jugantor
রাবির মূর্তিমান আতংক ছাত্রলীগ নেতা তুহিন
প্রকৌশলীকে মাথা ফাটানোর শাস্তি শুধুই পদ থেকে অব্যাহতি

  যুগান্তর রিপোর্ট  

৩০ আগস্ট ২০১৪, ০০:০০:০০  | 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূর্তিমান আতংকের নাম এসএম তৌহিদ আল হোসেন তুহিন। ডাকাতি, নিজ দলের কর্মীকে হত্যা, পুলিশের সামনে পিস্তল উঁচিয়ে দিনের পর দিন অস্ত্রবাজি, যখন যাকে ইচ্ছে ধরে হাত-পা ভেঙে দেয়া- এসব ঘটনা ঘটিয়ে চললেও এই ছাত্রলীগ নেতার টিকিটি ধরার কেই নেই। ক্যাম্পাসে এখন নির্বাধায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। যে কোনো ঘটনাতেই তিনি পিস্তলবাজিতে পটু। তাই তিনি ক্যাম্পাসে পিস্তল তুহিন নামে পরিচিত। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার চাঁদার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের মাথা ফাটান তিনি। ভিসির দফতরে খোদ প্রোভিসির সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর তৌহিদকে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একদিন আগেও তিনি ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, তুহিন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামের মোঃ হোসেন আলী শেখের ছেলে। ২০০৬ সালে নগরীর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসিতে অধ্যয়নের সময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে তিনি ওই কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হন। এরপর ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হন। এ সময় রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আওয়াল কবির জয় ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপুর কমিটিতে স্থান করে নেন। ২০১২ সালের জুলাইয়ে আহমেদ-বিপুর কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়ে যান তুহিন। এ সময় তিনি ক্যাম্পাস থেকে শিবির তাড়াও আন্দোলনে প্রথম সারিতেই ছিলেন। তবে শিবির আখ্যা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে চাঁদাবাজিতেও পিছিয়ে ছিলেন না তিনি।

ক্যাম্পাসের একাধিক সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ২ অক্টোবর শিবির-ছাত্রলীগের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন ছাত্রলীগ নেতা তুহিন পুলিশের সামনে পিস্তল উঁচিয়ে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গুলি ছোড়েন। এ ঘটনার ভিডিও চিত্র গণমাধ্যমে দেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষামন্ত্রী ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি আবদুস সোবহানকে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই ঘটনার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে একই বছরের ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ ও সোহরাওয়ার্দী হলের মধ্যবর্তী রাস্তায় ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান সোহেল। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নোমানের দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় তুহিনকে। দলীয় কর্মী হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে কিছুদিন পরই তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ওই বছরের ২১ আগস্ট নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ২৩৩ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়িতে ডাকাতিরও অভিযোগ ওঠে তুহিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল বোয়ালিয়া মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান অভিযোগপত্র দেন। এই মামলায় তুহিনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে ‘উপরের নির্দেশে’ তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ।

২০১৩ সালের নিজ দলের কর্মী মুজাহিদুল ইসলাম হিমু ও ওই কমিটির উপ-অর্থ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন শিমুলকে লোকজন নিয়ে বেধড়ক পেটান তুহিন। ওই সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এতসব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ২০ জুলাই কাউন্সিলের মাধ্যমে তাকে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এতে ছাত্রলীগের রাবি শাখার অধিকাংশ কর্মীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দায়িত্ব পেয়েই মাদার বখ্শ হলে শিবির সন্দেহে এক শিক্ষার্থীর পা ভেঙে দেন তুহিন। তবে ক্যাম্পাস থেকে শিবির খেদাও কর্মসূচিতে সফল হওয়ায় তুহিন তাদের টার্গেটে পড়েন। ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হল থেকে ফেরার পথে শিবির ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে তুহিনের ডান পায়ের রগ কেটে দেয়। এ সময় শিবির ক্যাডাররা তার বাম হাতের একটি আঙুলও কেটে নেয়। তবে সুস্থ হয়ে ২০১৪ সালের প্রথম দিকে ক্যাম্পাসে ফিরে আবার নিজের পুরনো চেহারায় ফেরেন তুহিন। চলতি বছরের ১৬ জুন আবদুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আলমের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় তার নেতৃত্বে। এ ঘটনার কয়েকদিন পর দৈনিক আমাদের সময়ের রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আমজাদ হোসেন শিমুলকে হত্যার হুমকি দেন তুহিন। এত অভিযোগ সত্ত্বেও তুহিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন- জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমরা সব সময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালত থেকে তুহিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।

সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তুহিনকে অব্যাহতি : এদিকে প্রধান প্রকৌশলীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে এসএম তৌহিদ আল হোসেন তুহিনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যুগ্ম-সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এমবিএর শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা এলাকায়।

চাঁদা না দেয়ায় বৃহস্পতিবার ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে তুহিন রাবি ভিসির দফতরে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীরকে মারধর করে তার মাথা ফাটিয়ে দেন। খোদ প্রোভিসির সামনে এ ঘটনা ঘটে।


 

সাবমিট

রাবির মূর্তিমান আতংক ছাত্রলীগ নেতা তুহিন

প্রকৌশলীকে মাথা ফাটানোর শাস্তি শুধুই পদ থেকে অব্যাহতি
 যুগান্তর রিপোর্ট 
৩০ আগস্ট ২০১৪, ১২:০০ এএম  | 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূর্তিমান আতংকের নাম এসএম তৌহিদ আল হোসেন তুহিন। ডাকাতি, নিজ দলের কর্মীকে হত্যা, পুলিশের সামনে পিস্তল উঁচিয়ে দিনের পর দিন অস্ত্রবাজি, যখন যাকে ইচ্ছে ধরে হাত-পা ভেঙে দেয়া- এসব ঘটনা ঘটিয়ে চললেও এই ছাত্রলীগ নেতার টিকিটি ধরার কেই নেই। ক্যাম্পাসে এখন নির্বাধায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। যে কোনো ঘটনাতেই তিনি পিস্তলবাজিতে পটু। তাই তিনি ক্যাম্পাসে পিস্তল তুহিন নামে পরিচিত। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার চাঁদার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের মাথা ফাটান তিনি। ভিসির দফতরে খোদ প্রোভিসির সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর তৌহিদকে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একদিন আগেও তিনি ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, তুহিন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামের মোঃ হোসেন আলী শেখের ছেলে। ২০০৬ সালে নগরীর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসিতে অধ্যয়নের সময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে তিনি ওই কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হন। এরপর ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হন। এ সময় রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আওয়াল কবির জয় ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপুর কমিটিতে স্থান করে নেন। ২০১২ সালের জুলাইয়ে আহমেদ-বিপুর কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়ে যান তুহিন। এ সময় তিনি ক্যাম্পাস থেকে শিবির তাড়াও আন্দোলনে প্রথম সারিতেই ছিলেন। তবে শিবির আখ্যা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে চাঁদাবাজিতেও পিছিয়ে ছিলেন না তিনি।

ক্যাম্পাসের একাধিক সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ২ অক্টোবর শিবির-ছাত্রলীগের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন ছাত্রলীগ নেতা তুহিন পুলিশের সামনে পিস্তল উঁচিয়ে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গুলি ছোড়েন। এ ঘটনার ভিডিও চিত্র গণমাধ্যমে দেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষামন্ত্রী ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি আবদুস সোবহানকে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই ঘটনার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে একই বছরের ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ ও সোহরাওয়ার্দী হলের মধ্যবর্তী রাস্তায় ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান সোহেল। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নোমানের দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় তুহিনকে। দলীয় কর্মী হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে কিছুদিন পরই তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ওই বছরের ২১ আগস্ট নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ২৩৩ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়িতে ডাকাতিরও অভিযোগ ওঠে তুহিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল বোয়ালিয়া মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান অভিযোগপত্র দেন। এই মামলায় তুহিনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে ‘উপরের নির্দেশে’ তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ।

২০১৩ সালের নিজ দলের কর্মী মুজাহিদুল ইসলাম হিমু ও ওই কমিটির উপ-অর্থ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন শিমুলকে লোকজন নিয়ে বেধড়ক পেটান তুহিন। ওই সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এতসব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ২০ জুলাই কাউন্সিলের মাধ্যমে তাকে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এতে ছাত্রলীগের রাবি শাখার অধিকাংশ কর্মীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দায়িত্ব পেয়েই মাদার বখ্শ হলে শিবির সন্দেহে এক শিক্ষার্থীর পা ভেঙে দেন তুহিন। তবে ক্যাম্পাস থেকে শিবির খেদাও কর্মসূচিতে সফল হওয়ায় তুহিন তাদের টার্গেটে পড়েন। ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হল থেকে ফেরার পথে শিবির ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে তুহিনের ডান পায়ের রগ কেটে দেয়। এ সময় শিবির ক্যাডাররা তার বাম হাতের একটি আঙুলও কেটে নেয়। তবে সুস্থ হয়ে ২০১৪ সালের প্রথম দিকে ক্যাম্পাসে ফিরে আবার নিজের পুরনো চেহারায় ফেরেন তুহিন। চলতি বছরের ১৬ জুন আবদুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আলমের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় তার নেতৃত্বে। এ ঘটনার কয়েকদিন পর দৈনিক আমাদের সময়ের রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আমজাদ হোসেন শিমুলকে হত্যার হুমকি দেন তুহিন। এত অভিযোগ সত্ত্বেও তুহিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন- জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমরা সব সময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালত থেকে তুহিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।

সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তুহিনকে অব্যাহতি : এদিকে প্রধান প্রকৌশলীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে এসএম তৌহিদ আল হোসেন তুহিনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যুগ্ম-সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এমবিএর শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা এলাকায়।

চাঁদা না দেয়ায় বৃহস্পতিবার ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে তুহিন রাবি ভিসির দফতরে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীরকে মারধর করে তার মাথা ফাটিয়ে দেন। খোদ প্রোভিসির সামনে এ ঘটনা ঘটে।


 

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র