নেতিবাচক চিন্তা দূরে রেখে ইতিবাচক থাকার উপায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আমাদের জীবনে অনেক ঘটনাই ঘটে যেগুলো সরাসরি আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন না। তবে আমরা কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাব সেটি সম্পূর্ণই আমাদের হাতে। তাই প্রতিক্রিয়ায় কিছুটা ইতিবাচকতা এনে দিলেই অনেক নেতিবাচক ঘটনার প্রভাবও কম অনুভূত হয়।
নেতিবাচক চিন্তা দীর্ঘমেয়াদে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা ও মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। এ ধরনের ভাবনা থেকে মুক্ত থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হলো এর কারণ খুঁজে দেখা এবং নির্দিষ্ট কৌশলের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা মানসিক চাপ দূরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারি।
১. মনোযোগের অনুশীলন
অস্থির পরিস্থিতিতে নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য একা রেখে শান্ত পরিবেশে মনোযোগ ধরে রাখা যেতে পারে। চারপাশের সব বিভ্রান্তি সরিয়ে কোনো ইতিবাচক দৃশ্য বা স্মৃতি কল্পনা করে তাতে মন স্থির রাখুন। এটা অবশ্যই নিয়ম করে ধ্যান হতে হবে— এমন নয়; নিজের মতো করে ইতিবাচকতার অভ্যাস গড়ে তোলাই মূল উদ্দেশ্য।
২. ভাবনার প্রবাহ থামিয়ে না দেওয়া
কোনো বিষয়কে উপেক্ষা করলেই যে তা শেষ হয়ে যায়— এমন নয়, বরং তা আরও গুরুত্ব পায়। ঠিক তেমনই নেতিবাচক অনুভূতি বা চিন্তাও। তাই কোনো নেতিবাচক ভাবনা মাথায় এলে তা জোর করে আটকে না রেখে—স্বাভাবিকভাবে আসতে দিন; এতে তার প্রভাব কমে।
৩. ভাবনা বদলে ফেলা
নেতিবাচক একটি চিন্তাকে ইতিবাচক ভাবনায় প্রতিস্থাপন করা যায়। দুশ্চিন্তা আসার মুহূর্তে দিনের ভালো দিকগুলো ভাবুন। কিংবা যেকোনো ঘটনার খারাপ দিকই যখন বেশি চোখে পড়ে, তখন সচেতনভাবে ভালো দিক খুঁজতে চেষ্টা করুন—যাকে বলা হয় ‘সিলভার লাইনিং’ দেখা।
৪. গঠনমূলক সমালোচনা
অকারণ নিন্দা বা অতিরিক্ত প্রশংসা দুটোই সত্যকে আড়াল করে। তাই প্রয়োজন বাস্তবসম্মত, গঠনমূলক সমালোচনা—যা মনকে ভুল পথে যেতে দেয় না এবং নেতিবাচক চিন্তারও দূরত্ব তৈরি করে।
৫. যুক্তির আশ্রয় নেওয়া
মানুষের চিন্তায় আবেগ ও যুক্তি দুটোই থাকে, কিন্তু কখনো কখনো আবেগ আমাদের দূর্বল করে ফেলে। তাই মানসিক শক্তি বাড়াতে যুক্তি বড় ভূমিকা রাখে। নেতিবাচক ভাবনায় ডুবে গেলে একজন পক্ষপাতহীন ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রশ্ন করুন—কেন এমন হলো? কিভাবে সমাধান সম্ভব এবং কোন আচরণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। যুক্তি অনেক সময় নেতিবাচক চিন্তার ঘূর্ণি থেকে মুক্তির পথ দেখায়।
নিয়মিত চর্চা করলে যেমন নতুন অভ্যাস তৈরি হয়, তেমনি খারাপ অভ্যাস দূরও করা যায়। প্রতিদিন জমে থাকা নেতিবাচক ভাবনাগুলোও নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলা সম্ভব—ফলে গড়ে ওঠে মানসিকভাবে সুস্থ ও সুন্দর জীবন।

