Logo
Logo
×

টিপস

মাথাব্যথার সঙ্গে যে লক্ষণ দেখা দেওয়া উদ্বেগের কারণ

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম

মাথাব্যথার সঙ্গে যে লক্ষণ দেখা দেওয়া উদ্বেগের কারণ

মাথাব্যথার সঙ্গে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। স্নায়বিক কোনো সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবে কখন সাবধান হবেন?

আমরা অনেকেই মাঝে মধ্যে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকি। কিন্তু সেসব ব্যথা হয় সাময়িক। কাজের চাপ, সর্দি-কাশি, সাইনাস কিংবা মাইগ্রেন ও শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাব— এসবই মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। তবে মাথাব্যথা যদি দীর্ঘদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যেমন— পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ওষুধ খেয়েও না কমা, তাহলে বড় কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে। বিষয়টি হালকাভাবে নিয়ে অবহেলা করা উচিত নয়।

দীর্ঘদিন ধরে মাঝে মাঝে বা একটানা মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগলে তা কখনো সাধারণ সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে মাথাব্যথার সঙ্গে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। স্নায়বিক কোনো সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কখন সাবধান হবেন?

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন সমস্যার কারণে মাথাব্যথা—

১. আপনার মাথাব্যথা যদি হঠাৎ তীব্র হয়, অসহ্য হয়ে ওঠে, তাহলে অবহেলা করবেন না, দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

২. আপনার যদি ঘন ঘন মাথাব্যথা হতে শুরু করে এবং তা তীব্র হয়, তাহলেও সতর্ক হন।

৩. কোনো কারণে মাথায় আঘাত লেগে থাকলে, তারপর ব্যথা শুরু হলে অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

৪. মাথাব্যথার সঙ্গে জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বিভ্রান্তি বা অতিরিক্ত ঝিমুনির মতো লক্ষণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৫. শরীরের কোনো অংশে দুর্বল বোধ করলে, অবশ লাগলে, কথা বলতে সমস্যা বা দৃষ্টির সমস্যা হলেও কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৬. ব্যথার চোটে যদি হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায় তাহলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৭. মাথাব্যথার সঙ্গে যদি আপনার ব্যালান্স বজায় রাখতে, চলাফেরা করতে বা স্মৃতিশক্তিতেও প্রভাব পড়ে, তা হলে সতর্ক হন।

কেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন?

পরীক্ষার কথা শুনলেই আমরা অনেকেই ভয়ে কুঁকড়ে যাই। কেউ কেউ চিকিৎসকের কাছে যেতেও চান না। কিন্তু কেন পরীক্ষা, কেন জরুরি, সে বিষয়ে ধারণা প্রয়োজন। দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক মাথাব্যথা কখনো কখনো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ, রক্তচাপের পরিবর্তন ও রক্তনালির সমস্যার কারণেও হতে পারে, যা সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সহজে সারিয়ে তোলা যায়।

অনেকের মধ্যেই মাথাব্যথা কেন্দ্র করে একটা ভয় কাজ করে। তীব্র মাথাব্যথা হলেই অনেকে ভেবে বসেন হয়তো টিউমার হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা হয় কম ক্ষেত্রেই। এ ছাড়া সঠিক সময়ে পরীক্ষা করে চিকিৎসা শুরু করা গেলে ব্রেন টিউমারের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

সাধারণত প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এতে রিফ্লেক্স, পেশির শক্তি, অনুভূতি, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয়, ভারসাম্য ও দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করা হয়। মস্তিষ্কের কোন অংশে সমস্যা, তাও বোঝা সম্ভব হয়।

আর অজানা কারণে মাথাব্যথায় ভুগলে এমআরআই করানোর পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসকরা। ব্রেন টিউমার, ব্রেন স্ট্রোক, সাইলেন্ট ব্রেন ইনজুরি, স্কলেরোসিসের ক্ষত, সংক্রমণ, প্রদাহ বা মস্তিষ্কে অতিরিক্ত তরল জমা হয়েছে কিনা, তা দেখতে এই পরীক্ষা করানো হয়।

এ ছাড়া মস্তিষ্কে হঠাৎ রক্তক্ষরণ, মাথায় আঘাতর ফলে ক্ষত হয়েছে কিনা, তা দেখতে সিটিস্ক্যান করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। বড় আকারের টিউমার আছে কিনা বুঝতেও সিটিস্ক্যান করানো হতে পারে।

রক্তনালির সমস্যার সন্দেহ হলে এমআরএ বা সিটিএ করানো হয়। ব্রেন অ্যানিউরিজম, রক্তনালির অস্বাভাবিক গঠন, ধমনির সংকোচন কিংবা ব্লকেজ আছে কিনা দেখতেও এ দুই পরীক্ষা করানো হতে পারে।

সংক্রমণ, প্রদাহ বা মস্তিষ্কের চাপজনিত সমস্যা মনে হলে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডকে ঘিরে থাকা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডও পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম