jugantor
ছাত্র নয় তবু ছাত্রলীগ নেতা
এএসপিসহ ৬ বিসিএস ক্যাডার ও ৩ এনএসআই কর্মকর্তা কমিটিতে

  মাহবুব হাসান  

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০০:০০  | 

ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছাত্র নয় এমন নেতার সংখ্যা বাড়ছে। এ কমিটিতে ২৭ জন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, সাতজন ব্যবসায়ী ও একজন উপজেলা চেয়ারাম্যান আছেন। কমিটিতে বিবাহিতের সংখ্যা ১৮। এছাড়া এক বা একাধিক সন্তানের বাবাও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদ দখল করে আছেন। অথচ সংগঠনের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী এদের কারও পদে থাকার কথা নয়। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর এদের নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কেউ সরে দাঁড়াননি।

অথচ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর (গ) ধারা অনুযায়ী সরকারি চাকরিরত কেউ সংগঠনটির পদে থাকতে পারবেন না। বিবাহিতরা ছাত্রলীগ করতে পারবেন না বলেও বিধান রয়েছে গঠনতন্ত্রে। ছাত্রলীগের সূত্রগুলো বলছে, চাকরিজীবীরা কেউই এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। আর দু’একজনকে চাকরিরত অবস্থায়ও ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে দেখা গেছে।

এদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমূল আলম যুগান্তরের কাছে দাবি করেন, যারা চাকরি করছেন তারা সবাই পদত্যাগ করেছেন। এমনকি অনেকের শূন্য পদ পূরণও করা হয়েছে। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার ছাত্রলীগের ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম পরিবর্তন বা শূন্য পদ পূরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ওয়েবসাইটে উল্লিখিত নামগুলোই দৃশ্যমান ছিল। এদিকে চাকরিরত একজন যুগান্তরের কাছে অনানুষ্ঠানিক আলাপে স্বীকার করেন, তারা কেউই পদত্যাগপত্র জমা দেননি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসের সদস্য আছেন ৬ জন। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত আছেন তিনজন এবং ৪ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে যোগদানের অপেক্ষায় আছেন। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে আছেন দু’জন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দু’জন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আছেন তিন জন, এএসপি একজন, সাংবাদিক একজন, চিকিৎসক তিনজন, পুলিশের উপপরিদর্শক পদে দু’জন এবং একজন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানও পদ দখল করে আছেন। একজন হত্যা মামলার আসামি, একজন অস্ত্র মামলায় কারাগারে আছেন। আর কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তত ১৮ জন নেতা ব্যবসায়ী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।

ছাত্রলীগের ৩৫১ বিশিষ্ট কমিটির ২৫১ জন কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি ১০০ জন নির্বাহী সদস্যকে বাইরে রেখে এই অনুসন্ধান চালানো হয়।

বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে চাকরিরতদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতিদের মধ্যে মেজবাহ উদ্দিন (পরিবার পরিকল্পনা), মহিউদ্দিন মিয়া (কাস্টমস), আজিজুর রহমান মামুন (ইকোনমিক্স)। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইমরান (ইকোনমিক্স), কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাহুল পাটোয়ারী, সহকারী পুলিশ সুপার (পুলিশ) এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক সম্পাদক আতাউল করিম আরবি (চিকিৎসক)।

গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের কর্মকর্তা হিসেবে আছেন সহ-সভাপতি ওয়াসিম উদ্দিন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক তমাল, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহিন আকতার ইকবাল। সাংগঠনিক সম্পাদক শওকতুল ইসলাম ও উপ-অর্থ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সম্পাদক বাতেন ও রাহাত গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগদানের অপেক্ষায় আছেন।

যুগ্ম-সম্পাদক সাদিদ জাহান সৈকত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপ-গণযোগাযোগ সম্পাদক দেবকুমার ভট্টাচার্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক ডা. জাবেদ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত, উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান উজ্জল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক।

উপ-সাহিত্য সম্পাদক সুমাইয়া সুলতানা টুপুন থানা সমবায় কর্মকর্তা, অন্য দুই উপ-সাহিত্য সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বাবু ও শহিদুল্লাহ মামুন পুলিশের উপ-পরিদর্শক। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক শরিয়ত উল্লাহ লিটন সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, সহ-সভাপতি সুলতানা নাসরিন রুমি বেসরকারি ইউনিয়ন ব্যাংক, উপ-দফতর সম্পাদক রাশেদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে কর্মরত, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার দাস আকিজ গ্র“পে চাকুরিরত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারজানা যুথী রেডিও টুডের সাংবাদিক, রেজাউল করিম রাশেল গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। উপ-গণযোগাযোগ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন চঞ্চল অস্ত্র মামলায় আটক হয়ে কারাগারে ছিলেন। সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা টাঙ্গাইলের ফারুক হত্যা মামলার আসামি।

উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারজানা যুথী রেডিও টুডের সাংবাদিক হওয়ার পরও ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে অংশ নেন। সে কর্মসূচিতে এ প্রতিবেদক স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন।

বিবাহিতদের মধ্যে রয়েছে- সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সুমন, শাহরিয়ার আজম মুন্না, সাইফুল ইসলাম সাইফ, রেজাউল করিম রেশিম, নাজমুল হুদা চঞ্চল, সানিয়াত খান বাপ্পা। বিবাহিত যুগ্ম-সম্পাদকরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মামুনুর রশীদ, আবদুর রহমান জীবন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে মাহমুদ আলম টিটু, আল মাহমুদ সরকার তারেক। এছাড়া উপ-প্রচার সম্পাদক আমিন কোতয়াল, পাঠাগার সম্পাদক দেলোয়ার রহমান দীপু, ধর্ম সম্পাদক এসএম সায়েম প্রমুখ। এদের মধ্যে অনেকেই আবার এক বা একাধিক সন্তানের জনকও।

এদিকে সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সুমন রাজধানীর মুগদাপাড়ায় একটি প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির মালিক। মোখলেছুর রহমান সুমন ব্রিকস মিলের মালিক। মাসুদ হাসান তূর্ণ একটি ডিজিটাল প্রেসের মালিক।

মফিজুল আলম রিজভী ও তরিকুল ইসলাম শাওন ব্যবসায়ী। যুগ্ম-সম্পাদক এহতেশামুল হাসান রুমি কুমিল্লায় প্যাকেজিং ফ্যাক্টরির মালিক। নবিউজ্জামান বাবু ইউসিসি কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রচার সম্পাদক শাহরুখ মিরাজ ছাপখানার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।



সাবমিট

ছাত্র নয় তবু ছাত্রলীগ নেতা

এএসপিসহ ৬ বিসিএস ক্যাডার ও ৩ এনএসআই কর্মকর্তা কমিটিতে
 মাহবুব হাসান 
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১২:০০ এএম  | 
ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছাত্র নয় এমন নেতার সংখ্যা বাড়ছে। এ কমিটিতে ২৭ জন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, সাতজন ব্যবসায়ী ও একজন উপজেলা চেয়ারাম্যান আছেন। কমিটিতে বিবাহিতের সংখ্যা ১৮। এছাড়া এক বা একাধিক সন্তানের বাবাও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদ দখল করে আছেন। অথচ সংগঠনের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী এদের কারও পদে থাকার কথা নয়। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর এদের নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কেউ সরে দাঁড়াননি।

অথচ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর (গ) ধারা অনুযায়ী সরকারি চাকরিরত কেউ সংগঠনটির পদে থাকতে পারবেন না। বিবাহিতরা ছাত্রলীগ করতে পারবেন না বলেও বিধান রয়েছে গঠনতন্ত্রে। ছাত্রলীগের সূত্রগুলো বলছে, চাকরিজীবীরা কেউই এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। আর দু’একজনকে চাকরিরত অবস্থায়ও ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে দেখা গেছে।

এদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমূল আলম যুগান্তরের কাছে দাবি করেন, যারা চাকরি করছেন তারা সবাই পদত্যাগ করেছেন। এমনকি অনেকের শূন্য পদ পূরণও করা হয়েছে। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার ছাত্রলীগের ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম পরিবর্তন বা শূন্য পদ পূরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ওয়েবসাইটে উল্লিখিত নামগুলোই দৃশ্যমান ছিল। এদিকে চাকরিরত একজন যুগান্তরের কাছে অনানুষ্ঠানিক আলাপে স্বীকার করেন, তারা কেউই পদত্যাগপত্র জমা দেননি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসের সদস্য আছেন ৬ জন। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত আছেন তিনজন এবং ৪ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে যোগদানের অপেক্ষায় আছেন। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে আছেন দু’জন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দু’জন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আছেন তিন জন, এএসপি একজন, সাংবাদিক একজন, চিকিৎসক তিনজন, পুলিশের উপপরিদর্শক পদে দু’জন এবং একজন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানও পদ দখল করে আছেন। একজন হত্যা মামলার আসামি, একজন অস্ত্র মামলায় কারাগারে আছেন। আর কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তত ১৮ জন নেতা ব্যবসায়ী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।

ছাত্রলীগের ৩৫১ বিশিষ্ট কমিটির ২৫১ জন কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি ১০০ জন নির্বাহী সদস্যকে বাইরে রেখে এই অনুসন্ধান চালানো হয়।

বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে চাকরিরতদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতিদের মধ্যে মেজবাহ উদ্দিন (পরিবার পরিকল্পনা), মহিউদ্দিন মিয়া (কাস্টমস), আজিজুর রহমান মামুন (ইকোনমিক্স)। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইমরান (ইকোনমিক্স), কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাহুল পাটোয়ারী, সহকারী পুলিশ সুপার (পুলিশ) এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক সম্পাদক আতাউল করিম আরবি (চিকিৎসক)।

গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের কর্মকর্তা হিসেবে আছেন সহ-সভাপতি ওয়াসিম উদ্দিন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক তমাল, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহিন আকতার ইকবাল। সাংগঠনিক সম্পাদক শওকতুল ইসলাম ও উপ-অর্থ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সম্পাদক বাতেন ও রাহাত গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগদানের অপেক্ষায় আছেন।

যুগ্ম-সম্পাদক সাদিদ জাহান সৈকত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপ-গণযোগাযোগ সম্পাদক দেবকুমার ভট্টাচার্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক ডা. জাবেদ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত, উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান উজ্জল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক।

উপ-সাহিত্য সম্পাদক সুমাইয়া সুলতানা টুপুন থানা সমবায় কর্মকর্তা, অন্য দুই উপ-সাহিত্য সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বাবু ও শহিদুল্লাহ মামুন পুলিশের উপ-পরিদর্শক। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক শরিয়ত উল্লাহ লিটন সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, সহ-সভাপতি সুলতানা নাসরিন রুমি বেসরকারি ইউনিয়ন ব্যাংক, উপ-দফতর সম্পাদক রাশেদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে কর্মরত, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার দাস আকিজ গ্র“পে চাকুরিরত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারজানা যুথী রেডিও টুডের সাংবাদিক, রেজাউল করিম রাশেল গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। উপ-গণযোগাযোগ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন চঞ্চল অস্ত্র মামলায় আটক হয়ে কারাগারে ছিলেন। সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা টাঙ্গাইলের ফারুক হত্যা মামলার আসামি।

উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারজানা যুথী রেডিও টুডের সাংবাদিক হওয়ার পরও ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে অংশ নেন। সে কর্মসূচিতে এ প্রতিবেদক স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন।

বিবাহিতদের মধ্যে রয়েছে- সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সুমন, শাহরিয়ার আজম মুন্না, সাইফুল ইসলাম সাইফ, রেজাউল করিম রেশিম, নাজমুল হুদা চঞ্চল, সানিয়াত খান বাপ্পা। বিবাহিত যুগ্ম-সম্পাদকরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মামুনুর রশীদ, আবদুর রহমান জীবন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে মাহমুদ আলম টিটু, আল মাহমুদ সরকার তারেক। এছাড়া উপ-প্রচার সম্পাদক আমিন কোতয়াল, পাঠাগার সম্পাদক দেলোয়ার রহমান দীপু, ধর্ম সম্পাদক এসএম সায়েম প্রমুখ। এদের মধ্যে অনেকেই আবার এক বা একাধিক সন্তানের জনকও।

এদিকে সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সুমন রাজধানীর মুগদাপাড়ায় একটি প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির মালিক। মোখলেছুর রহমান সুমন ব্রিকস মিলের মালিক। মাসুদ হাসান তূর্ণ একটি ডিজিটাল প্রেসের মালিক।

মফিজুল আলম রিজভী ও তরিকুল ইসলাম শাওন ব্যবসায়ী। যুগ্ম-সম্পাদক এহতেশামুল হাসান রুমি কুমিল্লায় প্যাকেজিং ফ্যাক্টরির মালিক। নবিউজ্জামান বাবু ইউসিসি কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রচার সম্পাদক শাহরুখ মিরাজ ছাপখানার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র