এআই ব্যবহার করে অনলাইনে আয়ের সেরা ৫ উপায়
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০২ পিএম
এআইয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন আয়ের উৎস তৈরি করা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের পেশাগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাচ্ছে। এটি আমাদের কাজের ধরন ও প্রক্রিয়াকেও নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে। ব্যবসায়িক লেখা, বিপণন, গ্রাহক সেবা, মিটিং, নতুন পণ্য তৈরি ও বাজার গবেষণার মতো কাজগুলোতে এআই এক নতুন দিগন্ত খুলেছে।
আগে যা করতে সময় লাগত, এখন সেই একই কাজ এআই ব্যবহার করে কম সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। এর ফলে সময় বাঁচে এবং একই সময়ে বেশি কাজ করার ফলে আয়ও বাড়ে।
প্রথমত, এআই ব্যবহার করে আপনি ইতিমধ্যে যেসব কাজ করছেন, সেগুলো আরও বিস্তৃত করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্লগার নতুন কনটেন্ট আইডিয়া তৈরি, এসইও এবং গুগল র্যাঙ্কিং বাড়ানোর কাজে এআই ব্যবহার করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, এআইয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন আয়ের উৎসও তৈরি করা সম্ভব। চলুন দেখি এআই ব্যবহার করে আয় করার ৫টি উপায়—
১. এআই চ্যাটবট তৈরি
যদি আপনার প্রোগ্রামিং দক্ষতা থাকে, তাহলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য চ্যাটবট তৈরি শিখতে পারেন। কোম্পানিগুলো কর্মীদের সহায়তা, গ্রাহক সেবা এবং পণ্য বিক্রির কাজে চ্যাটবট ব্যবহার করে। আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফাইভারসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। এখানে আপনার কাজের নমুনা দেখানো এবং ক্লায়েন্টদের ‘রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট’ বা ব্যবসায় প্রাপ্ত ইতিবাচক পরিবর্তনের তথ্যসহ উপস্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ।
২. কোর্স ডিজাইন করতে এআই ব্যবহার
অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি করা বাড়তি আয়ের জন্য ভালো উৎস। এআই ব্যবহার করলে কোর্স তৈরির প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। এআই এবং অন্যান্য অ্যালগরিদমভিত্তিক টুল ব্যবহার করে বাজার গবেষণা করে জানা সম্ভব, কোন বিষয়গুলো বর্তমানে জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য কোর্স ডিজাইন করা যায়।
চ্যাটজিপির মতো এআই টুল ব্যবহার করে কোর্সের সিলেবাস, ক্লাসের সংখ্যা, সময়কাল, পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের পরিকল্পনা কয়েক মিনিটে করা সম্ভব। ‘কুইজগেকো এআই’–এর মতো টুল ব্যবহার করে কোর্সের পরীক্ষার প্রশ্ন মাত্র কয়েক মিনিটে তৈরি করা যায়।
৩. নিজস্ব এআই পণ্য তৈরি
বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব সলিউশন তৈরি করুন। এতে বিভিন্ন এপিআই ব্যবহার করা যায়, যেমন ‘অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস’–এর ‘এআই সার্ভিসেস’। নিজস্ব অ্যাপ তৈরি করা বা বিদ্যমান কোনো অ্যাপে এআই ফিচার যোগ করা সম্ভব। ‘ওপেনএআই’–এর এপিআই ব্যবহার করেও এই ধরনের কাজ করা যায়।
৪. এআই–বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখনো তুলনামূলক নতুন। তাই অনেক প্রতিষ্ঠান এআই ব্যবহার করতে সমস্যা অনুভব করছে। যদি আপনার এ বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তবে এআই কনসালট্যান্ট বা পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে পারেন। এখানে কোম্পানির প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা সমন্বয় করতে হবে।
৫. ‘ক্যানভা’ অ্যাপে এআই ব্যবহার
ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া বিপণন করার ক্ষেত্রে ‘ক্যানভা’ খুবই পরিচিত। এটির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের জন্য ছবি, ভিডিও, লোগো ইত্যাদি তৈরি করা যায়। ক্যানভার বিভিন্ন এআই টুলের সাহায্যে কাজ দ্রুত করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ‘ম্যাজিক ডিজাইন’, ‘ডাল-ই’ বা ‘গুগল ক্লাউড ইমাজেন’ ব্যবহার করে ইমেজ জেনারেশন করা সম্ভব।
এআই ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের জন্য শুধুমাত্র এই পাঁচটি পথই নয়, প্রতিনিয়ত এআই উন্নত হচ্ছে এবং এর কাজের ক্ষমতা ও পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এআই ব্যবহার করে প্রযুক্তিকে পুঁজি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।

