রূপচর্চায় যেভাবে কাজ লাগাতে পারেন আমের আঁটি-খোসা
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রূপচর্চায় ব্যবহার
করুন আমের আঁটি ও খোসা। শাঁস খেয়ে আঁটি-খোসা কোনোটাই ফেলে দেওয়ার নয়, আমের প্রতিটি
জিনিসই ব্যবহার করা যায়। এ মুহূর্তে বাজারে ভালো মানের আম পাওয়া যাচ্ছে। খাওয়ার পাশাপাশি
এই ফলের প্রতিটি অংশই কাজে লাগাতে পারেন আপনার সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে। জেনে নিন আমের কোন
অংশ রূপচর্চায় ব্যবহার করবেন?
আমের প্রতিটি অংশ যেভাবে রূপচর্চায় কাজে লাগাবেন—
গ্রীষ্ম মানেই
রকমারি সুস্বাদু ফল। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আম। এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে
ভরপুর। আম শুধু পুষ্টিগুণ নয়, মিষ্টি ও রসালো স্বাদের জন্যও সমাদৃত। এতে থাকা ভিটামিন
সি, এ, বিটা-ক্যারোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের তারুণ্যও ধরে রাখতে পারে। ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি
ডিজিটাল পাবলিশিং ইনস্টিটিউট’-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র বলছে— আমের বীজের গুঁড়ো খেলে
ত্বক ভালো থাকে, আবার ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ত্বকের মিউকাসের
লাইসোজোমকে সক্রিয় করে তোলে।
যেভাবে মাখবেন এই ফলের খোসা, বীজ ও শাঁস—
আমের খোসা
আমের খোসাতেও
আমে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। ফলে সেটি ফেলে না দিয়ে ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করতে
পারেন। আম প্রথমেই ভালো করে ধুয়ে নিন। অনেক সময় রাসায়নিকের সাহায্যে আম পাকানো হয়
বা গাছে রাসায়নিক স্প্রে করা হয়। সে কারণে আম খুব ভালো করে ধুয়ে নেওয়া দরকার। আমের
খোসা কেটে সেটি বেটে নিন। এর সঙ্গে যোগ করুন ১ টেবিল চামচ টকদই এবং আধা চা চামচ মধু।
কালচে ত্বকে জেল্লা ফেরাতে ও বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করবে এটি। মাখতে হবে ফেসওয়াশ
দিয়ে মুখ ধোয়ার পর। মিনিট ১৫ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আমের বীজ
ত্বকের জন্য ভালো
বডি বাটার। আমের বীজ দিয়েও বাড়িতেই সেটি বানিয়ে ফেলা সম্ভব। পদ্ধতিও কঠিন নয়। আমের
আঁটি ধুয়ে ওপরের সাদা শক্ত অংশ ছুরির সাহায্যে কেটে নিলেই ভেতরে বাদামের মতো অংশ মিলবে।
সেটিকে ছোট ছোট করে কেটে নারিকেল তেলের সঙ্গে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। মৃদু আঁচে তেল গরম
করলে একসময় রং বদলে যাবে। তেল একেবারে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
না হলে ‘হ্যান্ড ব্লেন্ডার’ দিয়ে ফেটাতে থাকুন। যোগ করুন সামান্য শিয়া বাটার। সব উপকরণ
ঘন হয়ে ক্রিমের মতো হলে বুঝতে হবে ‘বডি বাটার’ তৈরি হয়ে গেছে। কাচের পাত্রে সেই ‘বাটার’
ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। বছরভর এটি গায়ে মাখতে পারেন। বিশেষত শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি বিশেষভাবে
উপযোগী।
আমের শাঁসের স্ক্রাব
ত্বকের জন্য আমের
শাঁসও কম উপকারী নয়। তা দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্ক্রাব। মাস্ক ব্যবহারের আগে স্ক্রাবিং
করে নিলে মুখ খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। মাস্কও ত্বকের গভীরে ঢুকে কাজ করতে পারে। ২
টেবিল চামচ আমের শাঁসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ওটস বেটে নিন। যোগ করুন কয়েক ফোঁটা মধু।
হাতের কাছে ওটস না থাকলে মিশিয়ে নিতে পারেন চালের গুঁড়োও। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে হালকা
হাতে মালিশ করুন। তার পর ধুয়ে ফেলুন। আমের স্ক্রাব, মাস্ক ও বডি বাটারের গুণে ত্বক
ঝলমলিয়ে উঠবে।
