jugantor
আইনজীবীদের ওপর ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা সুপ্রিমকোর্টে ভাংচুর আগুন

  ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর:  

২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ১২:১৮:৩৩  | 

সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবিদের বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ যুবলীগ কর্মীরা। বিকেল তিনটার দিকে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে সমাবেশ ছত্রভংগ করে প্রকাশ্যে সুপ্রীমকোর্ট এলাকায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায় তারা। এসময় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ যুবলীগ কর্মীরা সুপ্রীমকোর্ট চত্বরে থাকা একটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ এসময় কাউকে বাধা দেয়নি। এ নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় রেহানা নামের একজন মহিলা আইনজীবি ক্যাডারদের হাতে মারধর ও লাঞ্জিত হন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা সুপ্রীম কোর্টের ছাদেও আগুন ধরি দেয়। ফলে সুপ্রীমকোর্ট প্রাংগনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে ১৮ দলর মার্চ ফর মেমোক্র্যাসি কর্মসূচিতে যোগদানের উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে রাস্তায় বের হবার চেষ্টা করলে বাধা দেয়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে সুপ্রিমকোর্ট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশি বাধা সত্ত্বেও তারা নয়াপল্টনের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে তাদের ওপর জলকামান থেকে রঙিন পানি ছোড়ে পুলিশ। এর পরও তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বের হওয়ার চেষ্টা চালালে দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।
বিরোধী দল ঘোষিত মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে অংশ নিতে শতাধিক আইনজীবী সুপ্রিমকোর্টের মূল ফটকে অবস্থান নেন। আইনজীবীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। তারা সেখান থেকে বেরিয়ে নয়াপল্টনের যাওয়ার চেষ্টা এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ পর্যন্ত কাউকে অটক করা হয়নি। এক পর্যায়ে সুপ্রিমকোর্টের মূল ফটক তালাবদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এসময় আ্নিজীবিরা প্রবেশ গেটে হাতে পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ জলকামান দিয়ে ছত্রভংগ করার চেষ্টা করে। তিনটি গাড়ি দিয়ে জলকামান নিক্ষেপ করা হলেও আ্ইনজীবিরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় গেটে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার খোন্দকার মাহবুরের নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, এ্যাড: আবেদ রাজা, ব্যারিস্টান জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চেৌধুরীও ব্যরিস্টার শাজাহান ওমর। তারা শেখ হাসিনার বাধা দেয়ার কঠোর সমালোচনা করেন। এরপর দফায় দফায় আইনজীবিরা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। বেলা ৩টার দিকে আবারো সংঘঠিত হয়ে আইনজীবিরা সুপ্রীমকোর্টের প্রবেশ গেটে এসে হাতে পতাকা নিয়ে স্লোগান দেয়া শুরু করে। পুলিশ কাউকেই বাইরে আসতে দেয়নি।

এসময় মিছিল সহকারে মহানগর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা হাতে লাঠি সোটা ও হসিস্টিক দিয়ে আইনজীবিদের ওপর চড়াও হয়। তারা ধাওয়া করে আইনজীবিদের তাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আ্ইনীবিদের একটি গ্রুপ পাল্টা ধাওয়া দিলে ছত্রভংগ হয়ে পড়ে মিছিলকারীরা। পরে তারা আবার সংঘঠিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় সুপ্রীমকোর্টের ভেতরে সশস্ত্র অসস্থায় প্রবেশ করে আইনজীবিদের ওপর হামলা করে। এসময় ভয়ে আইনজীবিরা ত্বিতীয় তলায় উঠে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা সুপ্রীমকোর্ট চত্বরে প্রবেশ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তারা একটি মোচর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘন্টা যাবত আওয়ামীলীগ যুবলীগের ক্রাডাররা সুপ্রীমকোর্টে ভাংচুর চালায়্। এসময় পুলিশ দর্শকের মতো দাড়িয়ে থেকে দায়িত্ব পালন করলেোও কাউকে বাধা দেয়নি। উত্তেচিত শসন্ত্র ক্যাডাররা তারা আইনজীবি সমিতির একটি প্যান্ডেলেও আগুন ধরিয়ে দেয়। কিচুক্ষণ পর সুপ্রীম কোর্টের দ্বিতীয় তলার ছাদেও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। প্রায় পেৌনে এক ঘন্টা পর পুলিশ উচ্চ আাদলতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।

সাবমিট

আইনজীবীদের ওপর ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা সুপ্রিমকোর্টে ভাংচুর আগুন

 ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর: 
২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ১২:১৮ পিএম  | 

সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবিদের বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ যুবলীগ কর্মীরা। বিকেল তিনটার দিকে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে সমাবেশ ছত্রভংগ করে প্রকাশ্যে সুপ্রীমকোর্ট এলাকায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায় তারা। এসময় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ যুবলীগ কর্মীরা সুপ্রীমকোর্ট চত্বরে থাকা একটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ এসময় কাউকে বাধা দেয়নি। এ নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় রেহানা নামের একজন মহিলা আইনজীবি ক্যাডারদের হাতে মারধর ও লাঞ্জিত হন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা সুপ্রীম কোর্টের ছাদেও আগুন ধরি দেয়। ফলে সুপ্রীমকোর্ট প্রাংগনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে ১৮ দলর মার্চ ফর মেমোক্র্যাসি কর্মসূচিতে যোগদানের উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে রাস্তায় বের হবার চেষ্টা করলে বাধা দেয়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে সুপ্রিমকোর্ট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশি বাধা সত্ত্বেও তারা নয়াপল্টনের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে তাদের ওপর জলকামান থেকে রঙিন পানি ছোড়ে পুলিশ। এর পরও তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বের হওয়ার চেষ্টা চালালে দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।
বিরোধী দল ঘোষিত মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে অংশ নিতে শতাধিক আইনজীবী সুপ্রিমকোর্টের মূল ফটকে অবস্থান নেন। আইনজীবীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। তারা সেখান থেকে বেরিয়ে নয়াপল্টনের যাওয়ার চেষ্টা এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ পর্যন্ত কাউকে অটক করা হয়নি। এক পর্যায়ে সুপ্রিমকোর্টের মূল ফটক তালাবদ্ধ করে দেয় পুলিশ। এসময় আ্নিজীবিরা প্রবেশ গেটে হাতে পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ জলকামান দিয়ে ছত্রভংগ করার চেষ্টা করে। তিনটি গাড়ি দিয়ে জলকামান নিক্ষেপ করা হলেও আ্ইনজীবিরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় গেটে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার খোন্দকার মাহবুরের নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, এ্যাড: আবেদ রাজা, ব্যারিস্টান জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চেৌধুরীও ব্যরিস্টার শাজাহান ওমর। তারা শেখ হাসিনার বাধা দেয়ার কঠোর সমালোচনা করেন। এরপর দফায় দফায় আইনজীবিরা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। বেলা ৩টার দিকে আবারো সংঘঠিত হয়ে আইনজীবিরা সুপ্রীমকোর্টের প্রবেশ গেটে এসে হাতে পতাকা নিয়ে স্লোগান দেয়া শুরু করে। পুলিশ কাউকেই বাইরে আসতে দেয়নি।

এসময় মিছিল সহকারে মহানগর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা হাতে লাঠি সোটা ও হসিস্টিক দিয়ে আইনজীবিদের ওপর চড়াও হয়। তারা ধাওয়া করে আইনজীবিদের তাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আ্ইনীবিদের একটি গ্রুপ পাল্টা ধাওয়া দিলে ছত্রভংগ হয়ে পড়ে মিছিলকারীরা। পরে তারা আবার সংঘঠিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় সুপ্রীমকোর্টের ভেতরে সশস্ত্র অসস্থায় প্রবেশ করে আইনজীবিদের ওপর হামলা করে। এসময় ভয়ে আইনজীবিরা ত্বিতীয় তলায় উঠে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা সুপ্রীমকোর্ট চত্বরে প্রবেশ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তারা একটি মোচর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘন্টা যাবত আওয়ামীলীগ যুবলীগের ক্রাডাররা সুপ্রীমকোর্টে ভাংচুর চালায়্। এসময় পুলিশ দর্শকের মতো দাড়িয়ে থেকে দায়িত্ব পালন করলেোও কাউকে বাধা দেয়নি। উত্তেচিত শসন্ত্র ক্যাডাররা তারা আইনজীবি সমিতির একটি প্যান্ডেলেও আগুন ধরিয়ে দেয়। কিচুক্ষণ পর সুপ্রীম কোর্টের দ্বিতীয় তলার ছাদেও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। প্রায় পেৌনে এক ঘন্টা পর পুলিশ উচ্চ আাদলতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র