রাজশাহীর তানোর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের হাতে তানোর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) রফিকুল ইসলাম প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা দেলোয়ারকে গ্রেফতারের জন্য দাবি জানালে থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দেলোয়ারকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকালে তানোর গোল্লাপাড়া বাজার মসজিদ মার্কেটের সামনে। এ নিয়ে এসআই রফিক বাদী হয়ে দোলোয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দানের মামলা করেছেন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে থানায় দালালি করার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে থানা মোড়ে মোটরসাইকেল অভিযান পরিচালনা করেন থানার এসআই রফিকুল ইসলাম। এ সময় দেলোয়ার হোসেনের ফুফাতো ভাইয়ের লাইন্সেসবিহীন মোটরসাইকেল আটক করা হয়। আটককৃত মোটরসাইকেলটি ছাড়ানোর জন্য দেলোয়ার তদবির শুরু করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে রোববার বেলা তিনটার দিকে তানোর গোল্লাপাড়া বাজার মসজিদ মার্কেটের সামনে এসআই রফিকের মোটরসাইকেল থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানা থেকে চলে যেতে হুমকি দেয় এবং বাজারের উপস্থিত লোকজনের সামনে ইউনিফর্ম ধরে টানাহেঁচড়া করে মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজন দেলোয়ারকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেলোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে জামাই আদরে বসিয়ে রাখে। সেখান থেকে দেলোয়ার চিৎকার করে থানার পুলিশ স্টাফদের গালিগালাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে থানার ডিউটিরত পুলিশ কনস্টেবল ইমদাদুল হক সাংবাকিদদের ক্যামেরা কেড়ে নেন। পরে থানার ওসির হস্তক্ষেপে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ফেরত দেয়া হয়। তানোর থানার ওসি আবুল হাশেম বলেছেন, এ ঘটনার আগেও থানা পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ, লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটিয়েছে এই দেলোয়ার। এবার শত শত মানুষের সামনে থানার সেকেন্ড অফিসারকে লাঞ্ছিত করেছে। তার বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে লাঞ্ছিত করার মামলাসহ সরকারি কাজে বাধা দানের আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে থানা মোড়ে মোটরসাইকেল অভিযান পরিচালনা করেন থানার এসআই রফিকুল ইসলাম। এ সময় দেলোয়ার হোসেনের ফুফাতো ভাইয়ের লাইন্সেসবিহীন মোটরসাইকেল আটক করা হয়। আটককৃত মোটরসাইকেলটি ছাড়ানোর জন্য দেলোয়ার তদবির শুরু করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে রোববার বেলা তিনটার দিকে তানোর গোল্লাপাড়া বাজার মসজিদ মার্কেটের সামনে এসআই রফিকের মোটরসাইকেল থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানা থেকে চলে যেতে হুমকি দেয় এবং বাজারের উপস্থিত লোকজনের সামনে ইউনিফর্ম ধরে টানাহেঁচড়া করে মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজন দেলোয়ারকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেলোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে জামাই আদরে বসিয়ে রাখে। সেখান থেকে দেলোয়ার চিৎকার করে থানার পুলিশ স্টাফদের গালিগালাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে থানার ডিউটিরত পুলিশ কনস্টেবল ইমদাদুল হক সাংবাকিদদের ক্যামেরা কেড়ে নেন। পরে থানার ওসির হস্তক্ষেপে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ফেরত দেয়া হয়। তানোর থানার ওসি আবুল হাশেম বলেছেন, এ ঘটনার আগেও থানা পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ, লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটিয়েছে এই দেলোয়ার। এবার শত শত মানুষের সামনে থানার সেকেন্ড অফিসারকে লাঞ্ছিত করেছে। তার বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে লাঞ্ছিত করার মামলাসহ সরকারি কাজে বাধা দানের আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ছাত্রলীগ নেতার হাতে তানোর থানার পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত
রাজশাহী ব্যুরো
০১ জুলাই ২০১৩, ১২:০০ এএম |
রাজশাহীর তানোর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের হাতে তানোর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) রফিকুল ইসলাম প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা দেলোয়ারকে গ্রেফতারের জন্য দাবি জানালে থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দেলোয়ারকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকালে তানোর গোল্লাপাড়া বাজার মসজিদ মার্কেটের সামনে। এ নিয়ে এসআই রফিক বাদী হয়ে দোলোয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দানের মামলা করেছেন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে থানায় দালালি করার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে থানা মোড়ে মোটরসাইকেল অভিযান পরিচালনা করেন থানার এসআই রফিকুল ইসলাম। এ সময় দেলোয়ার হোসেনের ফুফাতো ভাইয়ের লাইন্সেসবিহীন মোটরসাইকেল আটক করা হয়। আটককৃত মোটরসাইকেলটি ছাড়ানোর জন্য দেলোয়ার তদবির শুরু করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে রোববার বেলা তিনটার দিকে তানোর গোল্লাপাড়া বাজার মসজিদ মার্কেটের সামনে এসআই রফিকের মোটরসাইকেল থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানা থেকে চলে যেতে হুমকি দেয় এবং বাজারের উপস্থিত লোকজনের সামনে ইউনিফর্ম ধরে টানাহেঁচড়া করে মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজন দেলোয়ারকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেলোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে জামাই আদরে বসিয়ে রাখে। সেখান থেকে দেলোয়ার চিৎকার করে থানার পুলিশ স্টাফদের গালিগালাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে থানার ডিউটিরত পুলিশ কনস্টেবল ইমদাদুল হক সাংবাকিদদের ক্যামেরা কেড়ে নেন। পরে থানার ওসির হস্তক্ষেপে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ফেরত দেয়া হয়। তানোর থানার ওসি আবুল হাশেম বলেছেন, এ ঘটনার আগেও থানা পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ, লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটিয়েছে এই দেলোয়ার। এবার শত শত মানুষের সামনে থানার সেকেন্ড অফিসারকে লাঞ্ছিত করেছে। তার বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে লাঞ্ছিত করার মামলাসহ সরকারি কাজে বাধা দানের আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে থানা মোড়ে মোটরসাইকেল অভিযান পরিচালনা করেন থানার এসআই রফিকুল ইসলাম। এ সময় দেলোয়ার হোসেনের ফুফাতো ভাইয়ের লাইন্সেসবিহীন মোটরসাইকেল আটক করা হয়। আটককৃত মোটরসাইকেলটি ছাড়ানোর জন্য দেলোয়ার তদবির শুরু করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে রোববার বেলা তিনটার দিকে তানোর গোল্লাপাড়া বাজার মসজিদ মার্কেটের সামনে এসআই রফিকের মোটরসাইকেল থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানা থেকে চলে যেতে হুমকি দেয় এবং বাজারের উপস্থিত লোকজনের সামনে ইউনিফর্ম ধরে টানাহেঁচড়া করে মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজন দেলোয়ারকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেলোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে জামাই আদরে বসিয়ে রাখে। সেখান থেকে দেলোয়ার চিৎকার করে থানার পুলিশ স্টাফদের গালিগালাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে থানার ডিউটিরত পুলিশ কনস্টেবল ইমদাদুল হক সাংবাকিদদের ক্যামেরা কেড়ে নেন। পরে থানার ওসির হস্তক্ষেপে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ফেরত দেয়া হয়। তানোর থানার ওসি আবুল হাশেম বলেছেন, এ ঘটনার আগেও থানা পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ, লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটিয়েছে এই দেলোয়ার। এবার শত শত মানুষের সামনে থানার সেকেন্ড অফিসারকে লাঞ্ছিত করেছে। তার বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে লাঞ্ছিত করার মামলাসহ সরকারি কাজে বাধা দানের আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।