দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের বন্যা
১৭ নদীর পানি বিপদসীমার উপরে * দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কয়েকদিন চলতে পারে ভারি বৃষ্টিপাত * ঘূর্ণিঝড় আম্পানকালের চেয়েও বেশি পানি উঠেছে এবার
দেশের উপকূলীয় আট জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অমাবস্যার প্রভাব কমে আসায় নেমে যাচ্ছে জোয়ারের পানি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হতে পারে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে সাগরে পুনরায় লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এতে সৃষ্ট বায়ুপ্রবাহ ও বায়ুচাপের কারণে সাগর থেকে ফের আসতে পারে পানির চাপ।
এদিকে উজান থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ধারা অব্যাহত আছে। দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।
এ কারণে সাগরে পানি নামাটা বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। সব মিলিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন বিরাজমান থাকতে পারে। আবহাওয়া ও বন্যা বিশেষজ্ঞরা এমন তথ্য দিয়েছেন।
অমাবস্যা ও সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। সেই পানি চলে আসে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন নদনদীতে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় সক্রিয় মৌসুমের প্রভাবে অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নামা পানি।
এর ফলে এই দুই অঞ্চলের প্রধান ১৩টি নদনদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। সৃষ্ট হয়েছে ভয়াবহ বন্যার।
বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, অমাবস্যার প্রভাব ইতোমধ্যে কেটে গেছে। আগের লঘুচাপের প্রভাবও গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এ কারণে উপকূলীয় জেলায় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের পানি কমছে।
কিন্তু ২৪ আগস্ট (আজ) মধ্যরাতে ফের লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এতে ৪০-৪৫ কিলোমিটার বেগে বায়ুপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে ফের জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে পানিপ্রবাহ বেড়ে যেতে পারে। অস্থির হয়ে উঠতে পারে সাগর।
ফলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার গতি হ্রাস পেতে পারে। এই অবস্থা ২৮ আগস্ট পর্যন্ত থাকতে পারে।
সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) তথ্যানুযায়ী, অতিবৃষ্টি আর অধিক জোয়ারের প্রভাবে নদীসমূহে পানির সমতল বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত আছে। অন্তত ১৩ নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
এগুলো হল : কীর্তনখোলা, বিশখালী, বলেশ্বর, কচা, বুড়িশ্বর, সুরমা-মেঘনা, তেঁতুলিয়া, নয়াভাঙ্গানি, ধর্মগঞ্জ, তড়কি, সুগন্ধা, পশুর এবং কপোতাক্ষ। ফলে খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা ও যশোরে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পূর্বাঞ্চল থেকে নেমে আসা পানির কারণে যমুনা, আত্রাই, ধলেশ্বরী ও পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এ কারণে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মুন্সীগঞ্জে বন্যা চলছে।
সংস্থাটি উপকূলীয় নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে বলেছে, অন্তত ৬টি স্থানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান সময়কালের চেয়ে বেশি জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোর একটি বরিশালের কীর্তনখোলা। নদীটিতে ২০ আগস্ট পানির স্তর ছিল ৩ মিটারের বেশি। ২ মিটার ৫৫ সেন্টিমিটার এর বিপদসীমা।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে এই নদীর পানি উঠেছিল ২ মিটার ৮৫ সেন্টিমিটার। ঝালকাঠিতে বিশখালী নদীতে আম্পানের সময় পানি উঠেছিল ২ মিটার ৩০ সেন্টিমিটার। ২০ আগস্ট এ নদী দিয়ে প্রবাহিত হয় ৩ মিটার ২৮ সেন্টিমিটার সমতলে। ভোলার দৌলতখানে সুরমা-মেঘনা নদীর বিপদসীমা ৩ মিটার ৪১ সেন্টিমিটার। কিন্তু ২০ আগস্ট প্রবাহিত হয় সাড়ে ৪ মিটার সমতলে।
আর আম্পানের সময় এটিতে পানির সর্বোচ্চ স্তর ছিল ৩ মিটার ৭২ সেন্টিমিটার। একই জেলায় তেঁতুলিয়া নদীর বিপদসীমা ২ মিটার ৯০ সেন্টিমিটার। আম্পানে এই নদীতে সর্বোচ্চ ৩ মিটার ৪০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ ছিল। ২০ আগস্ট এখানে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৩ মিটার ৫৬ সেন্টিমিটার।
এভাবে বরিশালে নয়াভাঙ্গানি ও হিজলায় ধর্মগঞ্জ নদীর পানি আম্পানের জলোচ্ছ্বাসের চেয়েও বেশি বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রায় সারা দেশেই বিভিন্ন মাত্রার বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি) ও এফএফডব্লিউসির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ প্রায় সারা দেশেই আষাঢ় মাসের মতোই বৃষ্টি হচ্ছে। বিএমডি দেশের ৪২ স্টেশনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।
এর মধ্যে মাদারীপুর বাদে সব স্টেশনেই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে। এফএফডব্লিউসির প্রতিবেদনে দেখা যায়, মহেশখোলায় ৯৮, চট্টগ্রামে ৭১, চাঁদপুরে ৬৮, বরিশালে ৬৭ এবং নীলফামারীর ডালিয়ায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এই সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, কোনো এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে স্থানীয় বন্যা আর ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ১০ দিন বন্যার সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েকদিনে উল্লিখিত এলাকাগুলোয় ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলের বৃষ্টি ও ঢলের পানি দক্ষিণাঞ্চলের নদনদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। এর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের অতিবৃষ্টির পানি যুক্ত হলে তা ওই এলাকার বন্যায় আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই অবস্থার মধ্যেই আগামী ১০ দিন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ও সংশ্লিষ্ট পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী তিন দিন অন্তত ২০০ মিলিমিটার, ৫ দিনে ৩০০ এবং ১০ দিনে ৪০০-৪৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।
এতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের মতো ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। এ কারণে দক্ষিণাঞ্চল বন্যামুক্ত হতে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৭-১৮ আগস্ট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারি আবার কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। একইসঙ্গে সাগরের লঘুচাপ এবং অমাবস্যার প্রভাবও পড়েছিল।
দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের বন্যা
১৭ নদীর পানি বিপদসীমার উপরে * দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কয়েকদিন চলতে পারে ভারি বৃষ্টিপাত * ঘূর্ণিঝড় আম্পানকালের চেয়েও বেশি পানি উঠেছে এবার
মুসতাক আহমদ
২৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের উপকূলীয় আট জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অমাবস্যার প্রভাব কমে আসায় নেমে যাচ্ছে জোয়ারের পানি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হতে পারে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে সাগরে পুনরায় লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এতে সৃষ্ট বায়ুপ্রবাহ ও বায়ুচাপের কারণে সাগর থেকে ফের আসতে পারে পানির চাপ।
এদিকে উজান থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ধারা অব্যাহত আছে। দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।
এ কারণে সাগরে পানি নামাটা বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। সব মিলিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন বিরাজমান থাকতে পারে। আবহাওয়া ও বন্যা বিশেষজ্ঞরা এমন তথ্য দিয়েছেন।
অমাবস্যা ও সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। সেই পানি চলে আসে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন নদনদীতে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় সক্রিয় মৌসুমের প্রভাবে অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নামা পানি।
এর ফলে এই দুই অঞ্চলের প্রধান ১৩টি নদনদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। সৃষ্ট হয়েছে ভয়াবহ বন্যার।
বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, অমাবস্যার প্রভাব ইতোমধ্যে কেটে গেছে। আগের লঘুচাপের প্রভাবও গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এ কারণে উপকূলীয় জেলায় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের পানি কমছে।
কিন্তু ২৪ আগস্ট (আজ) মধ্যরাতে ফের লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এতে ৪০-৪৫ কিলোমিটার বেগে বায়ুপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে ফের জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে পানিপ্রবাহ বেড়ে যেতে পারে। অস্থির হয়ে উঠতে পারে সাগর।
ফলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার গতি হ্রাস পেতে পারে। এই অবস্থা ২৮ আগস্ট পর্যন্ত থাকতে পারে।
সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) তথ্যানুযায়ী, অতিবৃষ্টি আর অধিক জোয়ারের প্রভাবে নদীসমূহে পানির সমতল বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত আছে। অন্তত ১৩ নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
এগুলো হল : কীর্তনখোলা, বিশখালী, বলেশ্বর, কচা, বুড়িশ্বর, সুরমা-মেঘনা, তেঁতুলিয়া, নয়াভাঙ্গানি, ধর্মগঞ্জ, তড়কি, সুগন্ধা, পশুর এবং কপোতাক্ষ। ফলে খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা ও যশোরে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পূর্বাঞ্চল থেকে নেমে আসা পানির কারণে যমুনা, আত্রাই, ধলেশ্বরী ও পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এ কারণে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মুন্সীগঞ্জে বন্যা চলছে।
সংস্থাটি উপকূলীয় নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে বলেছে, অন্তত ৬টি স্থানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান সময়কালের চেয়ে বেশি জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোর একটি বরিশালের কীর্তনখোলা। নদীটিতে ২০ আগস্ট পানির স্তর ছিল ৩ মিটারের বেশি। ২ মিটার ৫৫ সেন্টিমিটার এর বিপদসীমা।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে এই নদীর পানি উঠেছিল ২ মিটার ৮৫ সেন্টিমিটার। ঝালকাঠিতে বিশখালী নদীতে আম্পানের সময় পানি উঠেছিল ২ মিটার ৩০ সেন্টিমিটার। ২০ আগস্ট এ নদী দিয়ে প্রবাহিত হয় ৩ মিটার ২৮ সেন্টিমিটার সমতলে। ভোলার দৌলতখানে সুরমা-মেঘনা নদীর বিপদসীমা ৩ মিটার ৪১ সেন্টিমিটার। কিন্তু ২০ আগস্ট প্রবাহিত হয় সাড়ে ৪ মিটার সমতলে।
আর আম্পানের সময় এটিতে পানির সর্বোচ্চ স্তর ছিল ৩ মিটার ৭২ সেন্টিমিটার। একই জেলায় তেঁতুলিয়া নদীর বিপদসীমা ২ মিটার ৯০ সেন্টিমিটার। আম্পানে এই নদীতে সর্বোচ্চ ৩ মিটার ৪০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ ছিল। ২০ আগস্ট এখানে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৩ মিটার ৫৬ সেন্টিমিটার।
এভাবে বরিশালে নয়াভাঙ্গানি ও হিজলায় ধর্মগঞ্জ নদীর পানি আম্পানের জলোচ্ছ্বাসের চেয়েও বেশি বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রায় সারা দেশেই বিভিন্ন মাত্রার বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি) ও এফএফডব্লিউসির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ প্রায় সারা দেশেই আষাঢ় মাসের মতোই বৃষ্টি হচ্ছে। বিএমডি দেশের ৪২ স্টেশনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।
এর মধ্যে মাদারীপুর বাদে সব স্টেশনেই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে। এফএফডব্লিউসির প্রতিবেদনে দেখা যায়, মহেশখোলায় ৯৮, চট্টগ্রামে ৭১, চাঁদপুরে ৬৮, বরিশালে ৬৭ এবং নীলফামারীর ডালিয়ায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এই সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, কোনো এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে স্থানীয় বন্যা আর ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ১০ দিন বন্যার সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েকদিনে উল্লিখিত এলাকাগুলোয় ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলের বৃষ্টি ও ঢলের পানি দক্ষিণাঞ্চলের নদনদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। এর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের অতিবৃষ্টির পানি যুক্ত হলে তা ওই এলাকার বন্যায় আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই অবস্থার মধ্যেই আগামী ১০ দিন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ও সংশ্লিষ্ট পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী তিন দিন অন্তত ২০০ মিলিমিটার, ৫ দিনে ৩০০ এবং ১০ দিনে ৪০০-৪৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।
এতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের মতো ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। এ কারণে দক্ষিণাঞ্চল বন্যামুক্ত হতে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৭-১৮ আগস্ট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারি আবার কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। একইসঙ্গে সাগরের লঘুচাপ এবং অমাবস্যার প্রভাবও পড়েছিল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023