Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

দশই মহররমের চার আমল

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দশই মহররমের চার আমল

রোজা রাখা

আশুরা উপলক্ষ্যে দুই দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। মহররমের ১০ তারিখের আগে বা পরে একদিন বাড়িয়ে রোজা রাখার কথা হাদিস শরিফে এসেছে।

ইসলামে আশুরার রোজার বিশেষ গুরুত্ব আছে। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ফরজ ছিল। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসূল (সা.) আমাদের (রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে) আশুরার রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন এবং এর প্রতি উৎসাহিত করতেন।

আর এ বিষয়ে তিনি নিয়মিত আমাদের খবরাখবর নিতেন। যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হলো তখন আশুরার রোজার ব্যাপারে তিনি আমাদের নির্দেশও দিতেন না, নিষেধও করতেন না। আর এ বিষয়ে তিনি আমাদের খবরাখবরও নিতেন না। (মুসলিম, হাদিস : ১১২৮)।

ভালো খাবারের আয়োজন করা

আশুরার দিনে যথাসম্ভব ভালো খাবার খাওয়া। হজরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবি (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিনে পরিবারে প্রশস্ততা প্রদর্শন করবে, সে সারা বছর প্রশস্ততায় থাকবে।’ (তাবরানি, মুজামে কবির, হাদিস : ১০০০৭; বায়হাকি, হাদিস : ৩৭৯৫)।

আহলে বাইতের জন্য দোয়া করা

কারবালার প্রান্তরে হজরত ইমাম হোসাইনের শাহাদতও ঘটে এ আশুরার দিনে। বিশ্বব্যাপী মানুষ এ দিনটিকে কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্য সবচেয়ে বেশি স্মরণ করে থাকে। আমাদের উচিত এ দিনে আহলে বাইত তথা নবির পরিবারের সদস্য যারা কারবালায় শাহিদ হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া এবং তাদের কাছ থেকে সত্যের ওপর অটল থাকার শিক্ষা গ্রহণ করা।

তাওবা-ইসতিগফার করা

হাদিসে এ মাসে বেশি বেশি তাওবা ইসতিগফারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই মাসব্যাপী আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা মুমিন-মুসলমানের জন্য একান্ত আবশ্যক। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘এ মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহতায়ালা অনেকের তাওবা কবুল করেন। ভবিষ্যতেও আরও অনেক মানুষের তাওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)।

আশুরা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম