আত্মহত্যার পরিণতি জাহান্নাম
মো. তামিম সিফাতুল্লাহ
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আত্মহত্যা মহাপাপ। জীবনের কঠিন মুহূর্তে দুঃখ-দুর্দশা ও ব্যর্থতার গ্লানি থেকে মুক্তির জন্য অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ধৈর্য ধারণ করে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে চললে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। আল্লাহ বলেন- ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু এবং যে কেউ সীমালঙ্ঘন করে আত্মহত্যা করবে তাকে অগ্নিতে দগ্ধ করব এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ (সূরা আন নিসা আয়াত-২৯,৩০)। আত্মহত্যাকারীর জন্য পরকালে কঠোর আজাবের ঘোষণা এ আয়াত থেকে সুস্পষ্ট বোঝা যায়। আল্লাহ আরও বলেন, তোমরা নিজের হাতে নিজেদের জীবনকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না (সূরা বাকারা-১৯৫)। কুরআনের এ আয়াতেও এ ভয়াবহ পথ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আত্মহত্যা একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। পত্রিকার পাতায় আত্মহত্যা সম্পর্কে সংবাদ পাওয়া যায় প্রতিদিন। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মাঝে এমন প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। বখাটেদের উৎপাতের কারণে, মা-বাবার ওপর অভিমান করে, পারিবারিক বিপর্যয়, মানসিক অশান্তি, প্রেমে বিচ্ছেদ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদি কারণে এসব সংঘটিত হচ্ছে। আত্মহত্যাকারী এত বড় মহাপাপী যে রাসূল (সা.) নিজে এমন কোনো ব্যক্তির জানাজায় শরিক হননি। সাহাবিরা জানাজা দিয়েছেন। রাসূল (সা.) বলেন, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তি ছিল। সে যুদ্ধের ময়দানে আহত হয়ে ছটফট করতে লাগল এ অবস্থায় সে ছুরি দিয়ে নিজেই নিজের হাত কাটল এবং অনেক রক্তপাতে মারা গেল। আল্লাহতায়ালা এ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, আমার এ বান্দা নিজের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করে ফেলেছে এ কারণে আমি তার প্রতি জান্নাত হারাম করে দিয়েছি (নাসাঈ)। আত্মহত্যাকারী নিশ্চিত জাহান্নামি। আত্মহত্যার মতো এমন মহাপাপের কথা কখনই কল্পনাতেও আনা উচিত নয়। যত বড়ই মানসিক চাপ আসুক সব সময় ধৈর্য ধরে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ অতি দয়ালু।
লেখক : শিক্ষার্থী, মদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা
