Logo
Logo
×

বাতায়ন

হালফিল বয়ান

নির্বাচন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজি

Icon

ড. মাহফুজ পারভেজ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজি

দীর্ঘ বছরব্যাপী বিরাজমান বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদী অন্ধকার পেরিয়ে সমগ্র জাতি জুলাই বিপ্লবোত্তর পরিবেশে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের নতুন ভোরের সূচনা করতে চলেছে। ঐতিহাসিক কারণে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য এই জাতীয় নির্বাচন। স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী অতীত থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নীতি ও কর্মপদ্ধতিগত সংস্কারের সফলতা বহুলাংশে নির্ভর করছে সামনের নির্বাচনের মাধ্যমে, যারা ক্ষমতায় আসীন হবেন, তাদের মনোভাব, দক্ষতা ও কমিটমেন্টের ওপর। ফলে জাতির রাজনৈতিক যাত্রাপথকে ইতিবাচক ও সম্ভাবনাময় করতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করা অপরিহার্য। আর সেজন্যই নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে সর্বমহল থেকে। একই সঙ্গে নির্বাচনি সন্ত্রাস ও শক্তি প্রয়োগ কমাতে নেওয়া হয়েছে নানারূপ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কৌশল এবং নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত ও বিতর্কমুক্ত রাখতে ইসির তরফে পরিচালিত হচ্ছে নানা ধরনের সতর্কতামূলক প্রশাসনিক পদক্ষেপ।

অতীতের নির্বাচনগুলো যত ধরনের চ্যালেঞ্জ ও সমস্যার মুখে পড়েছিল, সেগুলোর প্রায় সবই নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও চেষ্টার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন করার অবকাশ নেই। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তাপের পাশাপাশি এবার একটি নতুন ও শক্তিশালী উপাদান নির্বাচনি ক্ষেত্রকে ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ক্রমবর্ধমান উন্নতির হাত ধরে জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটি প্রভাবশালী চরিত্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। এআই প্রায় অদৃশ্যভাবে কাজ করে সমাজ ও মানুষের চিন্তা ও মতামতকে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে। গভীরভাবে কাজ করে এআই বর্তমানে নির্বাচনি প্রচারণার ভাষা, পরিধি, প্রভাব এবং কৌশল বদলে দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে নির্বাচনে এর প্রয়োগ ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে, এআই শুধু প্রচারণা সহজ করছে না, বরং ভোটারদের মনস্তত্ত্ব, আচরণ ও বিশ্বাসকে লক্ষ্যভিত্তিকভাবে প্রভাবিত করার ক্ষমতাও ধরে রেখেছে।

নির্বাচনে এআইর ভূমিকার বৈশ্বিক বাস্তবতা থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন নয়। কিংবা জনগণ তথা ভোটাররা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রবল প্রবাহের বাইরে নন। বরং সবাই সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে নতুন যুগের প্রযুক্তিনির্ভর প্রচার-প্রচারণার অধীনস্থ হয়ে পড়েছে। নির্বাচনি প্রচারণার ভাষা এখন কেবল প্রার্থীর বক্তব্য নয়; বরং অ্যালগরিদমচালিত কৌশলের ফল। এআই এখন প্রচারণার সহকারী হিসাবে কাজ করছে। বক্তৃতার খসড়া লিখছে। পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করছে। জনমত গঠন করছে। নির্বাচনসংক্রান্ত জরিপ ও পূর্বাভাস প্রভাবিত করছে। এমনকি, অতি দ্রুত সময়ে লাখ লাখ ভোটারের ব্যক্তিগত পর্যায়ে বার্তা পাঠাচ্ছে। প্রচারের বহুমুখী কনটেন্ট তৈরি করছে। এমনকি স্থানীয় আবেগ-ভাষা-সংস্কৃতি অনুকরণ করে বার্তা তৈরি করছে। এর মাধ্যমে এআই মানুষকে এমন অনেক কিছুই বিশ্বাস করতে বাধ্য করছে, যা সত্য নয় কিংবা অর্ধসত্য। প্রয়োজনে নিজস্ব দল বা প্রার্থীর স্বার্থে এআই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে। কিংবা নানারূপ প্রচারণা কৌশলে পরিস্থিতি জটিল বা ঘোলাটে করে সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে ভোটের ময়দান থেকে হটিয়ে দিয়ে নিজস্ব প্রার্থীকে নির্বাচনি বৈতরণী পাড়ি দিতে সফল করছে। এমন অবস্থাকে স্বচ্ছ ও সঠিক জনমতের প্রতিফলন বলা আদৌ সম্ভব নয়। বলতে হয় জনমত ও এআই প্রযুক্তির কারসাজির খেলা। এ কারসাজি যে প্রার্থী বা দল যত বেশি দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে করতে পারবে, বিজয়ের কাছাকাছি তারাই সবার আগে হাজির হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের মতো শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা সমাজে এআই দিয়ে এমন কারসাজি করা সম্ভব, যা গ্রামীণ ভোটার, নারী সমাজ বা বিভিন্ন শ্রেণিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে সক্ষম। তাদের নানা ইস্যুতে বিভ্রান্ত বা স্পর্শকাতর করতে পারে এআই। উত্তেজনা ও গুজব ছড়ানো এআইর কাছে হাতের ময়লা। ভুয়া তথ্য নিমেষে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া স্বল্প সময়েই সম্পন্ন করতে পারে এআই। এডিট করে বা ও গ্রাফিক্সের মাধ্যমে এমন ছবিকেও সত্য বলে প্রমাণ করে দিতে পারবে এআই, যা আসলে ভুয়া। ফলে নির্বাচনি প্রচারণায় এআই হলো অনিয়ন্ত্রিত দৈত্যের মতো। বশে রাখতে না পারলে যে দৈত্য তাণ্ডব সৃষ্টি করতে সক্ষম।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এআই যখন প্রচারকদের হাতে ভোটারের ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য পৌঁছে দেয়, তখন সমীকরণটি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এর মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এআইনির্ভর তহবিল সংগ্রহের ইমেইল, ভারতে ভোটারভিত্তিক এআইভিডিও-এসব নির্বাচনি বাস্তবতা ব্যক্তি ভোটারের নিজস্ব গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাকে শুধু বিঘ্নিতই করে না, বরং ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। এ কারণেই, বিশ্বের নানা দেশের নির্বাচন ও রাজনীতিতে এআই’র ব্যবহার নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক চলছে।

বাংলাদেশের মুঠোফোননির্ভর জনসংখ্যায় এআইনির্ভর প্রচারণা ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে পড়া খুবই সহজ ও সম্ভব। মোবাইল ভোক্তাদের তথ্য জেনে তাদের ভাষা, পেশা, অঞ্চল, শ্রেণি অবস্থান পর্যালোচনা করে এআই খুব সহজেই প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। তারপর, এআই নানা প্রযুক্তিগত কৌশলে কিংবা কাল্পনিক ও মিথ্যা প্রচারণার ফাঁদে ফেলে ভোটারদের মন জেতার কাজটিও করতে পারে। বেচারা ভোটার টেরও পাবে না যে, এক অচেনা যান্ত্রিক আবহ মানুষের পরিচয়ে তাকে প্রভাবিত করে ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে অভিজ্ঞতা বলছে-ভাষার নিখুঁত ব্যবহার ও সাংস্কৃতিক প্রতীকের ব্যবহার ভোটার প্রভাবিত করতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে, স্প্যানিশভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে স্প্যানিশ ভাষায় বার্তা পৌঁছানো হলে এবং হিস্পানিক ইমেজ ব্যবহার করা হলে তা ইংরেজির তুলনায় অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশেও নানা আঞ্চলিক সংস্কৃতি, উপভাষা, প্রতীক, উপমা ইত্যাদির মাধ্যমে মৈত্রী গঠন বা বিদ্বেষ ছড়িয়ে ভোটের মাঠে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার এবং ভোটের মেরুকরণ সাধন করা সম্ভব।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশেও আঞ্চলিক ভাষা ও উপভাষার প্রতি মানুষের আবেগ গভীর। চাটগাঁইয়া, সিলেটি, বরিশাইল্যা ইত্যাদি আঞ্চলিক জনশক্তিকে যদি এআইর শক্তি ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে তা নির্বাচনি প্রচারের চরিত্র আমূল বদলে দিতে পারে। তাছাড়া, প্রার্থীর আঞ্চলিক পরিচয়কেও এআইর মাধ্যমে ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। একই ভাবে, ভোটারদের মেরুকরণ করার মাধ্যমে কোনো প্রার্থী বা দলের পক্ষে বা বিপক্ষে প্রভাবিত করার সুযোগও রয়েছে এআইর। ফলে এমন প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক, এআই কি রাজনৈতিক বাস্তবতার স্বাভাবিক বিবর্তন, নাকি নতুন ধরনের প্রযুক্তিগত প্রভাব বিস্তার, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘কৃত্রিম জনমত’ তৈরির ঝুঁকি তৈরি করতে সক্ষম?

এআইর সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো-বটনেট বা কৃত্রিম পরিচয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল নেটওয়ার্ক। এক অদৃশ্য বা কাল্পনিক চরিত্র ভোটারদের পাশে থেকে তাকে পাহারা দেবে এবং নিজের মতো প্রভাবিত করবে। অথচ ভোটার তাকে চিনতে বা শনাক্ত করতেই পারবে না। এগুলোর মাধ্যমে দলে দলে পোস্ট করে রাতকে দিন কিংবা সত্যকে মিথ্যায় প্রতিপন্ন করা যাবে। মিথ্যা তথ্য বানের পানির মতো ছড়িয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নাজুক করাও অসম্ভব হবে না। নানা মন্তব্যের মাধ্যমে সমাজে ও ভোটারদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়া বা পিছিয়ে থাকা প্রার্থীকে সামনে নিয়ে আসাও সম্ভব হবে এআইর কারসাজির মাধ্যমে। তদুপরি, সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, জনমতের কৃত্রিম চিত্র নির্মাণ করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার আশঙ্কা, যা চাপমুক্ত নির্বাচনের বিপরীত। আগে যা কালোটাকা ও পেশিশক্তির মাধ্যমে করা হতো, এখন তা এআই কর্তৃক অদৃশ্য চরিত্রের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে। এবং এদের চট করে ধরে ফেলাও যাবে না।

বাংলাদেশের নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটককেন্দ্রিক বিতর্কে আবদ্ধ। এআইচালিত বট এ অস্থির পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। যে জটিল ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সম্পর্কে বাংলাদেশের ভোটাররা মোটেও সচেতন নন এবং এহেন প্রযুক্তিগত ঝুঁকি সামাল দেওয়ার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুতও নন। যখন ভোটের গরম মাঠে কোনো বার্তার উৎস শনাক্ত করা কঠিন হবে, তথ্যস্রোতে সত্য বা মিথ্যা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব হবে এবং প্রার্থী ও ভোটারের নানা গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হতে থাকবে, তখন চারপাশে যে চরম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তা নিশ্চয় একটি আদর্শ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ হবে না।

অতএব, এআইর সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া খুবই জরুরি। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই এআইর নিয়ন্ত্রণ ও নৈতিকতা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং ভোটের মাঠে এআইর দিক থেকে আগত সম্ভাব্য বিপদ মোকাবিলায় নীতি ও কাঠামোগত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য, অনেক উন্নত দেশের আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এআই ব্যবহারের জন্য একটি পরিষ্কার নৈতিক ও আইনি কাঠামো তৈরি করছে। যেমন, ইউরোপ জিডিপিআরের মাধ্যমে ডেটা সুরক্ষা আইন কঠোর করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘Trustworthy AI’-এর নীতি প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এআই-চালিত ভুল তথ্য মোকাবিলায় নতুন টাস্কফোর্স করছে।

বাংলাদেশে এখনো এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতি নেই। নির্বাচন যখন সামনেই, তখন এ শূন্যতা দ্রুতই পূর্ণ করতে হবে। সামাজিকভাবে এআই’র ব্যবহার ও অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, মিডিয়া লিটারেসি শক্তিশালী করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্দিষ্ট নৈতিক বাধ্যবাধকতা আরোপ করাও অগ্রাধিকারের তালিকার মধ্যে গণ্য হওয়া উচিত। কারণ, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক নয়, প্রযুক্তিগত পরীক্ষাও। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক প্রচারণায় মেশিন ও মানবিক সম্পর্কের সীমারেখা ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে। এআই-এর হাত ধরে প্রচার সহজতর হচ্ছে; কিন্তু একইসঙ্গে বিভ্রান্তি, ভুয়া বার্তা এবং অ্যালগরিদমিক প্রভাব বিস্তারের ঝুঁকিও বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়া সামনে সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তা হলো, প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে জনমত বিকৃতি করার যাবতীয় অপচেষ্টা ঠেকানো। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রূপান্তরের সফলতা এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির অভিমুখ।

প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ : চেয়ারম্যান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওন্যাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম