Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

স্মার্ট উচ্চশিক্ষা ও শিক্ষার গুণগত মান

Icon

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্মার্ট উচ্চশিক্ষা ও শিক্ষার গুণগত মান

নতুন সরকার শিক্ষার উন্নয়নে কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করাই এ লেখার উদ্দেশ্য। বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষার হার ৭৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যেখানে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মহিলা ৭২ দশমিক ৪২ শতাংশ রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শিক্ষায় নারীরাও পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে নেই। ২০২৩ সালের গ্লোবাল ইনডেক্স অনুযায়ী সমগ্র বিশ্বে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। শিক্ষক সংখ্যা, শিক্ষার হার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাই হোক না কেন, শিক্ষার গুণগত মানই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সাহায্য করতে পারে।

সরকারের প্রতিটি জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও পরিকল্পনাটি উচ্চশিক্ষার বিস্তারে সহায়ক হবে, তবুও জেলার পরিবর্তে আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভৌত কাঠামোর উন্নয়ন বাড়ানো যেতে পারে। সেই লক্ষ্যে আঞ্চলিক পর্যায়ে বিদ্যমান প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ৪-৫টি ক্যাম্পাস বাড়ানো যেতে পারে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে সম্প্রসারণ কেন্দ্রও থাকা অত্যাবশ্যকীয়। ওই সম্প্রসারণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোর কৃষক/স্থানীয় পর্যায়ে বিস্তার ঘটানো যেতে পারে। প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো অতীব জরুরি। স্মার্ট শিক্ষায় প্রতিটি সেমিস্টারে কমপক্ষে একটি ক্লাস অনলাইনে পরিচালনা করা যেতে পারে।

বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদ রয়েছে। আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ট্রেজারারও নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের পদ দৃশ্যমান রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশেও বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোকে প্রাধান্য দিয়ে একজন আচার্য ও ৪ জন উপাচার্যের পদ তৈরি করা যেতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অধ্যাপক অথবা সমপর্যায়ের ব্যক্তিরা আচার্য হিসাবে নিয়োগ পেতে পারেন। ওই চার উপাচার্যের পদকে নিুরূপে বিভাজন করা যেতে পারে, যেমন: উপাচার্য (প্রশাসন), উপাচার্য (গবেষণা), উপাচার্য (সম্প্রসারণ), ও উপাচার্য (আন্তর্জাতিক)। এভাবে যদি ৪-৫টি ক্যাম্পাসসহ বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তর ঘটানো যায়, তাহলে উচ্চশিক্ষার মান ও কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যেতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগটি শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত আদর্শ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটে নির্বাচিত শিক্ষকদের তিন সদস্যবিশিষ্ট প্যানেলটি শিক্ষামন্ত্রীর মারফত প্রধানমন্ত্রী হয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর পেশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আঞ্চলিকতার প্রতি দুর্বলতা ও একই আদর্শের মধ্যে গ্রুপিং হয়, তাহলে তা স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থার প্রশ্নে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংঘর্ষ দেখা দিতে পারে। আবার বহু শিক্ষক আছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণায় দুর্বল থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবছেন, সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যোগ্য শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হলে স্মার্ট শিক্ষার অগ্রগতি হবে বলে আশা করা যেতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের বেতন কাঠামো অনেকটা দুর্বল। একজন শিক্ষক সব বিষয়ে প্রথম শ্রেণি অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন। শিক্ষকদের সাধারণ জীবনযাপনের গুণগতমান উন্নয়নে বেতন বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিলে স্মার্ট শিক্ষকতা পেশার গতি ত্বরান্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে একজন সিনিয়র অধ্যাপকের বেতন বছরে প্রায় ৪৮ লাখ টাকা। প্রতিমাসে ওই অধ্যাপক প্রায় ৪ লাখ টাকা বেতন পেয়ে যাচ্ছেন। ভারতে এন্ট্রি লেভেলে একজন শিক্ষক বছরে প্রায় ৯ থেকে ১৬ লাখ টাকা বেতন পাচ্ছেন। বাংলাদেশে এন্ট্রি লেভেলে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বছরে প্রায় ৪ লাখ টাকা বেতন পাচ্ছেন, যা ভারতে এন্ট্রি লেভেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকের তুলনায় ৫ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা কম। বাংলাদেশের একজন গ্রেড-১ অধ্যাপক বছরে প্রায় ১৬ লাখ টাকা বেতন পাচ্ছেন, যা ভারতের তুলনায় বছরে প্রায় ৩২ লাখ টাকা কম। অন্যদিকে আমেরিকায় একজন অধ্যাপক বছরে টাকার হিসাবে প্রায় ১ কোটি টাকা বেতন পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৫১৭ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানি করছে। অন্যদিকে বছরে বাংলাদেশও প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের জিনিসপত্র ভারত থেকে আমদানি করছে। স্বাভাবিকভাবেই আমদানিকৃত জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় স্বল্প বেতনে শিক্ষকদের জীবনযাপনে স্মার্টনেসের স্পর্শ লাগানো অনেকটা কঠিন। শিক্ষকতা পেশায় স্মার্ট অর্থনীতির ছোঁয়া না লাগলে শিক্ষাব্যবস্থাও স্মার্টের নাগালের বাইরে থাকার সম্ভাবনা থাকে। সেই লক্ষ্যে স্মার্ট বেতন কাঠামোই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের স্মার্ট নাগরিক, সমাজ ও অর্থনীতি গঠনে সহায়ক হতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ফলে উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাও স্মার্টে পরিণত হবে।

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ নিয়োগ, উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ও পদোন্নতি যদি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাহলে অনেকের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হওয়ার আগ্রহ কি হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে? মানুষের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কেন? এক্ষেত্রে দৈনন্দিন কাজগুলো যার আওতায় থাক না কেন, স্বচ্ছতা ও ক্ষমতার প্রয়োগে নৈতিকতার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে উপাচার্যের নেতৃত্বে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার বিধান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ডিগ্রিভিত্তিক নতুন অনুষদ/বিষয় খোলার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে উপাচার্যের নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে সিন্ডিকেটের অনুমোদনও নেওয়া হয়ে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার প্রশ্নও দেখা যায়।

সব বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া যেতে পারে। সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক নিয়োগের বিদ্যমান লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মেধাক্রম অনুযায়ী হওয়া উচিত। এন্ট্রি লেভেলে প্রভাষকের পরিবর্তে পিএইচডিসহ সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়া যুক্তিসংগত। পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ নিয়ম অনুসরণ করা খুবই সহজ। কিন্তু নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাক্রম, উপস্থাপনায়ও মৌখিক পরীক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মেধা থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে।

দেশে কৃষি, প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সাধারণ ক্যাটাগরির বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার সিস্টেম ছাড়াও বছরে তিনটি টার্ম বিদ্যমান রয়েছে। সেক্ষেত্রে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমতা আনার জন্য সেমিস্টার সিস্টেমে একই ধরনের গ্রেডিং থাকা উচিত। আমেরিকার আদলে বছরে ২টি সেমিস্টারকে গুরুত্ব দিয়ে মাঝখানে একটি ডেড সেমিস্টারও রাখা যেতে পারে। দেশি ছাত্রছাত্রীদের ওই সেমিস্টারে ভর্তির বাধ্যবাধকতা নাও থাকতে পারে। সমগ্র বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য কেন্দ্রীয় একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডারও অনুসরণ করা যেতে পারে। ফলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা কখন ডিগ্রি সম্পন্ন করবে, তা অতি সহজেই জানা যাবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিশন গঠন করা যেতে পারে। ওই কমিশনে অনুষদ/বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্ত মেধাবী গ্র্যাজুয়েটদের মেধাক্রমের একটি তালিকা থাকতে পারে। এ তালিকা অনুসরণ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। নিয়োগ প্রক্রিয়া, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বচ্ছতা, গবেষণা ও শিক্ষার মানন্নোয়নে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করা যায়।

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্র ও শিক্ষকের একটি নির্দিষ্ট অনুপাত থাকা অত্যাবশ্যকীয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা, কালচার ও কৃষ্টির বিনিময় থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিদেশি ছাত্র ও শিক্ষকরা তাদের মেধা অনুযায়ী আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে। আবার শিক্ষকদের গবেষণার বিষয়ে উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেশিসংখ্যক কোলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। সেই লক্ষ্যে আমাদের দেশের শিক্ষকরা দেশীয় সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সমস্যার সঙ্গে অতি সহজেই পরিচিত হতে পারবেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিস ও নন-থিসিস এমএস ও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশে মেধার সম্প্রসারণে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিসসহ উচ্চশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত। ওই মেধা স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যেতে পারে।

নৈতিকতাও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রত্যেক শিক্ষক হবেন নীতি ও আদর্শের দিক দিয়ে স্মার্ট। শিক্ষক যেমন একে অপরের প্রতি সহনশীল হবেন, তেমনই ছাত্রদের প্রতি হতে হবে দায়িত্বশীল। তাহলে স্মার্ট শিক্ষার বিস্তার ঘটবে। আবার ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতির বিকাশ বাড়াতে হবে। শিক্ষকদের পদোন্নতি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে দায়িত্বশীল হওয়াটা অতীব জরুরি। নতুন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল ইসলাম চৌধুরী অনেকটা ইয়াং, ডাইনামিক ও পরিশ্রমী। ইতোমধ্যে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরই স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থার দিকে নজর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষা হবে উন্নত দেশের মতো স্মার্ট। স্মার্ট বাংলাদেশের পিলারে রয়েছে স্মার্ট সিটিজেন, সমাজ, সরকার ও স্মার্ট অর্থনীতি। স্মার্ট শিক্ষায় শিক্ষিতরাই স্মার্ট সিটিজেন হবে, যারা স্মার্ট সমাজ, সরকার গঠনের পাশাপাশি স্মার্ট অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে সাহায্য করবে। সুতরাং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, স্মার্ট শিক্ষাই বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তর করতে পারবে। পরিশেষে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ও গবেষণার গুণগত মান উন্নয়ন, নিয়োগ ও উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনা, বিদেশি ছাত্র-শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, শিক্ষকদের নৈতিকতার উন্নয়ন ও বেতন কাঠামোর পরিবর্তনই স্মার্ট শিক্ষার আবির্ভাব ঘটাতে পারবে বলে আশা করা যায়। ফলে শিক্ষামন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা অতি শিগ্গির স্মার্ট শিক্ষায় পরিণত হবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম : অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় uzzal@bsmrau.edu.bd

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম