম