Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

সারা টেন্ডুলকার যেভাবে মুক্তি পেলেন জটিল রোগ থেকে

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ০২:৫১ পিএম

সারা টেন্ডুলকার যেভাবে মুক্তি পেলেন জটিল রোগ থেকে

ছবি: সংগৃহীত

সারা টেন্ডুলকারের সৌন্দর্য ও ছিপছিপে গড়ন দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে তিনি একসময়ে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে (পিসিওএস) ভুগছিলেন। বয়ঃসন্ধির সময় থেকেই পিসিওএস ধরা পড়ে সারার। লক্ষণও প্রকাশ পেতে থাকে একটু একটু করে। সেই সময়ে নিজের চেহারা নিয়ে একটু বেশিই সচেতন হয়ে পড়েছিলেন সারা টেন্ডুলকার। তবে কেবল ওষুধে ভরসা রাখেননি তিনি। বদলে ফেলেছিলেন জীবনযাপনের ধরনও। এখন সম্পূর্ণভাবে তিনি পিসিওএসমুক্ত। হরমোনঘটিত এ রোগ নিয়ে এ দেশের অনেক মেয়েই নাজেহাল। ওষুধপত্র, ডায়েটেও রোগ সারে না অনেকের। তাই সারা যেভাবে এই ব্যাধি সারিয়ে উঠলেন, তা জেনে রাখা ভালো।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে সারা টেন্ডুলকার পিসিওএসমুক্ত হলেন—

সারা তখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তেন। পিসিওএসের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে সেই সময়ে থেকে। গোটা মুখে ভরে যায় ব্রণে। সেই সঙ্গে শরীরে লোমের আধিক্যও দেখা দিতে থাকে। ত্বক তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে ওজন। ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন শচীনকন্যা। 

মেকআপ দিয়েই ত্বকের অতিরিক্ত লোম ও ব্রণ-ফুসকুড়ি ঢাকতে হতো তাকে। তিনি যে পিসিওএসে আক্রান্ত, তা ধরা যায় আরও পরে। সেই সময়ে নানারকম ত্বকের থেরাপি, ওষুধ, রেটিনল ট্রিটমেন্ট করাতে শুরু করেন সারা। মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিকও খেতে শুরু করেন তিনি। তবে তাতে লাভ হয়নি। 

পিসিওএসে ভুগছেন— এমন কম বয়সি মেয়েদের অনেকেই এ ভুলগুলো করে থাকে। সারা জানান, কোনো কিছুতেই লাভ না হওয়ায় তার মা চিকিৎসক অঞ্জলি টেন্ডুলকর ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে জীবনযাপনের ধরনই বদলে ফেলেন তিনি।

পিসিওএসে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো— ওজন বৃদ্ধি। স্থূলত্বের কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে এই রোগ হতে পারে। আবার পিসিওএস হওয়ার কারণেও ওজন বাড়তে পারে। তাই শুরুতেই কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে প্রোটিন ডায়েট শুরু করেন সারা। এতে দ্রুত ওজন কমতে থাকে। সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসেও বদল আনেন শচীনকন্যা। 

সারার দিন শুরু হতো এক গ্লাস পানি আর কয়েকটি বাদাম ও কালো কফি খেয়ে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে দুধ-চিনি একেবারেই ছেঁটে ফেলেন তিনি। নরম পানীয় ছেড়ে ডিটক্স পানীয় খাওয়া শুরু করেন। পাশাপাশি শরীরচর্চাও শুরু করেন। সারা জানান, খুব সকাল সকাল উঠে তিনি শরীরচর্চা সেরে ফেলতেন। তার পর কালো কফি খেতেন। এতে সারা দিনের কাজে উৎসাহ ও শক্তি— দুই-ই পেতেন তিনি। রাতের খাওয়া খেতেন খুব তাড়াতাড়ি। নিয়মমতো শরীরচর্চা ও ডায়েটই তাকে রোগমুক্ত হতে সাহায্য করে।

এদিকে চিকিৎসক পুষ্পিতা মণ্ডল পিসিওএসে ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানালেন। তিনি বলেন, পিসিওএস থাকলে ডায়েট কেমন হবে, তা চিকিৎসকের কাছ থেকেই জেনে নিতে হবে। দিনে ঘন ঘন কালো কফি খেলেই যে ওজন কমবে তা নয়, এতে ক্যাফিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে অন্য বিপত্তি হতে পারে। তা ছাড়া ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং সবার জন্য নয়। তার চেয়ে সুষম ডায়েট করলেই লাভ হবে বেশি। 

পুষ্পিতা মণ্ডল বলেন, পিসিওএসে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে। তবে প্রতিদিনের খাওয়ায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পরিমাণমতো থাকতে হবে। শুধু প্রোটিন খেয়ে থাকলে চলবে না। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা ভীষণ জরুরি। তবে ডায়েট কিংবা শরীরচর্চা সবই চিকিৎসকের পরামর্শমতোই করতে হবে বলে জানান এ চিকিৎসক।

সারা টেন্ডুলকার শচীন টেন্ডুলকার

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম