Logo
Logo
×

টিপস

অ্যালার্জির সঙ্গে কোনো আপস নয়, যেভাবে সতর্ক হবেন

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

অ্যালার্জির সঙ্গে কোনো আপস নয়, যেভাবে সতর্ক হবেন

ঋতু পরিবর্তনের সময়ে হাঁচি-কাশি বেড়ে যায়

মৌসুমি ঋতু পরিবর্তনের সময়ে আপনার হাঁচি-কাশি বেড়ে যায়। এটি একটি সাধারণ বিষয়। আর যদি হাঁচি-কাশি কিছুতেই না কমে, তবে তা ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’  বা  নাকে অ্যালার্জি হওয়ার একটি বড় লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এর থেকে সাবধানে থাকা ভীষণ জরুরি। আর অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, সেগুলো নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

নভেম্বরে গরমের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। অনেকেই ঋতু বদলের এ সময় সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। নাক থেকে অনবরত পানি পড়তে থাকে। চোখ ফোলা কিংবা গালের ত্বকে চুলকানিও দেখা যায়। এ উপসর্গ আমাদের নিত্যদিনের পরিচিত।

তবে এ লক্ষণগুলো যদি লাগাতার আপনাকে বিরক্ত করতে থাকে, তাহলে আগভাগে সাবধান হওয়া উচিত। 

আর শীতকালে সাধারণত অ্যালার্জি বাড়ে। আর ত্বকের অ্যালার্জি সহজেই চিনে নেওয়া সহজ হয়। তবে শ্বাসনালি, খাদ্যনালি কিংবা চোখের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় অ্যালার্জি দেখা দিলে তা সময় বিশেষে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস তেমনই একটি রোগ। এতে নাকের প্রদাহ বাড়ে। সাধারণত পরাগ বা ধূলিকণার কারণে এটি হয়ে থাকে। ফলে নাক বন্ধ হয়ে যায়, অনবরত নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে এবং সমানে হাঁচি হয়। চোখে চুলকানিও দেখা দেয়। প্রথমে ততটা সমস্যা না হলেও সময়মতো চিকিৎসা না করালে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

জেনে নিন অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের প্রধান লক্ষণগুলো কী কী

(১) কোনো অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলেই বারবার হাঁচি হতে থাকে।

(৬) রাতে গলার পিছনে শ্লেষ্মা পড়ার কারণে অনবরত কাশি।

(২) নাক থেকে পাতলা পানির মতো শ্লেষ্মা বের হতে থাকে।

(৪) নাক, চোখ, গলা বা কানের ভেতরে চুলকানি।

(৫) চোখ লাল হয়ে পানি বের হয়।

(৬) শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থেকে মুক্তির উপায়

অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আপনার কীসে অ্যালার্জি হয় তা জেনে নিয়ে সেগুলো এড়িয়ে চলুন। বালিশ, তোশক এবং লেপ-কম্বলে অ্যালার্জেন-ব্লকিং কভার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে একবার গরম পানি দিয়ে বিছানার চাদর ও বালিশের কভার ধুয়ে ফেলুন। আর সকাল ও বিকালে জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই পোশাক পালটে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করে নিন।

বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। পোষ্য প্রাণী থেকে দূরে থাকুন। ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে HEPA ফিল্টার যুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। সিগারেটের ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত লবণপানি দিয়ে নাক ধুয়ে ফেলুন। এতে নাকের ভেতরের অ্যালার্জেন ও শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয়। আর যদি এরপরেও উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম