ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এক সময়ে হোটেলের ঘরে বসে এক সপ্তাহে ৪০টি টফি (মিষ্টি জাতীয় খাবার) খেয়ে নিতেন। নিয়মিত খেতেন মিষ্টি। তার পরেও বিরাট কোহলির ফিটনেস জার্নি অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার। সদ্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও অনুরাগীদের একাংশের ধারণা—এখনো কোহলির ফিটনেস প্রশংসনীয়। ফিট থাকতে কঠোর পরিশ্রম করেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাট কোহলি বলেন, ২০১২ পর্যন্ত আমি খুবই আনফিট ছিলাম। আমি ভাবতাম, নিয়মিত প্র্যাকটিস করা মানেই ফিটনেস। কিন্তু ম্যাচে একের পর এক ব্যর্থতার পর ভুল ভাঙে। ফিরে তাকাতে হয়নি এরপর। ফিটনেসের নিরিখে আরও হয়ত কয়েক বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারতেন কোহলি। কীভাবে এতটা ফিট থাকেন তিনি? তারকা ক্রিকেটারের এই ফিটনেসের নেপথ্যে রয়েছে পরিশ্রম ও নিষ্ঠা।
নিয়ম মেনে চলা
যে কোনো ফিটনেস রুটিনে নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজন। বিরাট দৈনন্দিন জীবনে নিয়ম মেনে চলতে পছন্দ করেন। নিয়মে বাঁধা জীবন তার ফিটনেসের অন্যতম মূল কারণ।
নিয়মিত শরীরচর্চা
প্রতি দিন সকালে নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন বিরাট কোহলি। তালিকায় থাকে কার্ডিও এবং হাই ইন্টেনসিটি ট্রেনিং। এর ফলে তার স্ট্যামিনা বজায় থাকে। এ ছাড়া শারীরিক নমনীয়তা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন ফাংশনাল ট্রেনিংও করে থাকেন তিনি। সপ্তাহে ৬ দিন জিমে শরীরচর্চা করেন বিরাট।
কঠোর ডায়েট
ফিটনেসের নেপথ্যে ডায়েটের বড় অবদান থাকে। এক সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেছিলেন— আমি একই খাবার দিনে তিনবার করে ছয় মাস খেতে পারি। কোনো সমস্যা হয় না। এর থেকেই বোঝা যায়, ডায়েটকে তিনি বিপুল গুরুত্ব দেন। বিরাটের প্রতি দিনের খাবারের ৯০ শতাংশই সিদ্ধ খাবার থাকে এবং তার মধ্যে নামমাত্র তেল-মসলা থাকে। ডাল এবং বিভিন্ন ঝোলের পদ তার পছন্দ। এ ছাড়া উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ওপরেও তার ডায়েটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিরাট কোনো দুগ্ধজাত খাবার খান না। সারা দিনের খাবারে চিনি থাকে না।
ফিট থাকতে হলে দেহে পানির মাত্রা বজায় রাখা উচিত। আর সারা দিনের পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিরাট নিয়ম মেনে চলেন। মূলত তিনি বেশি ক্ষার যুক্ত পানি পান করেন। একটি সূত্রের দাবি—বিরাটের জন্য সেই বিশেষ পানি ফ্রান্স থেকে আনানো হয়। ভারতীয় মুদ্রায় সেই এক লিটার পানির দাম প্রায় চার হাজার টাকা। এ ধরনের পানি পান করলে দেহে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানের অভাব ঘটে না। এ ছাড়া সারা দিনে সতেজ থাকতে বিরাট ডাবের পানি এবং বিভিন্ন ফলের রস পান করেন।
অভিনেত্রী স্ত্রী আনুশকা শর্মা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন—ঘুমের সঙ্গে কোনো রকম আপস করতে রাজি নন বিরাট। ঘুম শরীরকে তার প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। তাই দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করেন কোহলি।
