
ইংল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সেনেগাল—ছবি: সংগৃহীত
এমন কিছু যে হবে—কল্পনাও করতে পারেননি টমাস টুখেল। হ্যারি কেইনও হতভম্ব। হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ার বদলে সিটি গ্রাউন্ড থেকে মাথা নিচু করে ফিরেছে ইংল্যান্ড দল। সাদিও মানেদের সেনেগাল অবশ্য ইতিহাস গড়েছে। আফ্রিকান দেশ হিসেবে প্রথমবার হারিয়েছে ইংলিশদের, তাও গোল ব্যবধান ৩-১!
চোখ কপালে ওঠার মতোই ব্যাপার। বছরখানেক আগে কেইনদের কোচ হয়ে আসা টুখেলের এটি প্রথম হার। ৪ ম্যাচের জয়যাত্রা থেমেছে জার্মান কোচের। ইংলিশদের থেমেছে ২১ জয়ের যাত্রা। আফ্রিকান দেশের বিপক্ষে আগের ২১ ম্যাচের ১৫টিতেই জিতেছিল ইংল্যান্ড। বাকি ছয়টিতে ড্র। এবার আসল চোখে আঙুল দেওয়া হার।

মাসকয়েক পরই বিশ্বকাপ, তার আগে দলের এই অবস্থায় বিব্রত কোচ টুখেল। অধিনায়ক কেইনের চাওয়া খুব দ্রুত পুরোনো রূপে ফেরা। নটিংহাম ফরেস্টের মাঠে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচটিতে পূর্ণ শক্তি নিয়ে নেমেছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের শুরুর ১০ মিনিটে এগিয়েও গিয়েছিল। তবে বাকি সময় ছিল সফরকারীদের। দিনটি পুরোটাই হয়েছে কালিদু কুলিবালিদের।
আরও পড়ুন
- বাংলাদেশের বাজে দিনে ভারতের আরেকটি হার
- ভিনির গোলে বিশ্বকাপ নিশ্চিত আনচেলত্তির ব্রাজিলের
- পিছিয়ে পড়ে আলমাদার গোলে ড্র করল ১০ জনের আর্জেন্টিনা
মঙ্গলবারের ম্যাচে বল দখলেই যা এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। বাকি গোলে শট, আক্রমণ এবং গোল—সব কিছুতেই টুখেলের শিষ্যদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে সেনেগাল। ৭ মিনিটের মাথায় গোল পেয়েছিলেন কেইন। তবে প্রতিপক্ষের আক্রমণে সেটি ধোপে টেকেনি। বিরতির আগে ৪০ মিনিটে ইসমালিয়া সার ফেরান সমতা। দ্বিতীয়ার্ধে দাপট দেখান সফরকারীরা।
৬২ মিনিটে হাবিব দিয়ারার গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল। যোগ করা সময়ে ইংলিশদের হারে পেরেক ঠুকে দেন চিক সাবালি। তাতেই আসে বড় হার। ইংল্যান্ডের কোচিংয়ে আসার পর টুখেলের এটি প্রথম হার। বিশ্বকাপে কমাস আগে এমন হার নিয়ে তটস্ত হয়েছে ইংলিশরা। হ্যারি কেইন অবশ্য আশাবাদী তারা দ্রুত পুরোনো রূপে ফিরবেন।
‘আমরা প্যানিকড হচ্ছি না। তবে আমাদের দ্রুত ভালো কিছু করতে হবে। অনেক নতুন আইডিয়া আছে, নতুন খেলোয়াড় আছে এবং কোনো এক্সকিউজ চলবে না। আমাদের রিদম ফিরে পেতে হবে, দ্রুত।’
ম্যাচ শেষে কেইন বলেছেন, ‘আমরা প্যানিকড হচ্ছি না। তবে আমাদের দ্রুত ভালো কিছু করতে হবে। অনেক নতুন আইডিয়া আছে, নতুন খেলোয়াড় আছে এবং কোনো এক্সকিউজ চলবে না। আমাদের রিদম ফিরে পেতে হবে, দ্রুত।’ অধিনায়কের মতো কোচ টুখেলেরও একই মত, ‘হতাশাজনক ফল। আমরা খুব সহজ দুটি গোল খেয়েছি। এক গোল খাওয়ার পর আমাদের প্রতিক্রিয়া ভালো ছিল। আরো এগ্রেসিভ, আরও গোছাল। কিন্তু আমাদের দ্রুতই নিজেদের উন্নতি করতে হবে।’
এমন জয়ে যানপরনাই খুশি সাদিও মানেদের দল। সেনেগালের অধিনায়ক কালিদু এই জয়কে আফ্রিকার কাপ অব নেশন্স জয়ের সঙ্গে তুলনা করেছে। এমন উচ্ছ্বাস হওয়া অস্বাভাবিক নয় বটে!