রম্যগল্প
বিয়ে করার কথা আজ
এক.
ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর বিরক্ত হয়ে গেল সঞ্জু। ফোন করল কণাকে।
‘কী রে! তুই কখন আসবি?’
‘কোথায়, কখন আসব?’ কণা হেসে জানতে চাইল।
‘কেন! কাজি অফিসে! ভুলে গেছিস? আজ না আমাদের বিয়ে করার কথা।’
‘তাই নাকি! কই জানি না তো?’ কণা অবাক হলো।
‘কাল রাতেই তো মেসেঞ্জারে চ্যাট করলাম দুজনে।’
‘আমি তোর সাথে চ্যাট করেছি! বিয়ে করার কথা আজ! কিছুই তো বুঝতে পারছি না।’ কণা হেসে বলল।
‘রাজকুমারী কণা, আইডিটা তোর না? আমি কালই ওই আইডিতে চ্যাট করেছি। আজ বিয়ের কথা ফাইনাল করেছি। আমি একেবারে রেডি হয়ে কাজী অফিসে চলে এসেছি। আর তুই এখন বলছিস আসবি না।’
‘না, আসব না।’
‘কেন আসবি না কেন? আমাকে বিয়ে করতে অসুবিধাটা কোথায়?’
‘প্রথম কথা-তুই কোনো কিছু করিস না। বেকার। বাপের হোটেলে বসে বসে খাস। কোনো মেয়েই তোকে বিয়ে করতে রাজি হবে না।’
‘কী! রাজি হবে না।’ প্রায় চিৎকার করে উঠল সঞ্জু।
‘না। হবে না। চেষ্টা করে দেখতে পারিস। দ্বিতীয়ত, ওই আইডিটা আমি খুললেও ওটা এখন আমার ছোট ভাই চালায়। কারণ ওই মোবাইলটাই ওকে আমি দিয়ে দিয়েছি।’
‘কেন? তুই কোন মোবাইলে কথা বলছিস তাহলে?’
‘এটা আরেকটা ফোন।’
‘ওই মোবাইলটা ছোট ভাইকে দিয়েছিস কেন? কতজনের কল, মেসেজ আসতে পারে ওই আইডিতে।’
‘সেজন্যই দিয়েছি। ওইসব খুচরা প্রেমিক পুরুষদের মেসেজ আর আমার দরকার নেই।’
‘কেন?’ বোকার মতো জানতে চাইল সঞ্জু।
‘কারণ গত পরশু রাতেই আমার বিয়ে হয়ে গেছে, বুঝলি?’
দুই.
‘বিয়ে!’ আকাশ থেকে পড়ল সঞ্জু।
‘হ্যাঁ।’
‘তুই তো আমাকে ভালোই বাসিস, তাই না।’
‘বাসি তো বাবু। সেই ছোটবেলা থেকেই তোকে আমি খুব ভালোবাসি বাবু। ছোট ভাইয়ের মতো।’
শুনে আরও রেগে গেল সঞ্জু।
‘দ্যাখ, মনজু বিয়ে করবি তো বল। তোর জন্য আমি কাজী অফিসে এসে বসে আছি। বিয়ে করবি কি না বল?’
‘কিন্তু আব্বু আম্মু? ওদেরকে বাদ দিয়ে এভাবে বিয়ে করা কি ঠিক হবে?’
‘ঠিক-বেঠিক বুঝি না। যদি বিয়ে করতে চাস তো বল। আমি তোর জন্য শাড়ি-গহনা কিনে নিয়ে আসি।’ জেদি গলায় বলল সঞ্জু।
‘আজ বোধহয় অনেক টাকা সরিয়েছিস বাবার আলমারি থেকে?’ হাসল মনজু।
‘সরালে তো নিজের বাপেরটাই সরিয়েছি। অন্যের বাপের টাকা তো সরাইনি।’
‘হুম! বুঝলাম।’
‘এখন বল, বিয়ে করবি কি না। যদি আমাকে বিয়ে করতে চাস তাহলে এক কাপড়ে এখনই কাজি অফিসে চলে আয়। খালা খালুকে পরে আমি সামলাব।’
‘তাই বলে একা একা আমি বিয়ে করতে যাব না কি। কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবীকে অন্তত বলি। সাক্ষী হিসাবেও তো আমার তরফ থেকে দু’একজন থাকা দরকার, কী বলিস?’ মনজু বলল।
‘ঠিক আছে, যা করবি তাড়াতাড়ি কর। এক ঘণ্টার মধ্যে তোকে আমি কাজি অফিসে চাই-ই চাই।’ সঞ্জু হুকুম করল।
তিন.
সঞ্জুকে ভালোবাসার বিষয়টি মনজুর মাথাতেই আসেনি কখনো।
ক্লাসমেট। থার্ড ক্লাস টাইপের ছাত্র। বড়লোক বাপের একমাত্র ছেলে। হইচই আর ফুর্তি নিয়েই আছে। সে যে আজ একেবারে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসবে, ভাবতেই পারেনি মনজু।
নাফিসাকে ফোন করল ও। ছোটবেলার বান্ধবী। সব শুনে আকাশ থেকে পড়ল সে।
‘কোন সঞ্জু? ওই যে সব সময় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়? ছেলেটা একবার আমাকেও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। পাগলা ছেলে একটা। তোকেও প্রস্তাব দিয়েছে? রাজিও হয়েছিস। তোর মতো পাগলির সাথেই ওকে মানাবে বেশি।’
সুমনকে ফোন করল মনজু। সব শুনে সে বলল, ‘ওই ছেলেটা তোকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে! আজব!’
‘কেন? কী হয়েছে?’
‘আরে বলিস না। আমার খালাতো বোন লিজার পেছনে ঘুর ঘুর করত। বিয়ে করার জন্য চাপাচাপি করত। দিয়েছিলাম একদিন ভিটামিন খাইয়ে।’
‘ভিটামিন?’
‘আরে বুঝলি না, মাইর দিয়েছিলাম। মাইরের মধ্যে ভিটামিন আছে না। তাই দিয়েছিলাম। ভালোই হয়েছে, তোর মতো পাগলিকে বিয়ে করে যদি মেয়েদের পেছনে লাগা বন্ধ হয় তবে সেটা ভালোই হবে। আমি তোর বিয়েতে যেতে রাজি হলেও সঞ্জুর বিয়েতে যেতে রাজি না। সরি।’
এবার চৈতিকে ফোন করল মনজু।
‘চৈতি, আজ আমার বিয়ে। তুই কি থাকতে পারবি?’
‘বিয়ে! তোর! স্ট্রেঞ্জ!’ চৈতি অবাক হলো।
‘কেন, আমার কি বিয়ে হতে পারে না?’ মনজু রেগে গেল।
‘আরে বাবা, হবে না কেন! একশবার হবে। কিন্তু তোর মতো পাগলিকে বিয়ে করতে চাইছে কোন পোলা-সেটাই জানতে চাইছি?’
‘আরে আমাদের সাথে পড়ত-সঞ্জু। আমাকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গেছে। কাজি অফিসে এসে বসে আছে। বল আমি কী করব?’ কাঁদো কাঁদো গলায় বলল মনজু।
‘ওহ! সঞ্জু! ওই পাগলা ছেলেটা। যা যা বিয়ে করে ফেল। ভালোই মানাবে তোর সাথে।’
‘এভাবে বলছিস কেন? তুই আসবি কি না বল?’
‘আরে, আমি আসব কীভাবে, ওই পাগলা তো আমাকেও ক্যাম্পাসে প্রপোজ করেছিল। দিয়েছিলাম কষে চড় লাগিয়ে। যে ছেলেকে আমি চড় লাগিয়েছি একদিন, তার বিয়েতে কি আমার যাওয়া ঠিক হবে, তুই-ই বল?’
চার.
মন ঠিক করল মনজু। যাবে না ও বিয়ে করতে।
একবার না, দু’বার না। চারবারের বার ফোন ধরল সঞ্জু।
‘ওহ! মনজু তুই। শোন, আজ বিয়ে করতে পারছি না। আমার খালাতো বোন শিখা বিষ খেয়েছে।’
‘কেন?’
‘কেন আবার। ও বিয়ে করতে বলছে। আমি রাজি না হওয়াতে বিষ খেয়েছে। এতক্ষণে বোধহয় মারাও গেছে।’
‘কী! তুই কি হাসপাতালে?’ মনজুর অবাক হওয়ার মতো ক্ষমতাও যেন শেষ হয়ে গেছে।
‘না। সবাই গেছে হাসপাতালে। আমি বর্ডারের দিকে যাচ্ছি।’ ‘কেন?’
‘আরে পাগলি, আমি পালাচ্ছি। যদি শিখা মরে যায়, পুলিশ তো আমাকেই ধরবে। তাই পালাচ্ছি। যদি ফিরে আসতে পারি, তবে তোর সাথে বিয়ে নিয়ে আবার আলোচনা করব। বাই।’
বিয়ে করার কথা আজ
রম্যগল্প
বিশ্বজিৎ দাস
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এক.
ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর বিরক্ত হয়ে গেল সঞ্জু। ফোন করল কণাকে।
‘কী রে! তুই কখন আসবি?’
‘কোথায়, কখন আসব?’ কণা হেসে জানতে চাইল।
‘কেন! কাজি অফিসে! ভুলে গেছিস? আজ না আমাদের বিয়ে করার কথা।’
‘তাই নাকি! কই জানি না তো?’ কণা অবাক হলো।
‘কাল রাতেই তো মেসেঞ্জারে চ্যাট করলাম দুজনে।’
‘আমি তোর সাথে চ্যাট করেছি! বিয়ে করার কথা আজ! কিছুই তো বুঝতে পারছি না।’ কণা হেসে বলল।
‘রাজকুমারী কণা, আইডিটা তোর না? আমি কালই ওই আইডিতে চ্যাট করেছি। আজ বিয়ের কথা ফাইনাল করেছি। আমি একেবারে রেডি হয়ে কাজী অফিসে চলে এসেছি। আর তুই এখন বলছিস আসবি না।’
‘না, আসব না।’
‘কেন আসবি না কেন? আমাকে বিয়ে করতে অসুবিধাটা কোথায়?’
‘প্রথম কথা-তুই কোনো কিছু করিস না। বেকার। বাপের হোটেলে বসে বসে খাস। কোনো মেয়েই তোকে বিয়ে করতে রাজি হবে না।’
‘কী! রাজি হবে না।’ প্রায় চিৎকার করে উঠল সঞ্জু।
‘না। হবে না। চেষ্টা করে দেখতে পারিস। দ্বিতীয়ত, ওই আইডিটা আমি খুললেও ওটা এখন আমার ছোট ভাই চালায়। কারণ ওই মোবাইলটাই ওকে আমি দিয়ে দিয়েছি।’
‘কেন? তুই কোন মোবাইলে কথা বলছিস তাহলে?’
‘এটা আরেকটা ফোন।’
‘ওই মোবাইলটা ছোট ভাইকে দিয়েছিস কেন? কতজনের কল, মেসেজ আসতে পারে ওই আইডিতে।’
‘সেজন্যই দিয়েছি। ওইসব খুচরা প্রেমিক পুরুষদের মেসেজ আর আমার দরকার নেই।’
‘কেন?’ বোকার মতো জানতে চাইল সঞ্জু।
‘কারণ গত পরশু রাতেই আমার বিয়ে হয়ে গেছে, বুঝলি?’
দুই.
‘বিয়ে!’ আকাশ থেকে পড়ল সঞ্জু।
‘হ্যাঁ।’
‘তুই তো আমাকে ভালোই বাসিস, তাই না।’
‘বাসি তো বাবু। সেই ছোটবেলা থেকেই তোকে আমি খুব ভালোবাসি বাবু। ছোট ভাইয়ের মতো।’
শুনে আরও রেগে গেল সঞ্জু।
‘দ্যাখ, মনজু বিয়ে করবি তো বল। তোর জন্য আমি কাজী অফিসে এসে বসে আছি। বিয়ে করবি কি না বল?’
‘কিন্তু আব্বু আম্মু? ওদেরকে বাদ দিয়ে এভাবে বিয়ে করা কি ঠিক হবে?’
‘ঠিক-বেঠিক বুঝি না। যদি বিয়ে করতে চাস তো বল। আমি তোর জন্য শাড়ি-গহনা কিনে নিয়ে আসি।’ জেদি গলায় বলল সঞ্জু।
‘আজ বোধহয় অনেক টাকা সরিয়েছিস বাবার আলমারি থেকে?’ হাসল মনজু।
‘সরালে তো নিজের বাপেরটাই সরিয়েছি। অন্যের বাপের টাকা তো সরাইনি।’
‘হুম! বুঝলাম।’
‘এখন বল, বিয়ে করবি কি না। যদি আমাকে বিয়ে করতে চাস তাহলে এক কাপড়ে এখনই কাজি অফিসে চলে আয়। খালা খালুকে পরে আমি সামলাব।’
‘তাই বলে একা একা আমি বিয়ে করতে যাব না কি। কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবীকে অন্তত বলি। সাক্ষী হিসাবেও তো আমার তরফ থেকে দু’একজন থাকা দরকার, কী বলিস?’ মনজু বলল।
‘ঠিক আছে, যা করবি তাড়াতাড়ি কর। এক ঘণ্টার মধ্যে তোকে আমি কাজি অফিসে চাই-ই চাই।’ সঞ্জু হুকুম করল।
তিন.
সঞ্জুকে ভালোবাসার বিষয়টি মনজুর মাথাতেই আসেনি কখনো।
ক্লাসমেট। থার্ড ক্লাস টাইপের ছাত্র। বড়লোক বাপের একমাত্র ছেলে। হইচই আর ফুর্তি নিয়েই আছে। সে যে আজ একেবারে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসবে, ভাবতেই পারেনি মনজু।
নাফিসাকে ফোন করল ও। ছোটবেলার বান্ধবী। সব শুনে আকাশ থেকে পড়ল সে।
‘কোন সঞ্জু? ওই যে সব সময় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়? ছেলেটা একবার আমাকেও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। পাগলা ছেলে একটা। তোকেও প্রস্তাব দিয়েছে? রাজিও হয়েছিস। তোর মতো পাগলির সাথেই ওকে মানাবে বেশি।’
সুমনকে ফোন করল মনজু। সব শুনে সে বলল, ‘ওই ছেলেটা তোকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে! আজব!’
‘কেন? কী হয়েছে?’
‘আরে বলিস না। আমার খালাতো বোন লিজার পেছনে ঘুর ঘুর করত। বিয়ে করার জন্য চাপাচাপি করত। দিয়েছিলাম একদিন ভিটামিন খাইয়ে।’
‘ভিটামিন?’
‘আরে বুঝলি না, মাইর দিয়েছিলাম। মাইরের মধ্যে ভিটামিন আছে না। তাই দিয়েছিলাম। ভালোই হয়েছে, তোর মতো পাগলিকে বিয়ে করে যদি মেয়েদের পেছনে লাগা বন্ধ হয় তবে সেটা ভালোই হবে। আমি তোর বিয়েতে যেতে রাজি হলেও সঞ্জুর বিয়েতে যেতে রাজি না। সরি।’
এবার চৈতিকে ফোন করল মনজু।
‘চৈতি, আজ আমার বিয়ে। তুই কি থাকতে পারবি?’
‘বিয়ে! তোর! স্ট্রেঞ্জ!’ চৈতি অবাক হলো।
‘কেন, আমার কি বিয়ে হতে পারে না?’ মনজু রেগে গেল।
‘আরে বাবা, হবে না কেন! একশবার হবে। কিন্তু তোর মতো পাগলিকে বিয়ে করতে চাইছে কোন পোলা-সেটাই জানতে চাইছি?’
‘আরে আমাদের সাথে পড়ত-সঞ্জু। আমাকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গেছে। কাজি অফিসে এসে বসে আছে। বল আমি কী করব?’ কাঁদো কাঁদো গলায় বলল মনজু।
‘ওহ! সঞ্জু! ওই পাগলা ছেলেটা। যা যা বিয়ে করে ফেল। ভালোই মানাবে তোর সাথে।’
‘এভাবে বলছিস কেন? তুই আসবি কি না বল?’
‘আরে, আমি আসব কীভাবে, ওই পাগলা তো আমাকেও ক্যাম্পাসে প্রপোজ করেছিল। দিয়েছিলাম কষে চড় লাগিয়ে। যে ছেলেকে আমি চড় লাগিয়েছি একদিন, তার বিয়েতে কি আমার যাওয়া ঠিক হবে, তুই-ই বল?’
চার.
মন ঠিক করল মনজু। যাবে না ও বিয়ে করতে।
একবার না, দু’বার না। চারবারের বার ফোন ধরল সঞ্জু।
‘ওহ! মনজু তুই। শোন, আজ বিয়ে করতে পারছি না। আমার খালাতো বোন শিখা বিষ খেয়েছে।’
‘কেন?’
‘কেন আবার। ও বিয়ে করতে বলছে। আমি রাজি না হওয়াতে বিষ খেয়েছে। এতক্ষণে বোধহয় মারাও গেছে।’
‘কী! তুই কি হাসপাতালে?’ মনজুর অবাক হওয়ার মতো ক্ষমতাও যেন শেষ হয়ে গেছে।
‘না। সবাই গেছে হাসপাতালে। আমি বর্ডারের দিকে যাচ্ছি।’ ‘কেন?’
‘আরে পাগলি, আমি পালাচ্ছি। যদি শিখা মরে যায়, পুলিশ তো আমাকেই ধরবে। তাই পালাচ্ছি। যদি ফিরে আসতে পারি, তবে তোর সাথে বিয়ে নিয়ে আবার আলোচনা করব। বাই।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023