আনন্দ আর ভাইরালের ঈদ
আগে ছিল ঈদ মানে আনন্দ। এখন সেটার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভাইরাল! মানে কে কীভাবে কী করে ভাইরাল হবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত সবাই। গরুর হাট থেকে শুরু করে শপিং মল, কোথায় কেমন ঈদের আমেজ চলছে চলুন দেখে নেওয়া যাক। লিখেছেন-
সোহানুর রহমান অনন্ত, এঁকেছেন কাওছার মাহমুদ
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গরু কিনে ভাইরাল
‘তোমার গরু কিনলেই ভাইরাল হয়ে যাব’, বিষয়টা ঠিক বুঝলাম না! গরু কেনার সঙ্গে ভাইরাল হওয়ার কী সম্পর্ক?
চাচা দেখি এহনো এ্যানালগ! একমাত্র আমাদের কাছেই আছে ভাইরাল কিছু ইউটিউমার। যারা গরু কেনার পর থেকেই আপনাকে নানা উলটা-পালটা প্রশ্ন করে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে!
ইমার্জেন্সি টয়লেট সার্ভিস
কী বললেন, আপনি প্রকৃতির ডাক ওয়েব সাইট থেকে বলছেন! তা আপনাদের সার্ভিসে কী কী সুবিধা আছে বলেন তো শুনি?
স্যার, আমাদের সুবিধা হলো ঈদে অতিরিক্ত মাংস খেয়ে রাস্তায় প্রকৃতির ডাক পেলেই কল দেবেন। আমরা মোবাইল টয়লেট নিয়ে আপনার লোকেশনে হাজির হয়ে যাব। বুঝতেই পারছেন, নো চিন্তা ঢু ফুর্তি!
ডাকাতির বিকল্প বুদ্ধি
বুঝলাম না, চোর এমন অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে কেন? হাত-পায়ের ত্যাঁড়াব্যাঁকা স্টাইল দেখে তো মনে হচ্ছে ভয়ংকর কিছু দেখছে?
আসলে ডাকাতের ভয়ে আমরা গরুর মুখে বাঘের মুখোশ পরিয়ে রাখছিলাম! চোর বেটা সত্যি বাঘ মনে করে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে।
বিক্রেতা যখন বাড়িয়ে বলে
ভাইয়া দেখছেন, ভাবির গায়ে শাড়িটা ধরতেই তার বয়স যে ৪০ সেটা বোঝাই যাচ্ছে না! মনে হয় ১৭/১৮ বছরের মেয়ে! কিন্তু ওনার চোখ তিনটা লাগতাছে কেন?
আপনার পাওয়ার চশমাটা আগে পরেন, তখন চোখ আর বয়স দুটোই ঠিক দেখবেন। আপনার মতো খালি চোখে দেখে আমিও প্রতারিত হইছি!
রান্নার অনুষ্ঠানে কল
বন্ধুরা, শুরু হয়ে গেল ঠাডা পড়া রেসিপি! আজ আপনাদের দেখাব কীভাবে গরুর মাংস দিয়ে জুস, লাচ্ছি বানাবেন। আমরা আগে একটা দর্শকের কল নিয়ে নেই।
হ্যালো আফা, আমি হেকমত। মাংস দিয়ে কীভাবে গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট বানায় যদি একটু বলতেন। ঈদে তো দোকানাপাট বন্ধ থাকে! আমার আবার গ্যাসের ব্যারাম আছে কি না।
বাসের ছাদে গরু
কি মিয়ারা, তোমাদের বাসের ছাদে এত গরু কেন? খালি হাম্বা হাম্বা করতাছে। এটা কি বাস নাকি গরু পৌঁছানোর গাড়ি!
ঘটনা হইল ঈদের সময় আচমকা আমাদের বাসগুলোর রাস্তাঘাটে ব্যারাম দেখা দেয়। পথে নষ্ট হইলে গরুর গাড়িতে যেন আপনাদের পৌঁছাতে পারি তাই এ ব্যবস্থা।
