সাঁতারুদের অনুশীলনের জন্য টাকা-পয়সা নেন না মাসুদ— সংগৃহীত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কোনো সাঁতারু অসুস্থ হলে খোঁজ পড়ে কোচ মাসুদ রানার। টুর্নামেন্টের আগে তার কাছ থেকে সাঁতারু নেয় ক্লাবগুলো। সব সময় প্রস্তুত বগুড়ার এই সাঁতার কোচ। মিরপুরের সাঁতার কমপ্লেক্সে মাসুদ রানা ও নীলুফার ইয়াসমিন দম্পতি হাজির সাঁতারুদের নিয়ে।
মাসুদ রানার হাতে স্টপ ওয়াচ। মুখভর্তি পান। পুলের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে দৌড়াচ্ছেন। সাঁতারুর টাইমিং, কোন ক্লাব থেকে পদক জিতল, জানতে তার ছোটাছুটি। এবারের জাতীয় বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে ১৫ জন সাঁতারু ঢাকায় নিয়ে এসেছেন মাসুদ রানা।
একেবারে ফ্রি। বগুড়ার ভাষায় মাগনা। আমি সাঁতার শেখাতে কারও কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিই না। আমৃত্যু এটা করে যাব। বড় দলকে অনেক সোনার পদক দিয়েছি। এ পর্যন্ত ১০৪টি সোনা জিতেছে আমার ছেলেমেয়েরা।
মাসুদ রানা, সাঁতার কোচ
বগুড়া শহরের সাতমাথা গোয়াল রোডে একসময় জ্বালানি তেল বিক্রি করতেন তিনি। সেই ব্যবসা ছেড়ে এখন পুরো সময় সাঁতারু তৈরির পেছনে দেন।
বয়সভিত্তিক সাঁতারে তার ও বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে এ পর্যন্ত ১০৪টি সোনা জিতেছে মাসুদ রানার হাতে গড়া সাঁতারুরা। তিনি সাঁতারুদের অনুশীলনের জন্য টাকা-পয়সা নেন না।
মাসুদ বলেন, ‘একেবারে ফ্রি। বগুড়ার ভাষায় মাগনা। আমি সাঁতার শেখাতে কারও কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিই না। আমৃত্যু এটা করে যাব। বড় দলকে অনেক সোনার পদক দিয়েছি। এ পর্যন্ত ১০৪টি সোনা জিতেছে আমার ছেলেমেয়েরা। এর মধ্যে ২২টিতে নতুন রেকর্ড হয়েছে।’
সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার সাঁতারু তৈরি করেছেন তিনি। গর্বের সঙ্গে বলেন, ‘এ পর্যন্ত বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র জাতীয় সাঁতারে সব মিলিয়ে ১২,২৩৭ জনকে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছি। সবাইকে ফ্রি শিখিয়েছি। কোনো ডোনেশন নিইনি। জেলা ক্রীড়া সংস্থারও সহযোগিতা পাইনি।’
১৯৮৮ সাল থেকে সাঁতারের কোচিং করান তিনি। সাঁতারু ছিলেন। সাফল্য অনেক পরে এসেছে, ‘২০১৭ সাল থেকে আমার সাঁতারুরা সোনা জেতা শুরু করে। এ পর্যন্ত দুবার সেরা পুরস্কার পেয়েছে আমার সাঁতারু।’
