ঐতিহ্যে ইসলাম
বাগেরহাটের চুনাখোলা মসজিদ
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাগেরহাট জেলা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের চুনাখোলা গ্রামে প্রাচীন পুরাকীর্তির এক অনন্য নিদর্শন চুনাখোলা মসজিদ। ধারণা করা হয় ১৫ শতকে খানজাহান (রহ.)-এর এক অনুগত কর্মচারী মধ্যযোগীয় স্থাপত্যে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। এটি ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় এক মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। চুনাখোলা গ্রামে অবস্থিত বলেই এ মসজিদটির এরূপ নামকরণ হয়েছে।
ইটের তৈরি মসজিদটির বাইরে প্রতি দিকের দৈর্ঘ্য ১২.৫০ মিটার। ২.১৪ মিটার পুরু দেওয়ালের পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে মোট পাঁচটি ধনুকাকৃতির খিলান দরজা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দরজার প্রশস্ততা পূর্ব দেওয়ালের মাঝের দরজার সমান। কিবলা দেওয়ালের অভ্যন্তর ভাগে পূর্ব দিকের প্রবেশপথ বরাবর খিলানযুক্ত তিনটি ধনুকাকৃতির মিহরাব আছে।
প্রসঙ্গত, ইংরেজি অক্ষরের ‘ইউ, কে উলটো করলে যে রকম ধনুকাকৃতির হয়, সেই ধরনের কাঠামোকেই সাধারণত স্থাপত্য পরিভাষায় খিলান বলা হয়। খিলান এক ধরনের বাঁকা কাঠামো, যা একটি উঁচু স্থান প্রসারিত করে এবং উঁচু গম্বুজের আকৃতির স্থানটি এটির ওপরে ভার থাকে বা নাও থাকতে পারে। খিলান গুম্বুজের মতো দেখতে হলেও, গম্বুজকে ছাদ গঠনের একটি অবিচ্ছিন্ন খিলান হিসাবে গণ্য করা হয়।
আয়তাকার কেন্দ্রীয় মিহরাবটি দেওয়ালের বাইরে সম্প্রসারিত এবং তা ছাদ পর্যন্ত উঁচু। মসজিদের বাইরের চার কোণের চারটি মিনার খান জাহানি রীতি অনুযায়ী গোলাকার এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে ঢালাই করা হয়েছে। ইমারতে বাঁকানো তিনটি কার্নিশ রয়েছে।
১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো চুনাখোলা মসজিদকে ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে।
