Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

একুশের চেতনা বলতে আমরা কী বুঝব

Icon

মিফতাহুর রহমান

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

একুশের চেতনা বলতে আমরা কী বুঝব

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির চেতনা ও আদর্শ বুঝতে হলে আমাদের বুঝতে হবে এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ও ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস ও প্রাসঙ্গিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রিটিশ সরকারের সুপরিকল্পিত ভারত-বিভাগ কূটনীতির অংশ হিসাবে মুসলমানদের জন্য গণতন্ত্র ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের রাজনীতিকে ত্বরান্বিত করতে ১৯০৬ সালে প্রথমে আগা খানের নেতৃত্বে ও পরে মোহম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগের জন্ম হয়।

মুসলিম লীগের জাতীয়তাবাদের আদেশপত্রের পর মুসলমানরা ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে নিজেদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের দাবি জানায়। তৎকালীন ভারতে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সমাধানে ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইন প্রবর্তনের ফলে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন বৃদ্ধি পায়। এদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫) চলাকালীন ব্রিটিশ সরকার হিন্দু-মুসলিম অনৈক্য ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ সমাধান করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা দেয় এবং পাকিস্তান ও ভারত নামের দুটি পৃথক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

১৯৪৭ সালের পাকিস্তান, যা পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) ও পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) নিয়ে গঠিত হয় এবং মাঝখানে থাকে ভারত। এখানে উল্লেখ্য, পূর্ব পাকিস্তানের এবং পশ্চিম পাকিস্তানের ভৌগোলিক দূরত্ব ১০০০ মাইলের বেশি। তৎকালীন পাকিস্তানে মোট পাঁচটি প্রদেশ (বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া, পাঞ্জাব, সিন্ধু ও পূর্ব পাকিস্তান) ও পাঁচটি ভাষা (পাঞ্জাবি, পশতু, সিন্ধি, বেলুচি ও বাংলা) ছিল।

পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের সাত মাস পর, ১৯৪৮ সালে, তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল, মুসলিম লীগ ও গণপরিষদের সভাপতি মোহম্মদ আলী জিন্নাহ তার জীবনের প্রথম ও শেষবারের মতো তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেন। নয় দিনের এ সফরে জিন্নাহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন সভায় তার ইংরেজিতে দেওয়া বক্তব্যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দু হবে বলে স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন যে ‘কেউ যদি আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাহলে সে আসলে পাকিস্তানের শত্রু।’ এ সফরের এক পর্যায়ে মোহম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তার ভাষণে বললেন ‘পাকিস্তানের প্রদেশগুলো নিজেদের সরকারি কাজে যে কোনো ভাষা ব্যবহার করতে পারে, তবে রাষ্ট্রীয় ভাষা হবে একটিই, তা হবে উর্দু।’

এ সময় কার্জন হলে উপস্থিত কয়েকজন ছাত্র ‘না’ ‘না’ বলে চিৎকার করে প্রতিবাদ করেন ও পরে মোহম্মদ আলী জিন্নাহকে একটি স্মারকলিপিও দেন, যাদের অনেকেই ছিলেন তৎকালীন জিন্নাহর মুসলিম লীগের সদস্য। এ স্মারকলিপিতে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিসংবলিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দেওয়া হয়, যেখানে একাধিক রাষ্ট্রভাষা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

এভাবেই উর্দুকে পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা করা হয়। উর্দু ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবর্গের অন্তর্গত ইন্দো-ইরানীয় উপগোত্রের একটি ভাষা, যাতে প্রচুর আরবি ও ফার্সি শব্দ সংযোজিত হওয়ার পর তা আধুনিক উর্দু ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। উর্দু ভাষায় কয়েকজন বিখ্যাত কবির মধ্যে আল্লামা মুহম্মদ ইকবাল, জাওন এলিয়া, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, মির্জা গালিব, মীর তাকী মীর, আজমল খট্রক, পারভীন শাকির প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তেমনিভাবে আমরা সবাই অবগত, পাঞ্জাবি, পশতু, সিন্ধি, বেলুচি ও বাংলাভাষায় অসংখ্য বিশ্বখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, গীতিকার জন্ম নিয়েছেন, যারা এ ভাষাগুলো ও তাদের জাতিসত্তাকে বিশ্বের দরবারে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হওয়ার নেপথ্যে যারা ইন্ধন জোগান ও প্রস্তাব দেন, তাদের মধ্যে চৌধুরী খালেকুজ্জামান ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জিয়াউদ্দিন আহমদ অন্যতম।

এদিকে এ প্রস্তাবের বিপক্ষে সোচ্চার ও প্রতিবাদী হন অনেক বাঙালি বুদ্ধিজীবী, যাদের মধ্যে জ্ঞানতাপস ও ভাষাবিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ অন্যতম। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনের ‘উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’, এ কথার প্রতিবাদে ১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারি সব রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দলের যৌথ উদ্যোগে ও কাজী গোলাম মাহবুবকে কনভেনর করে ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। এ সংগ্রাম পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে সারা দেশে হরতাল ডাকে।

অন্যদিকে, তৎকালীন নুরুল আমিন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে সমবেত ছাত্র-জনতার ওপর অন্যায়ভাবে ও অগণতান্ত্রিকভাবে গুলিবর্ষণ করে এবং এতে শহিদ হন রফিক উদ্দিন আহমেদ, আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, শফিউর রহমান ও অহিউল্লাহ নামের এক বালক, যাকে পুলিশের গুলিতে জীবন দিতে হয়েছে ঢাকার নবাবপুর রোডে।

এরপর ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যেই প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয় এবং শহিদ শফিউরের পিতা তা উদ্বোধন করেন। পরে ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতিসহ ১৯৫৬ সালে সাংবিধানিকভাবে বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়, যা বাঙালি জাতির গৌরবের ইতিহাসের এক অন্যতম অর্জন। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার (যা মূলত পাঞ্জাবি শাসকগোষ্ঠী) উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা করার আড়ালে ইসলামের নামে যে ভেদ-বৈষম্যনীতি ও শোষণনীতি চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে, তা অচিরেই পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা বুঝতে পারেন।

এ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উর্দু ভাষাভাষী পাঞ্জাবি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চাকরি ক্ষেত্র থেকে বঞ্চিত ও পূর্ব পাকিস্তানের উন্নয়নকে ব্যাহত করার এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের ৪০ শতাংশের কিছু বেশি লোক পাঞ্জাবি ভাষা ব্যবহার করত, অন্যদিকে উর্দু ছিল মাত্র ৪ শতাংশের ভাষা।

মোহম্মদ আলী জিন্নাহ ছিলেন গুজরাটি। ইংরেজি ভাষায় অত্যন্ত দক্ষ হলেও উর্দু ভাষা ভালো জানতেন না। তার প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যে বাংলা ভাষায় কথা বলে, এ সম্পর্কে তার ধারণা যে অত্যন্ত সীমিত ছিল, তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। পাকিস্তান আন্দোলনের শীর্ষনেতাদের বেশিরভাগই ছিল পাঞ্জাবি, তাই শাসনক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে যায় পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ।

শিক্ষা, প্রশাসন, প্রতিরক্ষাসহ সবক্ষেত্রে বাড়তে থাকে পাঞ্জাবের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে বৈষম্য ও বিভেদ। পাঞ্জাব প্রদেশে জনসংখ্যার আধিক্য ও বেশি উর্বরা কৃষি জমি থাকায় সেনাবাহিনী, সরকারি চাকরি ও আমলাতন্ত্রের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবিদের প্রতিনিধিত্ব ছিল বেশি। পাঞ্জাবিরা বাঙালিদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করতেন এবং ভাবতেন বাঙালিদের যুদ্ধ করার কোনো শক্তি নেই, যদিও পাকিস্তানের উন্নয়ন প্রকল্পে পূর্ব পাকিস্তান থেকে তহবিলের মোটা অঙ্কের টাকা জোগান দেওয়া হতো প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৫০-৫৫), তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (১৯৬৫-৭০) কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে পূর্ব পাকিস্তানকে যথাক্রমে ২০ শতাংশ ও ৩৬ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের এ বৈষম্যমূলক অর্থনীতির শিকার হয়ে দিন দিন পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ও অবকাঠামোর দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রভাষা উর্দু না বাংলা হবে, সে সংঘাতের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জন্ম হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলনে বাঙালি মুসলমানদের প্রত্যাশা ছিল, মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র দেশ হলে তারা জমিদার ও সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ হলেও পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকশ্রেণির (পাঞ্জাবি) বৈষম্যনীতি অচিরেই রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, শিক্ষাসহ প্রায় সর্বক্ষেত্রে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পশ্চিম পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় পূর্ব পাকিস্তানের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধিসহ, অচিরেই পূর্ব পাকিস্তান হয়ে ওঠে পশ্চিম পাকিস্তানের বাজার ও কাঁচামালের জোগানদাতা।

এমতাবস্থায়, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক সম্মেলনে ঐতিহাসিক ছয় দফা পেশ করেন। ঐতিহাসিক ছয় দফা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন ও পরে বাংলাদেশ জন্মের ঘোষণাপত্র বা সনদপত্র। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি ফেডারেল রাষ্ট্রে পরিণত করা আর প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া।

আমার মতে, ১৯৬৬ সালে দেওয়া ছয় দফা সনদপত্রের প্রস্তাবগুলো আজকের আধুনিক বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর চিন্তার চেয়েও উন্নত। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের প্রগতির স্বার্থে বরাবরই সঠিক পথ অবলম্বন করে। কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সেদিন সদুপদেশ দিয়ে ছয় দফা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করলে দেশটি সত্যিকার বন্ধুত্বের পরিচয় দিত। এভাবেই ইসলাম ধর্মের লেবাসে পাকিস্তানের ভেদ-বৈষম্যনীতি ও শোষণনীতি অচিরেই বাঙালি মুসলমানদের স্বাধীনভাবে বাঁচার প্রত্যাশাকে রুদ্ধ করেছিল, যার পরিণতিতে গণআন্দোলন তৈরি হয় এবং একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়।

এখানে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, উমাইয়া রাষ্ট্রনীতিভিত্তিক তথাকথিত ইসলাম ধর্মের লেবাসে পাকিস্তান বরাবরই পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের দলভুক্ত। পাকিস্তান ও তার অনেক সাম্রাজ্যবাদী মনিব বর্তমানে গরিব অনেক মুসলিম দেশকে বিভ্রান্ত ও বিপথে পরিচালনা করে সেসব দেশের ভীষণ ক্ষতি সাধন করছে। ইসলামি শিক্ষা পদ্ধতির নামে বিশ্বের অনেক গরিব ইসলামিক দেশ মাদ্রাসা ও মসজিদে আমাদের নবি ও নবি বংশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ইসলামিক সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে।

আমাদের দেশের ধর্মালয় ও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে আমাদের কৃষি, পোশাক খাত, গণপরিবহণ, বিদ্যুৎ, পোলট্রি, মৎস্যচাষ ইত্যাদির সঙ্গে সেগুলোকে সম্পৃক্ত করে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।

ভাষা আন্দোলন ও এর ধারাবাহিকতায় যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, বিজ্ঞান ও কারিগরি ক্ষেত্রে উৎকর্ষ অর্জনের যুদ্ধে আমরা জয়ী হতে না পারলে সেই দেশকে সত্যিকার অর্থে মুক্ত দেশ বলা যাবে না।

মিফতাহুর রহমান : শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিজ্ঞান ও কারিগরি পরামর্শদাতা

miftahur1710@gmail.com

 

২১ ফেব্রুয়ারির চেতনা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম