Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

ইসলামে নারীর সম্মান

Icon

সুমাইয়া গণি শেফা

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইসলামে নারীর সম্মান

ইসলামে একজন নারীর মর্যাদা দুনিয়ার তাবৎ ধন-সম্পদ, ঐশ্বর্য এবং সৌন্দর্যের চেয়েও অনেক বেশি। কেননা একজন নারী মা হয়ে জন্ম দেন এবং বড় করে তোলেন যুগের শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোকে আর স্ত্রী হয়ে তিনি সারথি হোন পুরুষের সব মহান কার‌্যাবলির। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ-সপ্তম শতকে নারী জাতির বসবাসের অনুপযোগী সমাজব্যবস্থাকে ইসলামের শান্তি ও মানবতার বার্তা দিয়ে নারীর জন্য চলমান সব অভিশপ্ততার মূলোৎপাটন পূর্বক এক আশীর্বাদময় সমাজের গোড়াপত্তন করা হয়, যেখানে কন্যা, স্ত্রী ও মা হিসাবে নারীর সর্বোন্নত মর্যাদা ও সব অধিকার সুনিশ্চিতকরণের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। কন্যাসন্তান লালনপালনকে জান্নাতের ওসিলা হিসাবে পেশ করে মহানবি (সা.) ইরশাদ করেন, “যার তিনটি বা দুটি বোন থাকবে, আর যদি সে তাদের প্রতি যত্নশীল হয় এবং তাদের হক সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করে, তার জন্য বেহেশত অনিবার্য। (তিরমিজি ও আবু দাউদ)।

আমাদের সমাজে যখন নারীর অবস্থান ছিল অমানবিক, তখন থেকেই ইসলাম নারীর অধিকার ও মর্যাদা উন্নয়নের জন্য নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইসলাম নারীকে দিয়েছে পুরুষের মতো মনুষ্য অধিকার। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানব জাতি! নিশ্চয় আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি পুরুষ ও নারী থেকে’। (সূরা আল-হুজরাত, আয়াত : ১৩)।

এ আয়াত দ্বারা রব বলেন যে, মানব সৃষ্টির শুরু থেকে নারী পুরুষের সঙ্গী, যেমন সে সঙ্গী নেকি প্রাপ্তি ও শাস্তির ক্ষেত্রে। অপর আয়াতে তিনি বলেন, ‘যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদের উত্তম প্রতিদান দেব’। (সূরা আন-নাহল, আয়াত : ৯৭)।

এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত মানবিক সম্মান ও মর্যাদার বিচারে নারী ও পুরুষের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। কোনো নারীকে শুধু নারী হয়ে জন্মানোর জন্য পুরুষের তুলনায় হীন ও নিচ মনে করা সম্পূর্ণ অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

ইসলাম নারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে তাকে ওয়ারিশ ঘোষণা দেয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘পুরুষদের জন্য মাতা-পিতা ও নিকট আত্মীয়রা যা রেখে গিয়েছে তা থেকে একটি অংশ রয়েছে। আর নারীদের জন্য রয়েছে মাতা-পিতা ও নিকট আত্মীয়রা যা রেখে গিয়েছে তা থেকে একটি অংশ, তা কম হোক বা বেশি হোক, নির্ধারিত হারে’। (সূরা আন-নিসা, আয়াত : ০৭)।

এভাবে আল্লাহ একজন নারীকে মা, মেয়ে, বোন ও স্ত্রী হিসাবে মিরাস দান করেন।

জাহেলি যুগে বৈবাহিক ক্ষেত্রে নারীদের কোনোরূপ অধিকার ছিল না। তারা শুধু পুরুষের ভোগের সামগ্রী ছিল। তাই মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তবে যেসব নারী তোমাদের পছন্দ হয়, তাদের মধ্য থেকে দুই দুই, তিন তিন, চার চারজনকে বিবাহ কর। কিন্তু তোমাদের মনে যদি আশঙ্কা জাগে যে, তোমরা তাদের সঙ্গে ইনসাফ করতে পারবে না।

ইসলাম

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম