ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের ঘর্ষে নিহত ১ : প্রক্টরসহ গুলিবিদ্ধ ৬
শাবি, ২০ নভেম্বর:
২০ নভেম্বর ২০১৪, ১৩:০৮:৫৫ |
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সুমন নামের একজন নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বেলা পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায়সহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ জন। প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায়য়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিকাল ৪টার মধ্যে ছাত্র ও আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ ও হল দখল নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ হয়।
বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উভয় পক্ষে থেমে থেকে সংঘর্ষ চলে। এছাড়া সংঘর্ষে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় গুরুতর জখম হয়েছেন বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় শাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তীর সমর্থকরা। এ সময় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য উত্তম কুমার দাশের সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় শাহপরাণ ও দ্বিতীয় ছাত্র হলের ভেতরে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। উভয় পক্ষে বিনিময় হয় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা দ্বিগি¦দিক ছুটাছুটি করতে থাকে। ক্যাম্পাসে আতঙ্কগ্রস্তু শত শত শিক্ষার্থী আটকা পড়ে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান করছে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গেল বছর ৮ মে সঞ্জিবন চক্রবর্তীকে সভাপতি ও ইমরান খানকে সাধারণ সম্পাদক করে শাবি শাখা ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণা করা হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও তার সমর্থকরা এতদিন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল সহসভাপতি অঞ্জন রায় ও উত্তম কুমার দাশ ও তাদের সমর্থকদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও তার সমর্থকরা নিয়ন্ত্রণ নিতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার পর বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা আহবান করা হয়েছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় সাংাবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়কালে প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় গুলিদ্ধি হন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের ঘর্ষে নিহত ১ : প্রক্টরসহ গুলিবিদ্ধ ৬
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সুমন নামের একজন নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বেলা পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায়সহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ জন। প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায়য়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিকাল ৪টার মধ্যে ছাত্র ও আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ ও হল দখল নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ হয়।
বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উভয় পক্ষে থেমে থেকে সংঘর্ষ চলে। এছাড়া সংঘর্ষে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় গুরুতর জখম হয়েছেন বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় শাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তীর সমর্থকরা। এ সময় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য উত্তম কুমার দাশের সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় শাহপরাণ ও দ্বিতীয় ছাত্র হলের ভেতরে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। উভয় পক্ষে বিনিময় হয় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা দ্বিগি¦দিক ছুটাছুটি করতে থাকে। ক্যাম্পাসে আতঙ্কগ্রস্তু শত শত শিক্ষার্থী আটকা পড়ে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান করছে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গেল বছর ৮ মে সঞ্জিবন চক্রবর্তীকে সভাপতি ও ইমরান খানকে সাধারণ সম্পাদক করে শাবি শাখা ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণা করা হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও তার সমর্থকরা এতদিন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল সহসভাপতি অঞ্জন রায় ও উত্তম কুমার দাশ ও তাদের সমর্থকদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও তার সমর্থকরা নিয়ন্ত্রণ নিতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার পর বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা আহবান করা হয়েছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় সাংাবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়কালে প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় গুলিদ্ধি হন।