jugantor
জাবি আবার অশান্ত
ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

  জাবি প্রতিনিধি  

০৩ মার্চ ২০১৪, ০০:০০:০০  | 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে অস্থায়ী দোকানে ফাউ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় চলমান এই সংঘর্ষে উভয় গ্র“পের ৩০ শিক্ষার্থী আহত হন। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যায়, শহীদ মিনারের পাশে ঢাকা বিরিয়ানি ও চটপটি হাউজে মীর মশাররফ হোসেন হলের বেশ কয়েক ছাত্রলীগ কর্মী খাবার খায়। দোকানদারের দাবি অনুযায়ী তাদের বিল হয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা, কিন্তু বিল দেয়ার সময় মীর মশাররফ হোসনে হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা মাত্র পাঁচশ’ টাকা দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক নিয়ামুল তাজ শহীদ সালাম-বরকত হলের বেশ কয়েক ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে টাকা কম দেয়ার বিষয়টির প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনার জেরে পরবর্তীতে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এর কিছু সময় পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ঘটনাস্থলের কাছেই একটি দোকানে বসেন। কিন্তু তখন উভয় হলের উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা মীমাংসাস্থলের দুই পাশে অবস্থান নেয়ায় সেখান থেকে আবার সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় শহীদ সালাম-বরকত হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে তারাও পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে কয়েক ছাত্রদল কর্মীরাও যোগ দেয়। ধাওয়া দিয়ে ফেরার সময় মীর মশাররফ হোসেন হলের উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা ঢাকা বিরিয়ানির সেই দোকানটিতে ভাংচুর চালায়।

এ ঘটনার প্রায় ঘণ্টাখানেক পর জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাওলাদার মুহিবুল্লাহর নেতৃত্বে প্রায় চার শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী মীর মশাররফ হল আক্রমণে যায়। কিন্তু মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলের ছাদে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। ছাত্রদলের মীর মশাররফ হোসেন হলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ ছাদ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এ সময় আল-বেরুনি সম্প্রসারিত হলের নিহাল (ভূগোল ও পরিবেশ, ৪১তম আবর্তন) ও শোফা (নৃবিজ্ঞান, ৪১ ব্যাচ) নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।

আহত অন্যরা হলেন- মীর মশাররফ হোসেন হলের ইমরান (নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা, ৪২ ব্যাচ), রবিউল (নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা, ৪২ ব্যাচ), পিপু (ইংরেজি, ৪২ ব্যাচ), সনেট (গণিত বিভাগ, ৪১ ব্যাচ), মহিতোষ রায় টিটো (ইতিহাস বিভাগ, ৪০ ব্যাচ), সানোয়ার (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৩৮ ব্যাচ), শীহদ সালাম বরকত হলের নিয়ামুল তাজ (প্রতœতত্ত্ব, ৩৯ ব্যাচ), নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় (সাংবাদিকতা, ৪২ ব্যাচ), রাজু (আইবিএ, ৪০ ব্যচ), জাহেদ (আইআর, ৪০ ব্যাচ), নিজাম (৩৮ ব্যাচ)। এছাড়া রাসেল (পদার্থ, ৩৯ ব্যাচ) কৌশিক (৪১ ব্যাচ), রাজিব (ভূগোল, ৩৮ ব্যাচ), রিফাত, পলাশ, রাব্বি, পল্লল (আইবিএ, ৪০ ব্যাচ) আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অবস্থান নিলে সালাম-বরকত হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা ফিরে আসে কিন্তু মীর মশাররফ হোসেন হলের পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। আহত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সাভারের এনাম মেডিকেলসহ ঢাকার বিভিন্ন মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতে রাজি হননি।








 

সাবমিট
জাবি আবার অশান্ত

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

 জাবি প্রতিনিধি 
০৩ মার্চ ২০১৪, ১২:০০ এএম  | 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে অস্থায়ী দোকানে ফাউ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় চলমান এই সংঘর্ষে উভয় গ্র“পের ৩০ শিক্ষার্থী আহত হন। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যায়, শহীদ মিনারের পাশে ঢাকা বিরিয়ানি ও চটপটি হাউজে মীর মশাররফ হোসেন হলের বেশ কয়েক ছাত্রলীগ কর্মী খাবার খায়। দোকানদারের দাবি অনুযায়ী তাদের বিল হয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা, কিন্তু বিল দেয়ার সময় মীর মশাররফ হোসনে হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা মাত্র পাঁচশ’ টাকা দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক নিয়ামুল তাজ শহীদ সালাম-বরকত হলের বেশ কয়েক ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে টাকা কম দেয়ার বিষয়টির প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনার জেরে পরবর্তীতে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এর কিছু সময় পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ঘটনাস্থলের কাছেই একটি দোকানে বসেন। কিন্তু তখন উভয় হলের উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা মীমাংসাস্থলের দুই পাশে অবস্থান নেয়ায় সেখান থেকে আবার সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় শহীদ সালাম-বরকত হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে তারাও পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে কয়েক ছাত্রদল কর্মীরাও যোগ দেয়। ধাওয়া দিয়ে ফেরার সময় মীর মশাররফ হোসেন হলের উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা ঢাকা বিরিয়ানির সেই দোকানটিতে ভাংচুর চালায়।

এ ঘটনার প্রায় ঘণ্টাখানেক পর জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাওলাদার মুহিবুল্লাহর নেতৃত্বে প্রায় চার শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী মীর মশাররফ হল আক্রমণে যায়। কিন্তু মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলের ছাদে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। ছাত্রদলের মীর মশাররফ হোসেন হলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ ছাদ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এ সময় আল-বেরুনি সম্প্রসারিত হলের নিহাল (ভূগোল ও পরিবেশ, ৪১তম আবর্তন) ও শোফা (নৃবিজ্ঞান, ৪১ ব্যাচ) নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।

আহত অন্যরা হলেন- মীর মশাররফ হোসেন হলের ইমরান (নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা, ৪২ ব্যাচ), রবিউল (নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা, ৪২ ব্যাচ), পিপু (ইংরেজি, ৪২ ব্যাচ), সনেট (গণিত বিভাগ, ৪১ ব্যাচ), মহিতোষ রায় টিটো (ইতিহাস বিভাগ, ৪০ ব্যাচ), সানোয়ার (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৩৮ ব্যাচ), শীহদ সালাম বরকত হলের নিয়ামুল তাজ (প্রতœতত্ত্ব, ৩৯ ব্যাচ), নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় (সাংবাদিকতা, ৪২ ব্যাচ), রাজু (আইবিএ, ৪০ ব্যচ), জাহেদ (আইআর, ৪০ ব্যাচ), নিজাম (৩৮ ব্যাচ)। এছাড়া রাসেল (পদার্থ, ৩৯ ব্যাচ) কৌশিক (৪১ ব্যাচ), রাজিব (ভূগোল, ৩৮ ব্যাচ), রিফাত, পলাশ, রাব্বি, পল্লল (আইবিএ, ৪০ ব্যাচ) আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অবস্থান নিলে সালাম-বরকত হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা ফিরে আসে কিন্তু মীর মশাররফ হোসেন হলের পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। আহত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সাভারের এনাম মেডিকেলসহ ঢাকার বিভিন্ন মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতে রাজি হননি।








 

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র