Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

শোক দিবস

উদযাপিত হল কোরআনের সুরে

Icon

তোফায়েল গাজালি

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এবার জাতীয় শোক দিবসে ঢাকাবাসী যেন নতুন করে শুনল এক ব্যতিক্রমী কোরআনের সুর। ১৪ আগস্ট সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কে কোরআন তিলাওয়াত। জুমাবার সব মসজিদে চলে দোয়া আর মোনাজাত, মিলাদ ও দরুদ। ১৫ আগস্ট বাদ ফজর থেকে শুরু হয় আবার কোরআন তিলাওয়াত। বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, রোড-ঘাট সবখানে শুধু কোরআন তেলাওয়াত আর কোরআন তেলাওয়াত। মিলাদের মধুর সুরে তন্ময় মুজিবপ্রেমীরা হারিয়ে যান ১৯৭৫-এর নির্মম ইতিহাসের পাতায়। প্রিয়জন হারানো এক বুক বেদনা নিয়ে তারা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান। জাতির পিতার মাগফিরাত কামনা করে চোখের জলে বুক ভাসান। বাতাসে ভেসে আসা কোরআনের কুদরতি সুর আর খানিক পর পর বঙ্গবন্ধুর জাদুকরি ভাষণ এবারের শোকদিবসে ঢাকাবাসীকে যেমন নতুনভাবে উদ্দীপ্ত করেছে তেমনি নতুন চিন্তা ও সুস্থধারার শোক পালনের মাইলফলক তৈরি করেছে। একজন মানুষের জন্য একদিনে এতগুলো মিলাদ, এতগুলো কোরআন খানি আর এত এত মোনাজাতের ঘটনা পৃথিবীর আর কোনো দেশের, আর কোনো নেতার জন্য কখনও করা হয়েছে বলে কেউ বলতে পারবে না। নগরীর ধানমণ্ডির ৩২ নং থেকে শুরু করে গুলিস্তান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংসদ, সচিবালয় সব জায়গা ছিল কোরআনের সুরে মুখরিত। এ দৃশ্য নজর কেড়েছে দুনিয়ার। নিশ্চয় নজর কেড়েছে আরশের মালিক আল্লাহর।

শোক পালনের শরয়ী দৃষ্টিকোণ নিয়ে কথা হয়েছে রাজধানীর গুলিস্তান পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজীর সঙ্গে। তিনি বলেন, মানুষ মারা যাওয়ার পর তার কবরে নেক আমলের সওয়াব ছাড়া আর কিছু যায় না। তাই শোক দিবসে কোরআন তিলাওয়াত, দান-সদকা ও নেক আমল করে এর সওয়াব মরহুমের রুহে পৌঁছানোর নির্দেশনাই রয়েছে শরিয়তে।

লেখক : পরিচালক, আল কুরআন ইন্সটিটিউট, ঢাকা

islamissk@gmail.com

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম