jugantor
পুলিশের হামলায় গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ পণ্ড

  ঢাকা ৪ এপ্রিল:  

০৪ এপ্রিল ২০১৪, ১৭:২২:০০  | 

পুলিশের হামলায় গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। যে পুলিশ এক সময় গণজাগরণমঞ্চের কর্মীদের পাহারা দিতো সেই পুলিশই হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৬জন কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে। এদিকে পুলিশের হামলায় ১০জন কর্মী আহত হয়েছে।
জানা গেছে, গণজাগরণ মঞ্চের দখল আর চাদাবাজি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ইমরান এইচ সরকারের সাথে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা  জড়ো হলে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ হামলা চালায়।এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় ইমরান এইচ সরকারকে প্রধান আসামী করে মামলা করেছে মঞ্চের অন্যতম সংগঠক আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি মেহেদী হাসান। অন্যদিকে একইভাবে  মেহেদী হাসানকে প্রধান আসামী করে পাল্টা মামলা করেছে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক নরেন্দ্র সাহা জয়।

  শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে প্রতিবাদ সভা আহবান করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।বিকেল থেকেই শাহবাগ চত্বরে কাউকে দাড়াতে দেয়নি পুলিশ। কিন্তু পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা ইমরানের নেতৃত্বে শাহবাগ চত্বরে জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ তাদের লাঠি পেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হামলায় মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মাহমুদুল হক মুন্সি বাদল গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় বাদলসহ ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।  এরা সবাই গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী।কিছুক্ষণ পর গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার কয়েকজনকে নিয়ে আবারো জড়ো হবার চেষ্টা চালালে পুলিশ বেধরক লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ইমরান।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম যুগান্তর ডটকমকে জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সমাবেশ ছিল এখানে। গণজাগরণ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থাকায় নাশকতার আশঙ্কায় কাউকে এখানে একত্রিত হতে দেওয়া হয়নি।
অন্য একটি সূত্র জানায়, ইমরান এইচ সরকারের সাথে গণজাগরন মঞ্চের আন্দোলনের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে দুই গ্রুপের সদস্যরা টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এখন মঞ্চ দখল নিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এ নিয়ে ফেসবুকেও কাদাছোড়াছুড়ি চলছে ছাত্রলীগ আর ছাত্র ইউনিয়নের দুই গ্রুপের সমর্থকদের।এব্যাপারে মেহেদী হাসান গ্রুপের অন্যতম সংগঠক মাহাবুবুল হক প্রিন্স বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত। তাদের দুর্নীতির কথা প্রকাশ করতেই আমরা ডেকেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদর দাড়াতেই দেয়নি।
 

সাবমিট

পুলিশের হামলায় গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ পণ্ড

 ঢাকা ৪ এপ্রিল:  
০৪ এপ্রিল ২০১৪, ০৫:২২ পিএম  | 

পুলিশের হামলায় গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। যে পুলিশ এক সময় গণজাগরণমঞ্চের কর্মীদের পাহারা দিতো সেই পুলিশই হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৬জন কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে। এদিকে পুলিশের হামলায় ১০জন কর্মী আহত হয়েছে।
জানা গেছে, গণজাগরণ মঞ্চের দখল আর চাদাবাজি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ইমরান এইচ সরকারের সাথে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা  জড়ো হলে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ হামলা চালায়।এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় ইমরান এইচ সরকারকে প্রধান আসামী করে মামলা করেছে মঞ্চের অন্যতম সংগঠক আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি মেহেদী হাসান। অন্যদিকে একইভাবে  মেহেদী হাসানকে প্রধান আসামী করে পাল্টা মামলা করেছে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক নরেন্দ্র সাহা জয়।

  শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে প্রতিবাদ সভা আহবান করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।বিকেল থেকেই শাহবাগ চত্বরে কাউকে দাড়াতে দেয়নি পুলিশ। কিন্তু পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা ইমরানের নেতৃত্বে শাহবাগ চত্বরে জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ তাদের লাঠি পেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হামলায় মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মাহমুদুল হক মুন্সি বাদল গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় বাদলসহ ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।  এরা সবাই গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী।কিছুক্ষণ পর গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার কয়েকজনকে নিয়ে আবারো জড়ো হবার চেষ্টা চালালে পুলিশ বেধরক লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ইমরান।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম যুগান্তর ডটকমকে জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সমাবেশ ছিল এখানে। গণজাগরণ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থাকায় নাশকতার আশঙ্কায় কাউকে এখানে একত্রিত হতে দেওয়া হয়নি।
অন্য একটি সূত্র জানায়, ইমরান এইচ সরকারের সাথে গণজাগরন মঞ্চের আন্দোলনের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে দুই গ্রুপের সদস্যরা টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এখন মঞ্চ দখল নিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এ নিয়ে ফেসবুকেও কাদাছোড়াছুড়ি চলছে ছাত্রলীগ আর ছাত্র ইউনিয়নের দুই গ্রুপের সমর্থকদের।এব্যাপারে মেহেদী হাসান গ্রুপের অন্যতম সংগঠক মাহাবুবুল হক প্রিন্স বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত। তাদের দুর্নীতির কথা প্রকাশ করতেই আমরা ডেকেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদর দাড়াতেই দেয়নি।
 

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র