
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটা একরাশ আক্ষেপ নিয়েই শেষ হলো বাংলাদেশের। শেষ সময়ে নিশ্চিত পেনাল্টি না পাওয়ার আক্ষেপ সে কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটাই দিচ্ছে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও ম্যাচ শেষে উষ্মা প্রকাশ করলেন এ বিষয়টা নিয়ে।
ম্যাচের যোগ করা সময় চলছে তখন। তার তৃতীয় মিনিটে বাংলাদেশের ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বল পায়ে দারুণ কাজ দেখিয়ে বাম প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে যান। তাকে থামাতে পেছন থেকে স্লাইডিং ট্যাকল করেন সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজিব।
তবে ট্যাকল করেও বল নাগালে আসেনি তার। উলটো পরিষ্কারভাবেই তার পায়ের আঘাতে পড়ে যান ফাহিম। কিন্তু এরপরও ফিলিপাইনের রেফারি ক্লিফফোর্ড দায়ফুয়াট পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। বল লাইন অতিক্রম করায় তিনি বাংলাদেশকে কর্নার দেন।
তবে তার সেই সিদ্ধান্ত যে একেবারেই ভুল ছিল, তা টিভি রিপ্লেতেই পরিষ্কার হয়ে যায়। সেখানে নিশ্চিত পেনাল্টি না পাওয়ায় বাংলাদেশের সমতায় আসার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়।
এমন ফাউল হলে রেফারিরা সাধারণত পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের রেফারি সেটা করেননি। শেষমেশ বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরেছে ২-১ গোলে, ওই পেনাল্টি হলে সমতা ফেরালেও ফেরাতে পারত বাংলাদেশ।
সে প্রসঙ্গটা ম্যাচ শেষেও ছিল আলোচনায়। কোচ কাবরেরার মনে হয়েছে সেটা পেনাল্টিই ছিল। তিনি বলেন, ‘ফাহিমকে ওপর যে ফাউলটা হয়েছে, পেনাল্টিটা আমি দেখিনি। তবে আমার মনে হচ্ছে এটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। তখন আমরা পুরোদমে আক্রমণে আছি। ফুল প্রেশারে খেলছিলাম, প্রথম গোলটা করার পর। যদি পেনাল্টিটা হতো, ২-২ হতো। আমি যদি ভুল না করে থাকি, ম্যাচটা অন্তত ২-২ শেষ করার সুযোগ আসত। তবে কেন পেনাল্টি হয়নি আমি জানি না।’
ফাহিমের ওই ফাউলের শিকার হওয়ার ঘটনা তো আছেই, এর আগেও রেফারির কাজে উষ্মা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। বদলি নিয়ে এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ মোরসালিন ও আল-আমিনকে মাঠে নামানোর সময় এ ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, এ নিয়ে অফিশিয়ালরা বেশ সময় ব্যয় করেছেন। শেষমেশ বদলির বোর্ডে যে নির্দেশিকা দিয়েছেন, সেখানেও ছিল ভুল। সেখানে দেখানো হয় ‘মোরসালিনকে নামানো হচ্ছে সাদ উদ্দিনের জায়গায়’, কিন্তু আদতে সাদ উদ্দিন খেলেছেন একেবারে শেষ পর্যন্ত।
সে বিষয়টা নিয়ে কাবরেরা বলেন, ‘বদলি নিয়ে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছিল। এটা আমি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারিনি। আমার মনে হয়, তারা (সিঙ্গাপুর) হয়তো সময় নষ্ট করার চেষ্টা করছিল, যা স্বাভাবিক। আমি সেটা নিয়ে সমালোচনাও করছি না। তবে ম্যাচের গতি যেন থেমে না যায়, সে বিষয়টা মাথায় রেখে রেফারিরা চাইলে হয়তো সময়ক্ষেপণের ওই পরিস্থিতি আগেভাগেই থামাতে পারতেন।’
সব মিলিয়ে রেফারিং মনোপুত না-ই হওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। ম্যাচের ফলাফলটাও মনে ধরার মতো হয়নি। বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরেছে ২-১ গোলে। এবার দলের পরবর্তী লক্ষ্য হংকং। আসছে ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে হোম ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ, এরপর ১৪ অক্টোবর তাদেরই আতিথ্য নেবে কোচ কাবরেরার শিষ্যরা।