পশ্চিম তীর ছাড়া গাজার যুদ্ধবিরতি অসম্পূর্ণ: কাতারের প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি বলেছেন, পশ্চিম তীরকে অন্তর্ভুক্ত না করলে গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অসম্পূর্ণই থাকবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দোহা ফোরাম ২০২৫–এ এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি আরও বলেন, কাতার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং এটিকে নিজ দেশের জাতীয় নিরাপত্তারই অংশ হিসেবে দেখে।
তিনি জানান, কাতার সামরিক শক্তি প্রদর্শনের কোনো চেষ্টা করে না; বরং কূটনীতি, বিনিয়োগ ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই প্রভাব বিস্তার করতে চায়, যা কাতারের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিকা।
শেখ মোহাম্মদ বলেন, ক্রমবর্ধমান বিভক্ত আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কাতার মধ্যস্থতার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব সমাধানে কাজ করে। তাই তারা সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এবং পক্ষপাত এড়িয়ে চলে, কারণ যোগাযোগের পথ খোলা না থাকলে কোনো বিরোধ টেকসইভাবে মীমাংসা করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সাল থেকে কাতারের যত অগ্রগতি এসেছে, সবই এসেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পক্ষের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার ফল হিসেবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের মূল কারণ সমাধানের গুরুত্বও তুলে ধরেন, যা শুধু গাজার বিধ্বস্ত অবস্থা পুনর্গঠনের মধ্যে সীমিত নয়; পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিনিদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষা পূরণের বিষয়টিও এতে অন্তর্ভুক্ত।
তিনি বলেন, গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখন আমরা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আছি। মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করছেন, যা আরেকটি অন্তর্বর্তী ধাপ।
তিনি জানান, কাতার, তুরস্ক, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র—মিলেই এই পরবর্তী ধাপের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে,যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া এ সময়ে আহত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার মানুষ। কাতার, তুরস্ক, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর থেকে উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যদিও চুক্তি উপেক্ষা করে উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল।

