ফেনীতে টিসিবির বিরুদ্ধে পচা পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগ
ফেনীতে খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির নামে প্রতারণা করার অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।
সোমবার দুপুর থেকে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবির এক কেজি পেঁয়াজ কেনার জন্য ফেনী শহীদ মিনার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঢল নেমে।
দীর্ঘ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ এক কেজি পেঁয়াজের অর্ধেকই আবার নষ্ট এবং পচা।
রোকসানা আক্তার ও সুক্কুল আলী নামে দুই দরিদ্র ক্রেতা বলেন, তাদের এক কেজি পেঁয়াজের মধ্যে বড় সাইজের ৪-৫টি করে পেঁয়াজই পচা দেয়া হয়েছে, তাহলে কোথায় যাব আমরা।’
পেঁয়াজ কিনতে আসা লাইনে থাকা বিলকিছ আক্তার (৪৮) জানান, ‘দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ পেয়েছি, কিন্তু পলিথিন খুলে দেখি অর্ধেকেরও বেশি পেঁয়াজ নষ্ট এবং পচা।
সোমবার সকালে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী। ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ও ফেনীর ট্রাংক রোডের শহীদ মিনারের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা। সকাল থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে লাইনে দাঁড়ায় লোকজন পেঁয়াজ কেনার জন্য।
টিসিবির ডিলার মেসার্স বাবু ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের স্বত্বাধিকারী হুমায়ন কবীর বলেন, সকাল ১০টা থেকে আমরা পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছি। একজন ক্রেতা ১ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। আমরা আটদিনের জন্য ৮ টন পেঁয়াজ বরাদ্দ পেয়েছি।
পচা-নষ্ট পেঁয়াজের ব্যাপারে ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়, দুই একটা পেঁয়াজ নষ্ট হতে পারে।
ফেনী জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টিসিবির পেঁয়াজ কিনছেন। টিসিবির পেঁয়াজ আরও বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করব।
ফেনীতে টিসিবির বিরুদ্ধে পচা পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগ
ফেনী প্রতিনিধি
০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৪৬:০৫ | অনলাইন সংস্করণ
ফেনীতে খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির নামে প্রতারণা করার অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।
সোমবার দুপুর থেকে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবির এক কেজি পেঁয়াজ কেনার জন্য ফেনী শহীদ মিনার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঢল নেমে।
দীর্ঘ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ এক কেজি পেঁয়াজের অর্ধেকই আবার নষ্ট এবং পচা।
রোকসানা আক্তার ও সুক্কুল আলী নামে দুই দরিদ্র ক্রেতা বলেন, তাদের এক কেজি পেঁয়াজের মধ্যে বড় সাইজের ৪-৫টি করে পেঁয়াজই পচা দেয়া হয়েছে, তাহলে কোথায় যাব আমরা।’
পেঁয়াজ কিনতে আসা লাইনে থাকা বিলকিছ আক্তার (৪৮) জানান, ‘দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ পেয়েছি, কিন্তু পলিথিন খুলে দেখি অর্ধেকেরও বেশি পেঁয়াজ নষ্ট এবং পচা।
সোমবার সকালে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী। ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ও ফেনীর ট্রাংক রোডের শহীদ মিনারের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা। সকাল থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে লাইনে দাঁড়ায় লোকজন পেঁয়াজ কেনার জন্য।
টিসিবির ডিলার মেসার্স বাবু ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের স্বত্বাধিকারী হুমায়ন কবীর বলেন, সকাল ১০টা থেকে আমরা পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছি। একজন ক্রেতা ১ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। আমরা আটদিনের জন্য ৮ টন পেঁয়াজ বরাদ্দ পেয়েছি।
পচা-নষ্ট পেঁয়াজের ব্যাপারে ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়, দুই একটা পেঁয়াজ নষ্ট হতে পারে।
ফেনী জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টিসিবির পেঁয়াজ কিনছেন। টিসিবির পেঁয়াজ আরও বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024