Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

মুমিন জীবনকে আলোকিত করে যে নামাজ

মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ

মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম

মুমিন জীবনকে আলোকিত করে যে নামাজ

নামাজ এমন এক ইবাদত, যা বান্দাকে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সরাসরি সংযোগের সুযোগ দিয়েছে। নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে থাকে। যা আল্লাহ তাআলার কাছে বান্দার সবচেয়ে প্রিয় ইবাদত। এটি ঈমানের পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। নবীজি (সা.) বলেছেন-

الصَّلاةُ عِمادُ الدِّينِ

‘নামাজ হলো ধর্মের স্তম্ভ।’ (তাবরানি ৯৯১৫)

কুরআনের আলোকে নামাজের গুরুত্ব

যে মানুষ সত্যিকার অর্থে মনোযোগ সহকারে, খুশু ও খুযু নিয়ে নামাজ পড়ে- তার জীবনে অশ্লীলতা থাকতে পারে না, অন্যায় থাকতে পারে না, মিথ্যা থাকতে পারে না।  কারণ নামাজ তাকে মনে করিয়ে দেয় যে- ‘আমি আল্লাহর বান্দা, আমি পাপের পথে চলব না।’ সমাজে অশান্তি, অশ্লীলতা, অন্যায়, দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে নামাজকে অবহেলা করা। নামাজই মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে ফিরিয়ে রাখে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন-

إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنكَرِ

‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সূরা আল-আনকাবুত: আয়াত ৪৫)

সুতরাং যে বান্দা দিনে পাঁচবার আল্লাহর দরবারে মাথা নোয়ায়, তার চোখ হারাম জিনিসে যেতে পারে না, তার জিহ্বা মিথ্যা বলতে পারে না, তার হাত অন্যায় করতে পারে না। তাইতো মহান আল্লাহ আরও বলেন-

وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي

‘আমার স্মরণার্থে নামাজ প্রতিষ্ঠা কর।’ (সূরা ত্বাহা: আয়াত ১৪)

আমরা যদি নামাজে ফিরে আসি, এই সমাজে শান্তি নেমে আসবে, ঘরে ঘরে সুখ আসবে, আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে। এ জন্য মহান রব মানুষকে শুধু নামাজ প্রতিষ্ঠাই নয়, বরং জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার তাগিদ দিয়েছেন এভাবে-

وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّكٰوۃَ وَ ارۡكَعُوۡا مَعَ الرّٰكِعِیۡنَ

‘আর তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা কর, জাকাত দাও এবং রুকু কর তাদের সঙ্গে যারা রুকু করে।’ (সূরা আল-বাকারা: আয়াত ৪৩)

অন্যায়মুক্ত জীবন ও সমাজ গড়তে, জীবন ও সমাজকে ইসলামের রঙে রাঙাতে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন-

وَ اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ ؕ وَ اِنَّهَا لَكَبِیۡرَۃٌ اِلَّا عَلَی الۡخٰشِعِیۡنَ

‘তোমরা নামাজের মাধ্যমে ধৈর্য ও সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই নামাজ আল্লাহভীরুদের জন্য কঠিন নয়।’ (সূরা আল-বাকারা: আয়াত ৪৫)

হাদিসের আলোকে নামাজের গুরুত্ব

নবীজি (সা.) মানুষকে নামাজের প্রতি উৎসাহিত করতে, নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে হাদিসে অনেক নসিহত প্রকাশ করেছেন। হাদিসের বর্ণনাগুলো হলো-

الصَّلاةُ عِمادُ الدِّينِ

‘নামাজ হলো ধর্মের স্তম্ভ।’ (মু’জামুল আওসাত লিত তাবরানি ৯৯১৫)

স্তম্ভ ছাড়া একটি ভবন যেমন দাঁড়াতে পারে না, তেমনি নামাজ ছাড়া একজন মুসলমানের ঈমানের ভবনও টিকে থাকতে পারে না। নামাজ ইসলামের মূল ভিত্তি, ইসলামী জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। যে ব্যক্তি নামাজ কায়েম করে, সে তার ঈমানকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়; আর যে নামাজ ছেড়ে দেয়, সে নিজের ঈমানের ভিত্তিকে ধ্বংস করে ফেলে।

নামাজ শুধু ফরজ দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের আত্মার খাদ্য, হৃদয়ের প্রশান্তি, জীবনের দিশা, চোখের সান্ত্বনা। তাই নামাজকে অবহেলা করব না। কেননা নামাজের ওপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের দুনিয়া ও পরকালের সাফল্য।  রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ঘোষণা-

الصَّلاةُ قُرَّةُ عَيْنِي

‘নামাজ আমার চোখের ঠান্ডা।’ (নাসাঈ ৩৯৩৯)

ভাবুন তো — সেজদা! আমরা যখন মাথা মাটিতে নামাই, শুধু বাহ্যিকভাবে নয়, অন্তর থেকে নিজেকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করি। এই মুহূর্তে আমাদের হৃদয় আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হয়। মানুষ যতই পাপাচার করে বা দুর্বল হোক, সেজদায় সে আল্লাহর কাছে নিজেকে সবচেয়ে কাছাকাছি অনুভব করে। তাই সেজদা কেবল নামাজের অংশই নয়; এটি বান্দার জন্য আধ্যাত্মিক শক্তি, হৃদয়ের প্রশান্তি এবং ঈমানের উজ্জ্বলতম মুহূর্ত। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-

أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ

‘বন্দা আর তাঁর রবের মধ্যে সবচেয়ে নিকটতম মুহূর্ত হলো সে যখন সেজদায় থাকে।’ (মুসলিম ১১১১, হাদিস সম্ভার ৩৭৪৭)

যে বান্দা সত্যিকারের খুশু এবং বিনম্রতার সঙ্গে সেজদায় থাকে, আল্লাহর কাছে চায়, আল্লাহ তা কবুল করেন। সেজদা এমন এক মুহূর্ত যখন বান্দা আর রব একে অপরের সবচেয়ে কাছে আসে। এ সময় আমাদের পাপও হ্রাস পায়, নেক আমল বৃদ্ধি পায় এবং অন্তর আল্লাহভক্তি ও ন্যায়পরায়ণতায় ভরে ওঠে। তাই প্রতিটি নামাজে আমরা যেন আমাদের সেজদাকে উপেক্ষা না করি, বরং হৃদয়ের সম্পূর্ণ আবেগ দিয়ে আত্মসমর্পণ করি।

যদি আমরা নিজেদের জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিতে চাই, তাহলে নামাজের রাস্তাই ধরতে হবে, অন্য কোনো পথ নেই। নামাজ হলো মুমিনের মুক্তির মাধ্যম, আত্মার প্রশান্তি, আর আল্লাহর নিকটে যাওয়ার একমাত্র পথ।যে ব্যক্তি নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, সে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে; আর যে নামাজ ছেড়ে দেয়, সে নিজের জান্নাতের দরজা নিজেই বন্ধ করে দেয়। চাবি ছাড়া যেমন দরজা খোলে না, তেমনি নামাজ ছাড়া জান্নাতের দরজাও খোলে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-

مِفْتَاحُ الْجَنَّةِ الصَّلَاةُ

‘জান্নাতের চাবি হলো নামাজ।’ (মুসনাদ আহমদ ১৫০৭১)

গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ হলো ইসলামের প্রাণ, ঈমানের পরিচয় আর জান্নাতের চাবি।  কিন্তু আফসোস! আজকের যুগে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত যে ইবাদত, সেটিও এই নামাজ। রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের সতর্ক করে বলেছেন-

إِنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكَ الصَّلاَةِ

‘মানুষের (ঈমানের) সঙ্গে শিরক ও কুফরির মাঝের পার্থক্য হলো নামাজ ত্যাগ করা।’ (মুসলিম ৮২)

একবার ভেবে দেখুন, নামাজ আমাদের জন্য কত বড় নিয়ামত! দিনে পাঁচবার আল্লাহ আমাদের ডেকে বলেন— ‘হে আমার বান্দা, এসো! আমার সামনে দাঁড়াও! আমি তোমার দুঃখ শুনব, তোমার পাপ ক্ষমা করব।’ কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা অনেকেই সেই আহ্বান উপেক্ষা করি।

মসজিদে আজান হয়, কিন্তু হৃদয় সাড়া দেয় না! অথচ সেই নামাজই হলো ঈমান ও কুফরির সীমারেখা।

কুরআনের আলোকে খুশু ও খুযু’র গুরুত্ব

যে নামাজে খুশু ও খুযু’ নেই, সে নামাজ আল্লাহর কাছে অসম্পূর্ণ। খুশু মানে মনোযোগ- হৃদয় যেন আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। আর খুযু মানে বিনয়- আত্মা যেন ভয়ে ও ভালোবাসায় নত হয়ে পড়ে। এ কথাই মহান আল্লাহ কোরআনে এভাবে তুলে ধরেছেন-

قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ، الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ

‘নিশ্চয়ই সফল হয়েছে মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে বিনয়াবনত থাকে।’ (সূরা আল-মু’মিনুন: আয়াত ১–২)

যে ব্যক্তি নামাজে খুশু ও খুযু অর্জন করে, সে দুনিয়াতেও প্রশান্তি পায়, আর আখিরাতে পায় জান্নাতের মর্যাদা। কারণ নামাজ হলো মুমিনের আত্মার প্রশিক্ষণ, যেখানে সে আল্লাহর সামনে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নত করে দেয়। যে ব্যক্তি নামাজে দুনিয়ার চিন্তা ভুলে যায়, আল্লাহর কিতাবের আয়াতে মন দেয়, চোখে অশ্রু আসে, সেই নামাজই আল্লাহর কাছে কবুল হয়। কিন্তু আজ আমাদের নামাজে মনোযোগ নেই; আমরা শুধু রুকু ও সেজদা করি, কিন্তু হৃদয় থাকে ব্যবসা, পরিবার, মোবাইল বা অন্য চিন্তায়!

খুশু-খুযু ছাড়া নামাজ আদায় করলে শুধু শরীর পরিশ্রম পায়, আত্মা আল্লাহর নিকটবর্তী হয় না। তাই আসুন আমরা এমন নামাজ পড়ার চেষ্টা করি- যেখানে আমাদের চোখে বিনয়, হৃদয়ে ভয় আর আত্মায় আল্লাহর স্মরণ জাগ্রত থাকে। কারণ আল্লাহ নিজেই বলেছেন- সফল হবে তারা, যারা নামাজে বিনয়াবনত থাকে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নামাজে খুশু

নবীজি (সা.)–এর নামাজের অবস্থা ছিল এমন যে, তিনি নামাজে পুরো মনোযোগী ছিলেন, আল্লাহর ভয়, ভালোবাসা ও বিনয়ে ভরা হৃদয় নিয়ে তিনি নামাজ পড়তেন। এটি খুশু’ ও খুযু’-পূর্ণ নামাজের বাস্তব দৃষ্টান্ত। হাদিসে এসেছে—

عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ ﷺ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَافْتَتَحَ الْبَقَرَةَ، فَقُلْتُ: يُرَكِّعُ عِنْدَ الْمِائَةِ، ثُمَّ مَضَى، فَقُلْتُ: يُصَلِّي بِهَا فِي رَكْعَةٍ، فَمَضَى، فَافْتَتَحَ النِّسَاءَ فَقَرَأَهَا، ثُمَّ افْتَتَحَ آلَ عِمْرَانَ فَقَرَأَهَا، يَقْرَأُ مُتَرَسِّلًا، إِذَا مَرَّ بِآيَةٍ فِيهَا تَسْبِيحٌ سَبَّحَ، وَإِذَا مَرَّ بِسُؤَالٍ سَأَلَ، وَإِذَا مَرَّ بِتَعَوُّذٍ تَعَوَّذَ.

একবার হযরত হুযাইফা (রা.) বলেন, ‘আমি এক রাতে নবী (সা.)–এর সঙ্গে নামাজ পড়লাম। তিনি সূরা বাকারা শুরু করলেন। আমি ভাবলাম, হয়তো ১০০ আয়াতে রুকু করবেন, কিন্তু তিনি পুরো সূরাটি শেষ করলেন, এরপর সূরা নিসা, তারপর সূরা আলে ইমরান তেলাওয়াত করলেন। তিনি ধীরে ধীরে পড়ছিলেন; যখন তাসবিহের আয়াত আসতো, তিনি তাসবিহ পড়তেন; দোয়ার আয়াত আসলে দোয়া করতেন; আর আশ্রয়ের আয়াত আসলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন।’ (মুসলিম ৭৭২)

রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজে কান্না করতেন আর আমরা নামাজে কী করি? আমাদের ঠোঁট চলে, কিন্তু মন চলে দোকানে, অফিসে, মোবাইলে! নামাজে নবীজি কান্না করতেন এই কারণে যে, তিনি জানতেন— এই মুহূর্তে তিনি দুনিয়ার কোনো রাজা নয়, বরং রব্বুল আলামিনের সামনে দাঁড়ানো এক বান্দা! এক সাহাবী বলেন —

دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ ﷺ وَهُوَ يُصَلِّي، وَلِجَوْفِهِ أَزِيزٌ كَأَزِيزِ الْمِرْجَلِ مِنَ الْبُكَاءِ

‘আমি নবী (সা.)–এর কাছে গিয়েছিলাম যখন তিনি নামাজ পড়ছিলেন। তাঁর বুক থেকে এমন শব্দ আসছিল, যেন হাঁড়িতে পানি ফুটছে অর্থাৎ তিনি কাঁদছিলেন।’ (আবু দাউদ ৯০৪)

পরিশেষে হজরত আলী (রা.) নামাজের একাগ্রতা দিয়ে শেষ করতে চাই।  এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য আশ্চর্য ঘটনা হলেও এতে রয়েছে খুশু-খুযুর বিশাল শিক্ষা। একবার এক যুদ্ধে তার পায়ে একটি তীর বিঁধে যায়। তীরটি পায়ের এত গভীরে পৌঁছে যায় যে, সেটি কেউ টেনে খুলতে পারছিল না। যারা তীরটি বের করার চেষ্টা করছিলেন, তারা বললেন, হে আলী! আপনাকে স্থির থাকতে হবে। তখন তিনি বললেন, ‘আমি যখন নামাজে দাঁড়াই, তখন আমি দুনিয়া ভুলে যাই। সেই সময় তোমরা তীরটি টেনে বের করে নাও। বাস্তবে তাই করা হলো।  হযরত আলী (রা.) নামাজে দাঁড়ালেন, আর চিকিৎসকরা তাঁর পা থেকে তীর বের করে ফেললেন। কিন্তু তিনি কিছুই অনুভব করলেন না। হাদিসে ঘটনাটি এভাবে এসেছে

قِيلَ إنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أُصِيبَ بِسَهْمٍ فِي رِجْلِهِ، فَلَمْ يُمْكِنْ إِخْرَاجُهُ إِلَّا وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ، فَلَمْ يَشْعُرْ بِهِ حَتَّى أُخْرِجَ.

‘হযরত আলী (রা.)-এর পায়ে একটি তীর ঢুকে যায়। সেটি বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। তিনি যখন নামাজে দাঁড়ালেন, তখন সেটি বের করা হয়, আর তিনি কিছুই অনুভব করেননি।’ (ইবনুল জাওযী খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১৩৫)

এটাই খুশু ও খুযু’র আসল মানে- যখন বান্দা এমনভাবে নামাজে থাকে, যে দুনিয়ার কোনো ব্যথা, কোনো শব্দ, কোনো চিন্তা তার মনোযোগ ভাঙতে পারে না।

নামাজে খুশু ও খুযু আনার উপায় হলো—

> নামাজের আগে কিছু সময় নিয়ে মন শান্ত করা,

> আয়াতের অর্থ বোঝার চেষ্টা করা,

> মনে করা— আপনি এখন আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।

আল্লাহ তাআলার কাছে নামাজে খুশু-খুযুর জন্য এভাবে দোয়া করা-

اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِنَا خُشُوعًا، وَفِي أَعْمَالِنَا خُضُوعًا، وَفِي صَلَاتِنَا خُشُوعًا، وَفِي عُيُونِنَا دُمُوعًا، وَاغْفِرْ لَنَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাঝআল ফি ক্বালবিনা খুশূয়ান, ওয়া ফি আ’মালিনা খুদূয়ান, ওয়া ফি সালাতিনা খুশূয়ান, ওয়া ফি উয়ূনিনা দুমূয়ান, ওয়াগফির লানা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের হৃদয়ে খুশু দান কর, আমাদের আমলে বিনয় দান কর, আমাদের নামাজে মনোযোগ দাও, আমাদের চোখে অশ্রু দাও, আর আমাদের ক্ষমা কর — হে পরম দয়ালু।’


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম