|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রশ্ন : ড্রেসিং করা মুরগি খাওয়ার ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?
মাওলানা মুহাম্মদ খালেদ, চট্টগ্রাম
উত্তর : ড্রেসিং করার পদ্ধতি চার রকম হতে পারে। প্রথম দুই প্রকার নাজায়েজ এবং হারাম। পরের দুই প্রকারে গোশত খাওয়া জায়েজ, কোনো সমস্যা নেই।
১. মুরগির নাড়িভুঁড়ি বের না করে পবিত্র বা অপবিত্র উত্তপ্ত গরম পানিতে দীর্ঘ সময় রাখার কারণে নাপাকির প্রভাব গোশতের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
২. মুরগির নাড়িভুঁড়ি বের করে অপবিত্র উত্তপ্ত গরম পানিতে দীর্ঘসময় রাখার কারণে অপবিত্র পানি বা তার প্রভাব গোশতের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ দুই অবস্থায় গোশত হারাম হয়ে যায়, এগুলো হালাল করার সুযোগ নেই।
৩. মুরগির নাড়িভুঁড়ি বের করে ময়লা পরিষ্কার করার পর পবিত্র উত্তপ্ত গরম পানিতে দীর্ঘ সময় বা সামান্য সময় রাখা। এই পদ্ধতি হালাল, এই পদ্ধতি প্রয়োগে গোশত খেতে কোনো সমস্যা নেই।
৪. মুরগির নাড়িভুঁড়ি বের করার আগে বা পরে নাপাকি বা নাপাকির প্রভাব গোশতের ভেতর ঢুকে না এমন সামান্য সময় গরম পানিতে রাখার কারণে গোশত নাপাক এবং হারাম হয় না। তবে বাইরের নাপাকি লাগার কারণে গোশত তিনবার ধৌত করতে হবে।
আমাদের দেশে প্রচলিত ড্রেসিং পদ্ধতিতে সাধারণত নাড়িভুঁড়ি না কেটেই ড্রেসিং করা হয়, যা স্পষ্ট হারাম। তবে নাড়িভুঁড়ি কেটে ড্রেসিং করলে ৩য় বা ৪র্থ পদ্ধতি অনুযায়ী পবিত্র এবং হালাল হবে। তবে মেশিনে না দিয়ে হাতে ড্রেসিং করাই নিরাপদ। এতে সন্দেহমুক্ত থাকা যায়।
মুরগি, হাঁস, কবুতর বা এরকম সব হালাল প্রাণী ড্রেসিংয়ের হুকুম একই।
ফাতহুল কাদিও [যাকারিয়া], খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ২১১; বুহুস ফি কাজায়া ফিকহিইয়া মুআশারাহ [দারুল উলুম],খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৫০-৫১]
মুফতি আহসান শরিফ : প্রিন্সিপাল, মাদ্রাসাতুল বালাগ ঢাকা।
ফোন করুন : ০১৮৩৭ ৪২৪০৭১ ই-মেইল : ahsan778@gmail.com
