খেলার মাঠে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫জন আহত হয়। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের খেলার মাঠে ফুটবল খেলছিল শিবির নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে শিবির কর্মীদের কথাকাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আরবি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শিবিরকর্মী তারেক আহমেদকে মারধর করে। এসময় শিবিরকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে ঢুকে পড়ে। পরে পার্শ্ববর্তী শাহজালাল হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে হলের মোড়ে জড়ো হয়। শিবিরকর্মীরা তখন হলের অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় গ্রুপ কমপক্ষে ১’শ রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এ
এদিকে সোহরাওয়ার্দী হলে সংঘর্ষের ঘটনার পর পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হল, এএফ রহমান হল ও শহীদ আব্দুর রব হলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে শিবির। ছাত্রলীগ কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে ও শিবির কর্মীরা আলাওল হল মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ৫০ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ।
এদিকে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরন ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশকে নিরব থাকতে দেখা গেছে। নিরব ভূমিকা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের। ফলে ঘটনা শুরু অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসলেও কোন ধরনের পদক্ষেপ নেননি তারা।
পুলিশের হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কাশেম ভূইয়া জানান, ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শোনা মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এ সময় প্রায় অর্ধশত রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও আলমগীর টিপু জানান, ছাত্রলীগের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে গেলে শিবির উস্কানি দেয়। এরপর শিবির হুমকি দিলে ছাত্রলীগ তা প্রতিহত করে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার জানান, ছাত্রলীগের ক্যাডাররা নিরস্ত্র শিবির কর্মীদের উপর অন্যায়ভাবে হামলা করে। এতে শিবির প্রতিবাদ জানালে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা শাহজালাল হল থেকে ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিবিরের ওপর হামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসনের নিরব ভূমিকার নিন্দা জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ জানান, উভয় পক্ষ একটি ছোট ঘটনা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চবিতে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ : আহত ১৫
চবি, ২৪ আগস্ট
২৪ আগস্ট ২০১৪, ১০:৫৮ পিএম |
খেলার মাঠে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫জন আহত হয়। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের খেলার মাঠে ফুটবল খেলছিল শিবির নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে শিবির কর্মীদের কথাকাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আরবি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শিবিরকর্মী তারেক আহমেদকে মারধর করে। এসময় শিবিরকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে ঢুকে পড়ে। পরে পার্শ্ববর্তী শাহজালাল হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে হলের মোড়ে জড়ো হয়। শিবিরকর্মীরা তখন হলের অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় গ্রুপ কমপক্ষে ১’শ রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এ
এদিকে সোহরাওয়ার্দী হলে সংঘর্ষের ঘটনার পর পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হল, এএফ রহমান হল ও শহীদ আব্দুর রব হলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে শিবির। ছাত্রলীগ কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে ও শিবির কর্মীরা আলাওল হল মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ৫০ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ।
এদিকে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরন ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশকে নিরব থাকতে দেখা গেছে। নিরব ভূমিকা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের। ফলে ঘটনা শুরু অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসলেও কোন ধরনের পদক্ষেপ নেননি তারা।
পুলিশের হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কাশেম ভূইয়া জানান, ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শোনা মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এ সময় প্রায় অর্ধশত রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও আলমগীর টিপু জানান, ছাত্রলীগের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে গেলে শিবির উস্কানি দেয়। এরপর শিবির হুমকি দিলে ছাত্রলীগ তা প্রতিহত করে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার জানান, ছাত্রলীগের ক্যাডাররা নিরস্ত্র শিবির কর্মীদের উপর অন্যায়ভাবে হামলা করে। এতে শিবির প্রতিবাদ জানালে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা শাহজালাল হল থেকে ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিবিরের ওপর হামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসনের নিরব ভূমিকার নিন্দা জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ জানান, উভয় পক্ষ একটি ছোট ঘটনা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।