শান্তর রেকর্ড ভাঙা সূর্যবংশীকে দেখতে যে পাগলামি করলেন দুই নারী ভক্ত
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
সেই দুই নারী ভক্তের সঙ্গে বৈভব সূর্যবংশী/সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বৈভব সূর্যবংশী হয়ে উঠেছেন ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের নতুন ভালোবাসা। আইপিএলে নজর কেড়েছেন। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে তুলোধুনো করেছেন বোলারদের।
এমন পারফর্ম্যান্স দিয়ে সূর্যবংশী তাকে নিয়ে উন্মাদনাটা বাড়িয়ে দিয়েছেন আরও। দুই নারী ভক্ত তাকে দেখতে রীতিমতো পাগলামিই করে বসলেন। সে খবর জানিয়েছে তার আইপিএল দল রাজস্থান রয়্যালস।
ইংল্যান্ড সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে তিনি করেন ১৪৩ রান, যেটি এখন অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। এর আগে পাকিস্তানের কামরান গুলামের ছিল এই রেকর্ড। এই সেঞ্চুরিতে তিনি বাংলাদেশের সদ্য সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর বিশ্বরেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন। যুব ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি এখন সূর্যবংশীর দখলেই।
তার খেলা দেখতে ভক্তরা ছুটে আসছেন ইংল্যান্ডের নানা প্রান্ত থেকে। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ২০২৫ আইপিএলে খেলা এই তরুণ ব্যাটারকে এক ঝলক দেখার জন্য নারী ভক্তরা যা করলেন, তা রীতিমতো সীমা ছাড়িয়েছে।
দুই কিশোরী—আন্যা ও রিভা, যাদের বয়সও বৈভবের সমান, ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যান ওরচেস্টারে, যেখানে অনুষ্ঠিত হয় সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে। তারা রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি গায়ে দিয়ে ছবি তোলেন বৈভবের সঙ্গে।
সেই ছবি রাজস্থান রয়্যালস নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে লেখে, ‘সেরা ভক্তরা আমাদেরই হয়ে থাকে। ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে এল ওরা, পরে পরেছে পিংক, সমর্থন দিয়েছে বৈভব ও ভারতীয় দলকে। ১৪ বছরের অ্যান্যা আর রিভা—বৈভবের সমবয়সী—একটি স্মরণীয় দিন কাটিয়েছে।’
সূর্যবংশী এবারের আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হন। আইপিএল ইতিহাসে এটিই দ্বিতীয় দ্রুততম শতক। তার অভিষেক হয়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে, যেখানে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে জানান দেন নিজের আগমনের বার্তা।
এর আগে ২০২৫ সালের আইপিএল নিলামে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১.১ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। রাজস্থান রয়্যালস তাকে দলে ভেড়ায়, আর এখন তিনিই সেই দলের অন্যতম তারকা।



