|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাজারে উঠতে শুরু করেছে লিটু। যদিও চলতি বছর লিচুর ফলন একটু কম হয়েছে। তাই পাল্লা দিয়ে বাজারে জোগানও তলানিতে। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে লিচুর চাহিদা অনেক বেশি। বাজারে লাল টুকটুকে লিচু দেখলে কারই বা কিনতে ইচ্ছা না করে। তাই এই রসালো ফল বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। সে জন্য লিচু কিনতে গিয়ে অনেকেই ঠকছেন। তাই কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে লিচু কিনলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
লিচু কেনার আগে ভালো করে তার গায়ের রং দেখে নিন। কারণ ভালো লিচু শুধু টুকটুকে লাল হয় না। সবুজ ও লাল রঙের মিশেলের লিচু অনেক বেশি সুস্বাদু। কথায় আছে না— আগে রূপ, তারপর গুণবিচার। তাই অনেকে রং ব্যবহার করে লিচুকে টকটকে লাল করে তোলেন। তাই কেনার আগে লিচুর রঙ পরীক্ষা করুন। কারণ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে লিচু। তাই কেনার আগে সাবধান হোন।
এখন প্রায় বেশিরভাগ নারীর ব্যাগেই ওয়েট টিস্যু থাকে। লিচু কেনার আগে পারলে ওয়েট টিস্যু দিয়ে ঘষে নিন। দেখুন রঙ উঠছে নাকি। ওয়েট টিস্যুতে রঙ উঠলে তা ভুলেও কিনবেন না। আর ভালো লিচুর খোসা পাতলা হবে। ত্বক মোটা হলে তার স্বাদ কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ভালো ও সুস্বাদু লিচুর ভেতরের অংশ সাধারণত সাদা রঙের হয়। আর রসালো হয় অনেক বেশি।
এ ছাড়া লিচুর ভেতরের অংশ সাদা রঙের না হলে কিনবেন না। কারণ সাধারণত যে লিচুতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তার ভেতরের অংশই তাড়াতাড়ি লাল রঙের হয়ে যায়। লিচু বেছে না কিনলে আপনার বিপদ হতে পারে।
কারণ লিচুতে থাকা হাইপোগ্লাইসিন এ এবং মিথিলিন সাইক্লোপ্রোপাইল গ্লাইসিন (এমসিপিজি) রাসায়নিক শরীরে গেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। এতে আচমকা শরীরে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। এর ফলে জ্বর, বমি ও মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। সেই সঙ্গে লিচুতে থাকা রাসায়নিকের ফলে খাদ্যনালির সংক্রমণও হতে পারে। জীবননাশেরও হুমকি হয়ে উঠতে পারে লিচু। তাই বিপদ এড়াতে দেখেশুনে লিচু কিনুন। নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনবেন না।
