Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

বাজেটে স্বচ্ছতা জরুরি : ড. দেবপ্রিয়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আগামী অর্থবছরের সময়টা অসাধারণ, আর এই অসাধারণ সময়ে সাধারণ বাজেট যেন না হয়। এবার ব্যতিক্রমী বাজেট চাই। এ জন্য বাজেট ঘোষণার আগেই আগামী বাজেটের নীতি কাঠামোর একটি খসড়া প্রকাশ করা উচিত। সেই খসড়ার ওপর সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মতামত দেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে। একইসঙ্গে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাজেট কতটা বাস্তবায়ন হলো, তাও জনসমক্ষে প্রকাশ করা দরকার। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় রোববার এসব কথা বলেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ‘আসন্ন বাজেট নিয়ে জনমানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম। অনলাইনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় বিশেষ বক্তব্য দেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগামী বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নয়, কর্মসংস্থান প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, মানুষের আয় সেভাবে বাড়েনি। চলতি অর্থবছরে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, বহির্বিশ্বের বাণিজ্য পরিস্থিতি ও যুদ্ধ অর্থনীতিকে নতুন চাপে ফেলেছে। তাই প্রথাগত বাজেট তৈরির ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে বলে তিনি মত দেন।

অনুষ্ঠানে সমাজের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বক্তব্য দেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সিএসআইডির প্রধান খন্দকার জহুরুল আলম মনে করেন, প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ছে, টাকার পরিমাণ বাড়ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবাইয়াত ফেরদৌস হিজড়াদের এসএমই ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেন। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট প্রত্যাশা করে। দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিপ্লব চন্দ্র বলেন, দলিত সম্প্রদায়ের জন্য বাজেটে আবাসনের বরাদ্দ থাকা উচিত। আর বাজেটে আদিবাসীদের জন্য যে বরাদ্দ থাকে, তা বিচ্ছিন্ন বলে মনে করেন আদিবাসীদের প্রতিনিধিদের খোকন মুর্ম।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মুসলেম মনে করেন, করোনার সময় নারী উদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের জন্য আলাদা কর্মসূচি নেওয়া উচিত। নারীপক্ষের ব্যবস্থাপক সামিয়া আফরিন মনে করেন, নারীর গৃহস্থালি কাজকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসাবের মধ্যে আনতে হবে। জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতিতে সংস্কার আনা প্রয়োজন।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম