|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন। ক্যারোটিনয়েড ও ভিটামিন 'এ' চোখের কোষগুলো ভালো রাখতে সাহায্য করে।
গাজর কাঁচা ও সিদ্ধ দুই উপায়ে খাওয়া যায়। সিদ্ধ করে বা ভাপিয়ে খাওয়া হলে শরীরের পক্ষে বিটা ক্যারোটিন শোষণ করা সহজ হয়ে ওঠে। এ জন্য শিশু ও বয়স্কদের পক্ষেও সিদ্ধ গাজর খাওয়া ভালো। আর যদি পেটের সমস্যা থাকে, তাহলে সিদ্ধ করা কিংবা রান্না করা গাজর খাওয়াই ভালো। সিদ্ধ গাজর হজমে সহজ হয়। সিদ্ধ করলে ভিটামিন 'সি'র পরিমাণ সামান্য কমে যায়। এতে শর্করা কিংবা চিনির পরিমাণও কমে, যা ডায়াবেটিস রোগীর স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। গাজর দিয়ে রকমারি পদ রান্না করা যায়। ফলে স্বাদেও বৈচিত্র্য আসে।
এখন বাজারে টাটকা গাজর পাওয়া যায়। আর চোখ ভালো রাখতে গাজর খেতে বলেন মা, দাদা-দাদিরা। সেই একই কথা বলেন চিকিৎসকরাও। কারণ ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ গাজরে আছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন 'সি' ও ফাইবার। পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজিটি সালাদ হিসাবে যেমন কাঁচা খাওয়ার চল রয়েছে, তেমনই স্যুপ থেকে শুরু করে তরকারিতেও খাওয়া যায়। কিন্তু রান্না করা না কাঁচা গাজর— কোনটি খেলে বেশি উপকার পাবেন, তাই জেনে নিন।
কাঁচা গাজর খাওয়া ভালো। প্রথমত কাঁচা গাজরে স্বাদের তফাত হয়। সিদ্ধ গাজরের চেয়ে কাঁচা গাজরের স্বাদ অনেকটাই বেশি। কাঁচা গাজরে থাকা ফাইবার পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কাঁচা গাজরে ভিটামিনের পাশাপাশি কিছু উৎসেচকও মেলে। ফলে কাঁচা গাজরের পুষ্টিগুণও কোনো অংশেই কম নয়।
অন্যদিকে গাজর দীর্ঘক্ষণ রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। সে ক্ষেত্রে আঁচ কমিয়ে গাজর সিদ্ধ করা কিংবা ভাপিয়ে নেওয়া ভালো। যদিও গাজরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না, সেটি সুবিধাজনক। তবে কম বা মধ্যম আঁচেই গাজর রান্না করা ভালো। অনেক সময় কাঁচা গাজর ধুয়ে না খেলে কৃমি বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। পেট খারাপের আশঙ্কা থাকে। বিশেষত বর্ষাকালে এ সমস্যা দেখা যায়।
কাঁচা কিংবা সিদ্ধ— যে কোনোভাবেই গাজর খাওয়া যায়। যেভাবে স্বাদ ভালো লাগে, সেভাবেই খেতে পারেন আপনি। তবে বয়স্ক ও শিশুর জন্য সিদ্ধ গাজার খাওয়া খুব ভালো। এতে পু্ষ্টিগুণ সামান্য হেরফের হলেও নিয়ম মেনে রান্না করলে ভিটামিন ও খনিজ সবই মিলবে সিদ্ধ গাজরেও।
