যেসব ফ্রোজেন খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কর্মব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে অনেকেই সহজ ও দ্রুত উপায়ের দিকে ঝুঁকছেন। এর প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়েছে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে। ব্যস্ততার কারণে প্রতিদিন ঘরে রান্না করা সম্ভব না হওয়ায় অনেকেই ঘরে তৈরি খাবারের পাশাপাশি বাইরে থেকে আনা প্রক্রিয়াজাত ফ্রোজেন খাবার ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনমতো খাচ্ছেন।
ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করা নিঃসন্দেহে সুবিধাজনক হলেও গবেষণায় দেখা গেছে, সব ধরনের ফ্রোজেন খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। জনপ্রিয় এসব খাবারে সাধারণত অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা হৃদরোগসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। নিচে এমন কিছু ফ্রোজেন খাবারের কথা তুলে ধরা হলো, যেগুলো নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে—
ফ্রোজেন মাংস: ফ্রোজেন মাংস, বেকন ও সসেজে সাধারণত স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভের পরিমাণ বেশি থাকে। এসব খাবার নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
ফ্রোজেন ফ্রাই ও নাগেটস: ফ্রোজেন আলুর ফ্রাই, নাগেটসসহ বিভিন্ন স্ন্যাকস আগে থেকেই ভাজা থাকে। এতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি ও লবণের পরিমাণ বেশি এবং পুষ্টিগুণ কম। ফলে এগুলো খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ হয়, যা ওজন বৃদ্ধি ও হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ায়।
ফ্রোজেন পিৎজা ও ফাস্ট ফুড: এসব খাবারে পরিশোধিত ময়দার ক্রাস্ট, প্রক্রিয়াজাত পনির ও চর্বিযুক্ত টপিং ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত খাওয়ার ফলে উচ্চ ক্যালোরি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও লবণের কারণে ওজন বৃদ্ধি ও বিপাকজনিত সমস্যার ঝুঁকি তৈরি হয়।
অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত ফ্রোজেন খাবার: অধিকাংশ ফ্রোজেন খাবারে স্বাদ ও স্থায়িত্ব বাড়াতে অতিরিক্ত সোডিয়াম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। ঘন ঘন এসব খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের অবনতি এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফ্রোজেন মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার: আইসক্রিম ও অন্যান্য ফ্রোজেন মিষ্টিতে পরিশোধিত চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, ক্যালোরি গ্রহণ বৃদ্ধি পায় এবং বিপাকজনিত সমস্যার ঝুঁকি দেখা দেয়।
ফ্রোজেন খাবারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা: প্রক্রিয়াজাত ফ্রোজেন খাবার যদি নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প হয়ে যায়, তবে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এর ফলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও হজমজনিত সমস্যার মতো জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
